যশোর শহরের ১২টি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ
নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেই
যশোর ব্যুরো
২২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় যশোর শহরের ১২টি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ভবনের কোনোটিই নির্মাণ শ্রমিক, প্রতিবেশী ও পথচারীদের নিরাপত্তায় সুরক্ষা ব্যবস্থার ধার ধারেনি। নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ভবন নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভা। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই সব ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার যশোরের চৌগাছায় শ্রেয়া বালা নামে সাত বছরের শিশু ডাক্তার জিল্লুর রহমানের নির্মাণাধীন ভবনের নিচ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ভবনের ওপর থেকে শ্রেয়ার মাথায় ইট পড়লে ওইদিন দুপুরের দিকে মারা যায়। এ বিষয়ে যশোর পৌরসভা অভিযান চালিয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদ জানান, শহরের রেলরোড, জজকোর্ট মোড়, মিশনপাড়া ডিসি বাংলোর সামনে ১২টি ভবন চিহ্নিত করা হয়। এসব ভবন মালিকরা বহুতল পাকা ভবন নির্মাণ ও ভবন সম্প্রসারণ করার সময় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি। এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, যশোর শহরের সোনালী ব্যাংক করপোরেট অফিসের অদূরে সাততলা মোরশেদ টাওয়ার নির্মাণ করছেন গোলাম মোরশেদ। কিন্তু পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য কোনো ধরনের সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ভবনের নিচ দিয়ে ফুটপাত দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করছেন পথচারীরা। তাদের মাথার ওপর ইট, বালু, খোয়া পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ আশঙ্কা থেকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পৌর প্রশাসন।
এ বিষয়ে ভবন মালিক গোলাম মোরশেদ বলেন, আমরা কিছুটা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েই নির্মাণকাজ করছিলাম। কিন্তু পৌর প্রশাসন তাতে সন্তুষ্ট নয়। টিনশেড দিয়ে ঘিরে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নির্দেশ মোতাবেক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করব।
মোরশেদ টাওয়ারের পাশেই উত্তরা মোটরসের শোরুমের ওপরে ভবন সম্প্রসারণ করছেন আসাদুজ্জামান। তিনিও অরক্ষিতভাবে নির্মাণকাজ করছেন। এখানকার নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে থাকা শ্রমিক সরদারের হাতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নোটিশ দিয়ে ভবন মালিককে দেওয়ার জন্য বলা হয়।
শুধু গোলাম মোর্শেদ কিংবা আসাদুজ্জামানের ভবন নয়; যশোর শহরের নির্মাণাধীন বেশিরভাগ ভবনের চিত্র এমনই। তবে মঙ্গলবার ১২টি বহুতল ভবন চিহ্নিত করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এসব ভবনের কোনোটিই নির্মাণ শ্রমিক, প্রতিবেশী ও পথচারীদের নিরাপত্তায় সুরক্ষা ব্যবস্থার ধার ধারেনি। নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ভবন নির্মাণ বন্ধ করে নোটিশ দিয়েছে পৌরসভা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেই
যশোর শহরের ১২টি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ
নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় যশোর শহরের ১২টি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ভবনের কোনোটিই নির্মাণ শ্রমিক, প্রতিবেশী ও পথচারীদের নিরাপত্তায় সুরক্ষা ব্যবস্থার ধার ধারেনি। নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ভবন নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভা। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই সব ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার যশোরের চৌগাছায় শ্রেয়া বালা নামে সাত বছরের শিশু ডাক্তার জিল্লুর রহমানের নির্মাণাধীন ভবনের নিচ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ভবনের ওপর থেকে শ্রেয়ার মাথায় ইট পড়লে ওইদিন দুপুরের দিকে মারা যায়। এ বিষয়ে যশোর পৌরসভা অভিযান চালিয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদ জানান, শহরের রেলরোড, জজকোর্ট মোড়, মিশনপাড়া ডিসি বাংলোর সামনে ১২টি ভবন চিহ্নিত করা হয়। এসব ভবন মালিকরা বহুতল পাকা ভবন নির্মাণ ও ভবন সম্প্রসারণ করার সময় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি। এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, যশোর শহরের সোনালী ব্যাংক করপোরেট অফিসের অদূরে সাততলা মোরশেদ টাওয়ার নির্মাণ করছেন গোলাম মোরশেদ। কিন্তু পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য কোনো ধরনের সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ভবনের নিচ দিয়ে ফুটপাত দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করছেন পথচারীরা। তাদের মাথার ওপর ইট, বালু, খোয়া পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ আশঙ্কা থেকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পৌর প্রশাসন।
এ বিষয়ে ভবন মালিক গোলাম মোরশেদ বলেন, আমরা কিছুটা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েই নির্মাণকাজ করছিলাম। কিন্তু পৌর প্রশাসন তাতে সন্তুষ্ট নয়। টিনশেড দিয়ে ঘিরে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নির্দেশ মোতাবেক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করব।
মোরশেদ টাওয়ারের পাশেই উত্তরা মোটরসের শোরুমের ওপরে ভবন সম্প্রসারণ করছেন আসাদুজ্জামান। তিনিও অরক্ষিতভাবে নির্মাণকাজ করছেন। এখানকার নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে থাকা শ্রমিক সরদারের হাতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নোটিশ দিয়ে ভবন মালিককে দেওয়ার জন্য বলা হয়।
শুধু গোলাম মোর্শেদ কিংবা আসাদুজ্জামানের ভবন নয়; যশোর শহরের নির্মাণাধীন বেশিরভাগ ভবনের চিত্র এমনই। তবে মঙ্গলবার ১২টি বহুতল ভবন চিহ্নিত করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এসব ভবনের কোনোটিই নির্মাণ শ্রমিক, প্রতিবেশী ও পথচারীদের নিরাপত্তায় সুরক্ষা ব্যবস্থার ধার ধারেনি। নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ভবন নির্মাণ বন্ধ করে নোটিশ দিয়েছে পৌরসভা।