যুদ্ধের কারণে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী
সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক
২৪ জুন ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাব আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব পড়েছে। এ যুদ্ধের কারণে আমদানিনির্ভর পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা এবং পূর্বাভাস সেল’ গঠন করা হয়েছে।
রপ্তানি আয় : মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড ও বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ জাপান, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ২০৩টি দেশে ৭৫১টি পণ্য রপ্তানি করে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।
রপ্তানির পরিমাণ : গোলাম মোহম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার ৩৬৭ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবং আমদানির পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ৬০৯ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১৬ হাজার ২৪২ দশমিক ০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, নিটওয়্যার, ওভেন পোশাক, হিমায়িত মাছ, হিমায়িত চিংড়ি, হাঙ্গরের পাখনা, শুঁটকি মাছ, লবণযুক্ত মাছ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি আম, পান, আলু, অন্যান্য ফলমূল ও শাকসবজি ইত্যাদি রপ্তানি করা হচ্ছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী
যুদ্ধের কারণে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাব আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব পড়েছে। এ যুদ্ধের কারণে আমদানিনির্ভর পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা এবং পূর্বাভাস সেল’ গঠন করা হয়েছে।
রপ্তানি আয় : মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড ও বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ জাপান, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ২০৩টি দেশে ৭৫১টি পণ্য রপ্তানি করে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।
রপ্তানির পরিমাণ : গোলাম মোহম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার ৩৬৭ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবং আমদানির পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ৬০৯ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১৬ হাজার ২৪২ দশমিক ০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, নিটওয়্যার, ওভেন পোশাক, হিমায়িত মাছ, হিমায়িত চিংড়ি, হাঙ্গরের পাখনা, শুঁটকি মাছ, লবণযুক্ত মাছ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি আম, পান, আলু, অন্যান্য ফলমূল ও শাকসবজি ইত্যাদি রপ্তানি করা হচ্ছে।