ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যু
jugantor
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতাল ভাঙচুর
ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যু

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি  

১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যু ও লাশ মৃত্যুর পরেও হাসপাতালের আইসিইউতে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে শহরজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিহতের স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। শনিবার সকালে নাকের পলিপাসের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ওই যুবক মারা যান। জেলার পুরোনো জেল রোডের আল-খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচার করা হয়। নিহতের নাম ইসতিয়াক আহমেদ ইকরাম (২২)। তিনি সদর উপজেলার চান্দিয়ারা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শনিবার সকালে পুলিশ হাসপাতাল মালিকের ভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন হাসপাতাল মালিকের ভাই এমদাদুল বশির জয়, হাসপাতাল স্টাফ নাজমুল হক ও আরিফুল ইসলাম।

ঘটনার দিন সকালে বিক্ষোভ ও হাসপাতাল ভাঙচুর করে ইসতিয়াকের স্বজন ও সহপাঠীরা। পরে বেলা ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ভুল চিকিৎসায় ইসতিয়াক মারা গেছে। অতিরিক্ত বিল করার জন্য লাশ আইসিইউতে পাঠানো হয়। মৃতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার সকালে ইসতিয়াককে নাকের পলিপাসের অস্ত্রোপচারের জন্য ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। দুপুরে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শনিবার সকালে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ইসতিয়াকের চাচা আইনজীবী শামছুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. রাফিউল আলম। কিন্তু রাফিউল জানিয়েছেন তিনি অস্ত্রোপচার করেননি।

ডা. রাফিউল আলমের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

হাসপাতালের মালিক খলিল বশির মানিক দাবি করেন, অস্ত্রোপচার ডা. রাফিউল আলম করেছেন। তার সিসিটিভি ফুটেজও আমাদের কাছে আছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম জানান, নিহতের বড় ভাই বাচ্চু মিয়া খলিল বশির মানিক, ডা. রাফিউল আলম ও ডা. ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতাল ভাঙচুর

ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যু

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 
১৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যু ও লাশ মৃত্যুর পরেও হাসপাতালের আইসিইউতে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে শহরজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিহতের স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। শনিবার সকালে নাকের পলিপাসের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ওই যুবক মারা যান। জেলার পুরোনো জেল রোডের আল-খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচার করা হয়। নিহতের নাম ইসতিয়াক আহমেদ ইকরাম (২২)। তিনি সদর উপজেলার চান্দিয়ারা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শনিবার সকালে পুলিশ হাসপাতাল মালিকের ভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন হাসপাতাল মালিকের ভাই এমদাদুল বশির জয়, হাসপাতাল স্টাফ নাজমুল হক ও আরিফুল ইসলাম।

ঘটনার দিন সকালে বিক্ষোভ ও হাসপাতাল ভাঙচুর করে ইসতিয়াকের স্বজন ও সহপাঠীরা। পরে বেলা ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ভুল চিকিৎসায় ইসতিয়াক মারা গেছে। অতিরিক্ত বিল করার জন্য লাশ আইসিইউতে পাঠানো হয়। মৃতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার সকালে ইসতিয়াককে নাকের পলিপাসের অস্ত্রোপচারের জন্য ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। দুপুরে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শনিবার সকালে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ইসতিয়াকের চাচা আইনজীবী শামছুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. রাফিউল আলম। কিন্তু রাফিউল জানিয়েছেন তিনি অস্ত্রোপচার করেননি।

ডা. রাফিউল আলমের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

হাসপাতালের মালিক খলিল বশির মানিক দাবি করেন, অস্ত্রোপচার ডা. রাফিউল আলম করেছেন। তার সিসিটিভি ফুটেজও আমাদের কাছে আছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম জানান, নিহতের বড় ভাই বাচ্চু মিয়া খলিল বশির মানিক, ডা. রাফিউল আলম ও ডা. ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন