চট্টগ্রামে শ্যালিকা খুন
১৩ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামে শ্যালিকা খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দুলাভাই মো. শাহ পরানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার রাতে রাউজানের নোয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শাহ পরানের বাড়ি ফটিকছড়ির ভূজপুর ইউনিয়নের পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামে। বাবার নাম নুর মোহাম্মদ। র?্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুুরুল আবছার বলেন, খুনের ১৩ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহ পরানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে শনিবার দুপুরে ফটিকছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ২০১০ সালের শুরুতে নিহত ফারহানা ইয়াসমিনের বড় বোন দেলোয়ারা বেগমের সঙ্গে শাহ পরানের বিয়ে হয়। আর্থিক অনটন এবং পারিবারিক নানা বিষয়ে বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান দেলোয়ারা। এরপর থেকে শাহ পরান দেলোয়ারাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
২০১০ সালে ১ এপ্রিল রাতে দেলোয়ারাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে যায় শাহ পরান। সঙ্গে নিয়ে যায় তার ভগ্নিপতি মো. নাসিরকে। দুজনে ঘুমন্ত দেলোয়ারাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে ছোট বোন ফারহানা ঘুম থেকে ওঠে বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ফারহানাকে ছুরিকাঘাত করে অভিযুক্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই ফারহানার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ফারহানার মা বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর শাহ পরানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন নিয়ে সে পালিয়ে যায়। পলাতক অবস্থায় ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামি শাহ পরানকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
১৩ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামে শ্যালিকা খুন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
২৮ মে ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামে শ্যালিকা খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দুলাভাই মো. শাহ পরানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার রাতে রাউজানের নোয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শাহ পরানের বাড়ি ফটিকছড়ির ভূজপুর ইউনিয়নের পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামে। বাবার নাম নুর মোহাম্মদ। র?্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুুরুল আবছার বলেন, খুনের ১৩ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহ পরানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে শনিবার দুপুরে ফটিকছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ২০১০ সালের শুরুতে নিহত ফারহানা ইয়াসমিনের বড় বোন দেলোয়ারা বেগমের সঙ্গে শাহ পরানের বিয়ে হয়। আর্থিক অনটন এবং পারিবারিক নানা বিষয়ে বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান দেলোয়ারা। এরপর থেকে শাহ পরান দেলোয়ারাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
২০১০ সালে ১ এপ্রিল রাতে দেলোয়ারাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে যায় শাহ পরান। সঙ্গে নিয়ে যায় তার ভগ্নিপতি মো. নাসিরকে। দুজনে ঘুমন্ত দেলোয়ারাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে ছোট বোন ফারহানা ঘুম থেকে ওঠে বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ফারহানাকে ছুরিকাঘাত করে অভিযুক্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই ফারহানার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ফারহানার মা বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর শাহ পরানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন নিয়ে সে পালিয়ে যায়। পলাতক অবস্থায় ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামি শাহ পরানকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023