পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নে সততার জয়
সংসদে সরকারি দলের এমপিরা
সংসদ প্রতিবেদক
২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে সততার জয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে তারা বলেন, দেশের কিছু সুশীল, একজন এনজিও কর্মকর্তা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পদ্মা সেতু নিয়ে চরম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিলেন। তারা নানাভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। সততা ও সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সব অপচেষ্টা নসাৎ করেছেন।
বুধবার প্রথমে স্পিকার ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে এ আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সরকারি দলের সদস্য মুজিবুল হক, এনামুল হক, বেনজির আহমেদ, জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, নুরুল আমিন ও শেখ এ্যানি রহমান এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির রানা মো. সোহেল ও নাজমা আখতার। আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, এ সরকারের অসংখ্য অর্জনের মধ্যে বর্তমান সময় সবচেয়ে বড় অর্জন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। এ সেতু শুধু উন্নয়নের মেলবন্ধন নয়। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এ সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা তার সততা, সাহস, দৃঢ়তা, দক্ষতা, আÍবিশ্বাস এবং দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন।
স্কুল খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনার কারণে মার্চ থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে ধাপে ধাপে স্কুল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে সাম্প্রদায়িক সম্পৃক্ততা সহকারে নিজ নিজ ধর্ম চর্চা করতে পারেন সে ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায় ধর্মীয় উৎসবগুলো উৎসবমুখর পরিবেশে করতে পারছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর হজযাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন। ২০১৯ সালে বেড়ে হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জনে উন্নীত হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সংসদে সরকারি দলের এমপিরা
পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নে সততার জয়
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে সততার জয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে তারা বলেন, দেশের কিছু সুশীল, একজন এনজিও কর্মকর্তা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পদ্মা সেতু নিয়ে চরম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিলেন। তারা নানাভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। সততা ও সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সব অপচেষ্টা নসাৎ করেছেন।
বুধবার প্রথমে স্পিকার ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে এ আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সরকারি দলের সদস্য মুজিবুল হক, এনামুল হক, বেনজির আহমেদ, জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, নুরুল আমিন ও শেখ এ্যানি রহমান এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির রানা মো. সোহেল ও নাজমা আখতার। আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, এ সরকারের অসংখ্য অর্জনের মধ্যে বর্তমান সময় সবচেয়ে বড় অর্জন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। এ সেতু শুধু উন্নয়নের মেলবন্ধন নয়। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এ সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা তার সততা, সাহস, দৃঢ়তা, দক্ষতা, আÍবিশ্বাস এবং দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন।
স্কুল খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনার কারণে মার্চ থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে ধাপে ধাপে স্কুল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে সাম্প্রদায়িক সম্পৃক্ততা সহকারে নিজ নিজ ধর্ম চর্চা করতে পারেন সে ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায় ধর্মীয় উৎসবগুলো উৎসবমুখর পরিবেশে করতে পারছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর হজযাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন। ২০১৯ সালে বেড়ে হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জনে উন্নীত হয়েছে।