আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউএনও’র জিডি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে ইউএনও মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। হত্যার হুমকি দেয়ায় রোববার সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় ইউএনও জিডি করেন।
এছাড়া সরকারি নথিপত্র হারিয়ে যাওয়া এবং রাজস্ব তহবিলের ব্যাংক চেকের ১৯টি পাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরেকটি জিডি করা হয়। আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জিডিতে বলা হয়- বৃহস্পতিবার আদিতমারী উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজের অংশ দাবি করেন।
এতে বিধি মোতাবেক তালিকা প্রস্তুত করার জন্য উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে বলা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সভা অসমাপ্ত রেখে বের হয়ে যান।
সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী হুমায়ুনকে ইউএনও অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার বিদ্যুৎ সংযোগ খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।
সিসিটিভি ক্যামেরার বিদ্যুৎ সংযোগ খোলার কারণ জানতে চাইলে তিনি ইউএনও মনসুর উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বেশি কথা বললে ‘পিটিয়ে লাশ নরসিংদী পাঠিয়ে দেব। উপজেলা পরিষদ কি তোর বাবার সম্পত্তি, উপজেলা পরিষদ কি তুই চালাবি?’
অপর জিডিটি করেন উপজেলা পরিষদের মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর হাবিবুর রহমান। এতে বলা হয়- বৃহস্পতিবার অফিস শেষে তিনি বাড়িতে চলে যান।
সাপ্তাহিক ছুটে শেষে রোববার অফিসে এসে পকেট গেট খোলা দেখতে পেয়ে অফিসের চারজন সহকর্মীকে নিয়ে গচ্ছিত কাগজপত্র যাচাই করেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভার নথি, উপস্থিত হাজিরা, কর্মচারীদের হাজিরা খাতা এবং উপজেলা পরিষদের বেশকিছু সরকারি নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউএনও’র জিডি
আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে ইউএনও মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। হত্যার হুমকি দেয়ায় রোববার সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় ইউএনও জিডি করেন।
এছাড়া সরকারি নথিপত্র হারিয়ে যাওয়া এবং রাজস্ব তহবিলের ব্যাংক চেকের ১৯টি পাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরেকটি জিডি করা হয়। আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জিডিতে বলা হয়- বৃহস্পতিবার আদিতমারী উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজের অংশ দাবি করেন।
এতে বিধি মোতাবেক তালিকা প্রস্তুত করার জন্য উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে বলা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সভা অসমাপ্ত রেখে বের হয়ে যান।
সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী হুমায়ুনকে ইউএনও অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার বিদ্যুৎ সংযোগ খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।
সিসিটিভি ক্যামেরার বিদ্যুৎ সংযোগ খোলার কারণ জানতে চাইলে তিনি ইউএনও মনসুর উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বেশি কথা বললে ‘পিটিয়ে লাশ নরসিংদী পাঠিয়ে দেব। উপজেলা পরিষদ কি তোর বাবার সম্পত্তি, উপজেলা পরিষদ কি তুই চালাবি?’
অপর জিডিটি করেন উপজেলা পরিষদের মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর হাবিবুর রহমান। এতে বলা হয়- বৃহস্পতিবার অফিস শেষে তিনি বাড়িতে চলে যান।
সাপ্তাহিক ছুটে শেষে রোববার অফিসে এসে পকেট গেট খোলা দেখতে পেয়ে অফিসের চারজন সহকর্মীকে নিয়ে গচ্ছিত কাগজপত্র যাচাই করেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভার নথি, উপস্থিত হাজিরা, কর্মচারীদের হাজিরা খাতা এবং উপজেলা পরিষদের বেশকিছু সরকারি নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি।