বিএনপি নেতারা চান না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
২২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে বিএনপি নেতারা চান না বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক। যদি এটি চাইতেন, তারা আদালতে বড় বড় আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়তেন। তারা কিন্তু মামলা লড়েন না। কারণ তিনি মুক্তি পেলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের মাতবরিটা আর থাকে না। রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকালে আলোচনাসভা ও বিশেষ শিশুদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা কিছুদিন আগে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া এমন অসুস্থ যে তাকে যদি বিদেশ নেওয়া না হয় উনি মারা যাবেন। তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, তারা চাইছিলেন খালেদা জিয়া মারা যাক। তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেলেন। ‘আর মির্জা ফখরুল সাহেবদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে, দেশে গত ১৪ বছরে কিছু হয়নি’ মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে জনসভা করে আর বলে দেশে কিছু হয়নি। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলে দেশে কিছু হয়নি। ফখরুল সাহেবদের বলি, একটু পেছন ফিরে তাকান। আপনারা দেশকে কী উপহার দিয়েছিলেন! দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন। পাঁচশ জায়গায় একযোগে বোমা, শায়খ আব্দুর রহমান আর বাংলাভাই। হাওয়া ভবন বানিয়ে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছেন। আমোদফুর্তি করার জন্য আবার খোয়াব ভবনও বানিয়েছিলেন। আর আপনারা সারা দেশে খাম্বা লাগিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ দিতে পারেননি। শেখ হাসিনা আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সোমবারের বিবৃতির বিরুদ্ধে হাছান মাহমুদ দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র দেশে সড়কের যে উন্নয়ন করেছে, সেই মন্ত্রণালয় হচ্ছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, যার মন্ত্রী আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজকের পদ্মা সেতু সেই মন্ত্রণালয়ের অধীনেই বাস্তবায়িত হয়েছে। আজকের যে কর্ণফুলী টানেল, যে মেট্রোরেল সেটিও সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়েছে। তিনি একজন সফল মন্ত্রী। আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবের পদত্যাগ করা উচিত।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিএনপি নেতারা চান না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে বিএনপি নেতারা চান না বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক। যদি এটি চাইতেন, তারা আদালতে বড় বড় আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়তেন। তারা কিন্তু মামলা লড়েন না। কারণ তিনি মুক্তি পেলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের মাতবরিটা আর থাকে না। রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকালে আলোচনাসভা ও বিশেষ শিশুদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা কিছুদিন আগে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া এমন অসুস্থ যে তাকে যদি বিদেশ নেওয়া না হয় উনি মারা যাবেন। তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, তারা চাইছিলেন খালেদা জিয়া মারা যাক। তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেলেন। ‘আর মির্জা ফখরুল সাহেবদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে, দেশে গত ১৪ বছরে কিছু হয়নি’ মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে জনসভা করে আর বলে দেশে কিছু হয়নি। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলে দেশে কিছু হয়নি। ফখরুল সাহেবদের বলি, একটু পেছন ফিরে তাকান। আপনারা দেশকে কী উপহার দিয়েছিলেন! দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন। পাঁচশ জায়গায় একযোগে বোমা, শায়খ আব্দুর রহমান আর বাংলাভাই। হাওয়া ভবন বানিয়ে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছেন। আমোদফুর্তি করার জন্য আবার খোয়াব ভবনও বানিয়েছিলেন। আর আপনারা সারা দেশে খাম্বা লাগিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ দিতে পারেননি। শেখ হাসিনা আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সোমবারের বিবৃতির বিরুদ্ধে হাছান মাহমুদ দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র দেশে সড়কের যে উন্নয়ন করেছে, সেই মন্ত্রণালয় হচ্ছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, যার মন্ত্রী আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজকের পদ্মা সেতু সেই মন্ত্রণালয়ের অধীনেই বাস্তবায়িত হয়েছে। আজকের যে কর্ণফুলী টানেল, যে মেট্রোরেল সেটিও সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়েছে। তিনি একজন সফল মন্ত্রী। আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবের পদত্যাগ করা উচিত।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ প্রমুখ।