যশোরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড
যশোর ব্যুরো
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
যশোরে গাঁজাসহ আটক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামানকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একই সাথে আটক অপর দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রোববার যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এই রায় দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এসআই হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত মোজাম্মেলের ছেলে। তিনি চৌগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত দারোগা হাসানুজ্জামান ২০২০ সালের ১৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে কেশবপুর এলাকা থেকে তিন কেজি গাঁজা ক্রয় করে চৌগাছার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকঘর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই দিবাকর মালাকার জানতে পারেন নাজমুল ও শহিদ নামে দুজন গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করছেন। তিনি সঙ্গীয় ফোর্সসহ এলাকার পালপাড়ায় অবস্থান নেন। এরই মধ্যে এসআই হাসানুজ্জামান একটি মোটরসাইকেলে সেখানে আসেন। তাকে সংকেত দিয়ে থামিয়ে মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে দুই কেজি এবং পিঠে থাকা ব্যাগের মধ্যে পুলিশের পোশাকে মোড়ানো আরও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় এসআই হাসানুজ্জামান ও নামজুলকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান শহিদ পালিয়ে যান। এ সময় হাসানুজ্জামান নিজেকে পুলিশের এসআই বলে পরিচয় দেন এবং তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে দেখান। এ ঘটনার মামলায় আটক নাজমুল আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে এসআই হাসানুজ্জামানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডেও গাঁজা থাকার কথাটি স্বীকার করেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যশোরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড
যশোরে গাঁজাসহ আটক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামানকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একই সাথে আটক অপর দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রোববার যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এই রায় দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এসআই হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত মোজাম্মেলের ছেলে। তিনি চৌগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত দারোগা হাসানুজ্জামান ২০২০ সালের ১৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে কেশবপুর এলাকা থেকে তিন কেজি গাঁজা ক্রয় করে চৌগাছার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকঘর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই দিবাকর মালাকার জানতে পারেন নাজমুল ও শহিদ নামে দুজন গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করছেন। তিনি সঙ্গীয় ফোর্সসহ এলাকার পালপাড়ায় অবস্থান নেন। এরই মধ্যে এসআই হাসানুজ্জামান একটি মোটরসাইকেলে সেখানে আসেন। তাকে সংকেত দিয়ে থামিয়ে মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে দুই কেজি এবং পিঠে থাকা ব্যাগের মধ্যে পুলিশের পোশাকে মোড়ানো আরও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় এসআই হাসানুজ্জামান ও নামজুলকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান শহিদ পালিয়ে যান। এ সময় হাসানুজ্জামান নিজেকে পুলিশের এসআই বলে পরিচয় দেন এবং তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে দেখান। এ ঘটনার মামলায় আটক নাজমুল আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে এসআই হাসানুজ্জামানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডেও গাঁজা থাকার কথাটি স্বীকার করেন তিনি।