দেবিদ্বারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর আত্মহত্যা
jugantor
ধর্ষকদের বাঁচাতে জরিমানা
দেবিদ্বারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর আত্মহত্যা

  দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি  

০২ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লার দেবিদ্বারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক নারী বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর ধর্ষকদের বাঁচাতে সালিশের নামে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এলাকার প্রভাবশালী মহল। ২৬ ও ২৭ মার্চ দেবিদ্বার পৌর এলাকার বিনাইপাড় গ্রামের ফজলুল হকের বাড়িতে এসব ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল কাদেরের ছেলে হাসান, মুকবল হোসেনের ছেলে জসীম উদ্দিন ও রাজা মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া মুখ চেপে নির্জন জায়গায় নিয়ে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন ২৭ মার্চ অভিযুক্ত ৩ ধর্ষককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হাসান ওই নারীকে বিয়ে করতে রাজি হয়। কিন্তু সে তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানায়। এ ঘটনায় রাগে ও ক্ষোভে ওইদিন সন্ধ্যায় ওই নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেন।

নির্যাতনের শিকার নারীর আত্মহত্যার পর প্রভাবশালী মহল ধর্ষকদের বাঁচাতে সামাজিক সালিশের নামে ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করে। তারা সালিশে গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ৩ ধর্ষককে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের পরিচালনায় সালিশে উপস্থিত ছিলেন মালিক শাহজাহান মেম্বার, গোলাম মোস্তফা, রেনু মাস্টার, রফিক মিয়া, তাজেল মিয়া, ইব্রাহীম মিয়া প্রমুখ।

আবু তাহের বলেন, হাসান, জসীম উদ্দিন, রুবেল ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। আমরা নির্যাতনের শিকার মেয়েটির পরিবারকে থানায় মামলা করার কথা বলেছি। কিন্তু তারা সমাধানের কথা বললে আমরা সালিশের মাধ্যমে ওই ৩ জনকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করি। টাকা পরিশোধের পর তাদের কঠিন বিচারের সিদ্ধান্ত নিই।

ধর্ষকদের বাঁচাতে জরিমানা

দেবিদ্বারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর আত্মহত্যা

 দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
০২ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লার দেবিদ্বারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক নারী বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর ধর্ষকদের বাঁচাতে সালিশের নামে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এলাকার প্রভাবশালী মহল। ২৬ ও ২৭ মার্চ দেবিদ্বার পৌর এলাকার বিনাইপাড় গ্রামের ফজলুল হকের বাড়িতে এসব ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল কাদেরের ছেলে হাসান, মুকবল হোসেনের ছেলে জসীম উদ্দিন ও রাজা মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া মুখ চেপে নির্জন জায়গায় নিয়ে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন ২৭ মার্চ অভিযুক্ত ৩ ধর্ষককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হাসান ওই নারীকে বিয়ে করতে রাজি হয়। কিন্তু সে তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানায়। এ ঘটনায় রাগে ও ক্ষোভে ওইদিন সন্ধ্যায় ওই নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেন।

নির্যাতনের শিকার নারীর আত্মহত্যার পর প্রভাবশালী মহল ধর্ষকদের বাঁচাতে সামাজিক সালিশের নামে ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করে। তারা সালিশে গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ৩ ধর্ষককে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের পরিচালনায় সালিশে উপস্থিত ছিলেন মালিক শাহজাহান মেম্বার, গোলাম মোস্তফা, রেনু মাস্টার, রফিক মিয়া, তাজেল মিয়া, ইব্রাহীম মিয়া প্রমুখ।

আবু তাহের বলেন, হাসান, জসীম উদ্দিন, রুবেল ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। আমরা নির্যাতনের শিকার মেয়েটির পরিবারকে থানায় মামলা করার কথা বলেছি। কিন্তু তারা সমাধানের কথা বললে আমরা সালিশের মাধ্যমে ওই ৩ জনকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করি। টাকা পরিশোধের পর তাদের কঠিন বিচারের সিদ্ধান্ত নিই।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন