ঢাকায় আদালত বস্ত্রকল ও শপিংমলে আগুন
jugantor
ঢাকায় আদালত বস্ত্রকল ও শপিংমলে আগুন

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীতে একইদিনে আদালত, টেক্সটাইল মিল ও শপিং সেন্টারে পৃথক তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। মঙ্গলবার পুরান ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত, শ্যামপুর ও জিগাতলায় অগ্নিদুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

সিজেএম আদালত : মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১০ তলা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় দুপুর আড়াইটার দিকে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার পরপরই এ ভবনের দ্বিতীয় তলার হাজতখানায় থাকা আসামিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।

সীমান্ত স্কয়ারে আগুন : মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে জিগাতলার শপিংমল সীমান্ত স্কয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ৩০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, বিকাল ৫টা ২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শপিংমলটির বেজমেন্টে আগুন লেগেছে। কিভাবে আগুন লেগেছে তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। হতাহতেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

শ্যামপুর চাঁদনী টেক্সটাইল মিল : যাত্রাবাড়ী (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে শ্যামপুর চাঁদনী টেক্সটাইল মিলের ৫ম তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের পৌনে ১ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

চাঁদনী টেক্সটাইল মিলের অপারেটিং ইনচার্জ রিপন ও রবিন জানান, মিলে বাহির থেকে থ্রিপিস, পর্দা ও গেঞ্জির কাপড়সহ বিভিন্ন কাপড় এনে প্রিন্ট, কালার, মম পালিশ ও ডাইং করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর ৫ম তলায় কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। শুরুতে শ্রমিকরা আগুন আগুন বলে চিৎকার দেন। তখন সবাই গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, তাদের কয়েক সপ্তাহের মজুরি বাড়িতে পাঠানোর জন্য জমিয়েছিলেন। একেকজনের ৫-৬ হাজার টাকা ছিল। সব টাকাই পুড়ে গেছে। কাপড়-চোপড়, ব্যাগ, মোবাইলও পুড়ে গেছে। পরনের পোশাক ছাড়া আর কিছুই নেই।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জোন-৫ এর উপ-সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

ঢাকায় আদালত বস্ত্রকল ও শপিংমলে আগুন

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীতে একইদিনে আদালত, টেক্সটাইল মিল ও শপিং সেন্টারে পৃথক তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। মঙ্গলবার পুরান ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত, শ্যামপুর ও জিগাতলায় অগ্নিদুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

সিজেএম আদালত : মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১০ তলা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় দুপুর আড়াইটার দিকে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার পরপরই এ ভবনের দ্বিতীয় তলার হাজতখানায় থাকা আসামিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।

সীমান্ত স্কয়ারে আগুন : মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে জিগাতলার শপিংমল সীমান্ত স্কয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ৩০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, বিকাল ৫টা ২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শপিংমলটির বেজমেন্টে আগুন লেগেছে। কিভাবে আগুন লেগেছে তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। হতাহতেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

শ্যামপুর চাঁদনী টেক্সটাইল মিল : যাত্রাবাড়ী (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে শ্যামপুর চাঁদনী টেক্সটাইল মিলের ৫ম তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের পৌনে ১ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

চাঁদনী টেক্সটাইল মিলের অপারেটিং ইনচার্জ রিপন ও রবিন জানান, মিলে বাহির থেকে থ্রিপিস, পর্দা ও গেঞ্জির কাপড়সহ বিভিন্ন কাপড় এনে প্রিন্ট, কালার, মম পালিশ ও ডাইং করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর ৫ম তলায় কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। শুরুতে শ্রমিকরা আগুন আগুন বলে চিৎকার দেন। তখন সবাই গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, তাদের কয়েক সপ্তাহের মজুরি বাড়িতে পাঠানোর জন্য জমিয়েছিলেন। একেকজনের ৫-৬ হাজার টাকা ছিল। সব টাকাই পুড়ে গেছে। কাপড়-চোপড়, ব্যাগ, মোবাইলও পুড়ে গেছে। পরনের পোশাক ছাড়া আর কিছুই নেই।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জোন-৫ এর উপ-সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন