সাগরে আগুন : অবশেষে ডুবে গেল সেই ফিশিং ট্রলার
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার অদূরে বঙ্গোপসাগরে আগুন ধরে যাওয়া সেই ফিশিং ট্রলারটি অবশেষে ডুবে গেছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ট্রলারটিতে আগুন লাগে। এর কয়েক ঘণ্টা পর এটি সমুদ্রে ডুবে যায় বলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যে এলাকায় ট্রলারটি ডুবেছে, সেখানে বয়া দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। যাতে অন্যান্য নৌযান ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে পারে। পতেঙ্গার আকমল আলী ঘাট থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার দূরে সাগরে ইঞ্জিনচালিত কাঠের ট্রলারটিতে আগুন ধরে যায়। ওই সময় ট্রলার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ কারণে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ট্রলারটির আশপাশে থাকা লাইটার জাহাজগুলোতেও দেখা দেয় আগুন ছাড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। তবে কিছুটা দূরে অবস্থান থাকায় অন্য কোনো জাহাজে সেই আগুন ছড়াতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসের কেইপিজেড স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আবসার উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, প্রথমে মনে করা হয়েছিল লাইটার জাহাজে আগুন লেগেছে। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, অগ্নিকাণ্ডের শিকার নৌযানটি আসলে একটি কাঠের তৈরি ফিশিং ট্রলার।
ইপিজেড থানার ওসি মো. আবদুল করিম জানান, নৌযানটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে। আগুন লাগার পর ট্রলারে থাকা তিনজন লোক সাগরে লাফিয়ে পড়ে আহত অবস্থায় অন্য নৌযানের সাহায্যে তীরে আসতে সক্ষম হন। তাদের পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে ট্রলারটিতে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, বহির্নোঙরে একটি ট্রলারে আগুন লেগেছিল। আমাদের টাগবোট গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে। তবে শেষ পর্র্যন্ত এটি ডুবে গেছে। আমরা ওই এলাকাটি বয়া মার্কিং করে রেখেছি, জাহাজ চলাচলে যেন অসুবিধার সৃষ্টি না হয়। একাধিক সূত্র জানায়, ফিশিং ট্রলারটিতে বেশকটি তেলের ড্রাম ছিল। আগুন লাগার পর এগুলো বিস্ফোরিত হয়।
সাগরে আগুন : অবশেষে ডুবে গেল সেই ফিশিং ট্রলার
চট্টগ্রাম ব্যুরো
২৮ মে ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার অদূরে বঙ্গোপসাগরে আগুন ধরে যাওয়া সেই ফিশিং ট্রলারটি অবশেষে ডুবে গেছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ট্রলারটিতে আগুন লাগে। এর কয়েক ঘণ্টা পর এটি সমুদ্রে ডুবে যায় বলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যে এলাকায় ট্রলারটি ডুবেছে, সেখানে বয়া দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। যাতে অন্যান্য নৌযান ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে পারে। পতেঙ্গার আকমল আলী ঘাট থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার দূরে সাগরে ইঞ্জিনচালিত কাঠের ট্রলারটিতে আগুন ধরে যায়। ওই সময় ট্রলার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ কারণে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ট্রলারটির আশপাশে থাকা লাইটার জাহাজগুলোতেও দেখা দেয় আগুন ছাড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। তবে কিছুটা দূরে অবস্থান থাকায় অন্য কোনো জাহাজে সেই আগুন ছড়াতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসের কেইপিজেড স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আবসার উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, প্রথমে মনে করা হয়েছিল লাইটার জাহাজে আগুন লেগেছে। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, অগ্নিকাণ্ডের শিকার নৌযানটি আসলে একটি কাঠের তৈরি ফিশিং ট্রলার।
ইপিজেড থানার ওসি মো. আবদুল করিম জানান, নৌযানটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে। আগুন লাগার পর ট্রলারে থাকা তিনজন লোক সাগরে লাফিয়ে পড়ে আহত অবস্থায় অন্য নৌযানের সাহায্যে তীরে আসতে সক্ষম হন। তাদের পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে ট্রলারটিতে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, বহির্নোঙরে একটি ট্রলারে আগুন লেগেছিল। আমাদের টাগবোট গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে। তবে শেষ পর্র্যন্ত এটি ডুবে গেছে। আমরা ওই এলাকাটি বয়া মার্কিং করে রেখেছি, জাহাজ চলাচলে যেন অসুবিধার সৃষ্টি না হয়। একাধিক সূত্র জানায়, ফিশিং ট্রলারটিতে বেশকটি তেলের ড্রাম ছিল। আগুন লাগার পর এগুলো বিস্ফোরিত হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023