এইচএসসির খাতা রাস্তায়, পরীক্ষককে অব্যাহতি
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এবারের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৫০টি খাতা বা উত্তরপত্র মিলেছে রাস্তায়। ইংরেজি প্রথম পত্রের ওইসব খাতা এক ভিক্ষুক কুড়িয়ে পেয়েছেন। তার কাছ থেকে খাতাগুলো মুরাদ হাসান নামে এক ব্যক্তি নিয়ে জমা দিয়েছেন কাফরুল থানায়। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে গিয়ে মুরাদ হোসেন খাতাগুলো দেখতে পান। প্রথমে সন্দেহ হলেও ভালো করে যাচাই করে দেখতে পান এগুলো এইচএসসি পরীক্ষার খাতা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. ইব্রাহীম হুসাইনকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খাতাগুলো থানা থেকে এনেছি।
অভিভাবক মুরাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মিরপুর গোল চত্বরে আসার পর আমি একটা জটলা দেখে এগিয়ে যায়। এরপর দেখি কিছু ভিক্ষুক এক বান্ডিল মতো খাতা নিয়ে তা বিক্রি করার জন্য আলোচনা করছে। তারা আমাকে জানায় এইগুলো রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, খাতাগুলো নিয়ে যাচাই করে দেখি তা চলমান এইসএসসি পরীক্ষার। খাতার ওপরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কাগজ দিয়ে বাধা ছিল। সেই সঙ্গে ইংরেজি প্রথম পত্র ও কোড নম্বর দেওয়া ছিল। খাতার বান্ডিলে ৫০টি খাতা এমনও উল্লেখ করা ছিল। পরে খাতাগুলো নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে ঢাকা বোর্ড থেকে যোগাযোগ করা হয়। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী খাতাগুলো কাফরুল থানায় জমা দিই। এদিকে খাতা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন কাফরুল থানার ডিউটি অফিসার রুমি। তিনি বলেন, থানায় খাতার একটা বান্ডিল জমা দেওয়া হয়েছে। একজন পথচারী খাতাগুলো সেগুলো থানায় জমা দিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এইচএসসির খাতা রাস্তায়, পরীক্ষককে অব্যাহতি
এবারের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৫০টি খাতা বা উত্তরপত্র মিলেছে রাস্তায়। ইংরেজি প্রথম পত্রের ওইসব খাতা এক ভিক্ষুক কুড়িয়ে পেয়েছেন। তার কাছ থেকে খাতাগুলো মুরাদ হাসান নামে এক ব্যক্তি নিয়ে জমা দিয়েছেন কাফরুল থানায়। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে গিয়ে মুরাদ হোসেন খাতাগুলো দেখতে পান। প্রথমে সন্দেহ হলেও ভালো করে যাচাই করে দেখতে পান এগুলো এইচএসসি পরীক্ষার খাতা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. ইব্রাহীম হুসাইনকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খাতাগুলো থানা থেকে এনেছি।
অভিভাবক মুরাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মিরপুর গোল চত্বরে আসার পর আমি একটা জটলা দেখে এগিয়ে যায়। এরপর দেখি কিছু ভিক্ষুক এক বান্ডিল মতো খাতা নিয়ে তা বিক্রি করার জন্য আলোচনা করছে। তারা আমাকে জানায় এইগুলো রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, খাতাগুলো নিয়ে যাচাই করে দেখি তা চলমান এইসএসসি পরীক্ষার। খাতার ওপরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কাগজ দিয়ে বাধা ছিল। সেই সঙ্গে ইংরেজি প্রথম পত্র ও কোড নম্বর দেওয়া ছিল। খাতার বান্ডিলে ৫০টি খাতা এমনও উল্লেখ করা ছিল। পরে খাতাগুলো নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে ঢাকা বোর্ড থেকে যোগাযোগ করা হয়। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী খাতাগুলো কাফরুল থানায় জমা দিই। এদিকে খাতা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন কাফরুল থানার ডিউটি অফিসার রুমি। তিনি বলেন, থানায় খাতার একটা বান্ডিল জমা দেওয়া হয়েছে। একজন পথচারী খাতাগুলো সেগুলো থানায় জমা দিয়েছেন।