বরিশালে লাইভে এসে ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যার ঘোষণা
বরিশাল ব্যুরো
০২ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শুক্রবার রাত ১১টায় লাইভ করে এ কথা বলেন তিনি। ওই লাইভে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক নয়, পারিবারিকভাবে আমি সুখী।
আমার আত্মহত্যার কারণ রুটি-রুজির জায়গা বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ যে জায়গা থেকে আমার আয়ে সংসার চলত সেই পথ শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ওই জায়গা হারিয়ে ফেলব কাল (শনিবার)। তাই কোনো পথ না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
১১ মিনিটের ওই ফেসবুক লাইভে আসার দুই ঘণ্টা আগে সুজন নিজ টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘কাল হয়তো আত্মহত্যা করতে পারি কারণটা ডায়রিতে লেখা থাকবে... হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও...’।
এই পোস্টটি সুজন সাতজনের ফেসবুক আইডিতে ট্যাগ করেছেন। এরা হলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ উল ইসলাম সুমন, সাগর মেম্বার ও মাহাতাব হোসেন সুমন।
চরকাউয়া বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ ও চরকাউয়া খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রণ করত আশিকুর রহমান সুজন। এই দুই স্থানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হয়তো কোনো দ্বন্দ্বে নিয়ন্ত্রণ হারানোর আভাস পেয়ে সুজন আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছেন।
আত্মহত্যার ঘোষণার পর আশিকুর রহমান সুজনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লাইভটি আমি দেখেছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বরিশালে লাইভে এসে ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যার ঘোষণা
বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শুক্রবার রাত ১১টায় লাইভ করে এ কথা বলেন তিনি। ওই লাইভে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক নয়, পারিবারিকভাবে আমি সুখী।
আমার আত্মহত্যার কারণ রুটি-রুজির জায়গা বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ যে জায়গা থেকে আমার আয়ে সংসার চলত সেই পথ শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ওই জায়গা হারিয়ে ফেলব কাল (শনিবার)। তাই কোনো পথ না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
১১ মিনিটের ওই ফেসবুক লাইভে আসার দুই ঘণ্টা আগে সুজন নিজ টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘কাল হয়তো আত্মহত্যা করতে পারি কারণটা ডায়রিতে লেখা থাকবে... হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও...’।
এই পোস্টটি সুজন সাতজনের ফেসবুক আইডিতে ট্যাগ করেছেন। এরা হলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ উল ইসলাম সুমন, সাগর মেম্বার ও মাহাতাব হোসেন সুমন।
চরকাউয়া বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ ও চরকাউয়া খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রণ করত আশিকুর রহমান সুজন। এই দুই স্থানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হয়তো কোনো দ্বন্দ্বে নিয়ন্ত্রণ হারানোর আভাস পেয়ে সুজন আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছেন।
আত্মহত্যার ঘোষণার পর আশিকুর রহমান সুজনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লাইভটি আমি দেখেছি।