ফতুল্লায় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
যৌতুকের দাবি
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ দিন পর মারা গেছেন। রোববার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ফাতেমার মৃত্যু হয়। ফতুল্লার লালপুর কাজী বাড়িতে ৯ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে রহস্যজনক এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে বখাটে স্বামী আরিফ হোসেন ওই ১৭ দিনের মধ্যে ফাতেমার বাবার বাড়ির কাউকে কিছুই জানায়নি।
সোমবার বিকালে ফাতেমার বড় ভাই মুন্না বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ করে লাশ ময়নাতদন্ত করিয়েছেন। ফাতেমা আক্তার (৩২) ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর সর্দার বাড়ির মৃত. মোসলে উদ্দিনের মেয়ে।
মুন্না জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ার আলী আহম্মদের ছেলে আরিফ হোসেনের কাছে ১৫ বছর পূর্বে ফাতেমা আক্তারকে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নানাভাবে ফাতেমাকে নির্যাতন করত। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে শিশু সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি ইজিবাইক কেনার জন্য এক লাখ টাকা ফাতেমার কাছে দাবি করেন আরিফ। সেই টাকা ফাতেমা দিতে পারেনি বলে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় আরিফ।
তিনি আরও জানান, যৌতুকের টাকা না পেয়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ফাতেমার শরীরে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আরিফ ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় ফাতেমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। ফাতেমার মাথার চুলসহ শরীরের অধিকাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মৃত্যুর পর যখন লাশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাবা মা ছাড়া দেয়নি। তখন আরিফ আমাকে ফাতেমার মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছে। এরপর গিয়ে লাশ শনাক্ত করে ময়নাতদন্ত করিয়েছি। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যৌতুকের দাবি
ফতুল্লায় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ দিন পর মারা গেছেন। রোববার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ফাতেমার মৃত্যু হয়। ফতুল্লার লালপুর কাজী বাড়িতে ৯ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে রহস্যজনক এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে বখাটে স্বামী আরিফ হোসেন ওই ১৭ দিনের মধ্যে ফাতেমার বাবার বাড়ির কাউকে কিছুই জানায়নি।
সোমবার বিকালে ফাতেমার বড় ভাই মুন্না বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ করে লাশ ময়নাতদন্ত করিয়েছেন। ফাতেমা আক্তার (৩২) ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর সর্দার বাড়ির মৃত. মোসলে উদ্দিনের মেয়ে।
মুন্না জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ার আলী আহম্মদের ছেলে আরিফ হোসেনের কাছে ১৫ বছর পূর্বে ফাতেমা আক্তারকে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নানাভাবে ফাতেমাকে নির্যাতন করত। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে শিশু সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি ইজিবাইক কেনার জন্য এক লাখ টাকা ফাতেমার কাছে দাবি করেন আরিফ। সেই টাকা ফাতেমা দিতে পারেনি বলে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় আরিফ।
তিনি আরও জানান, যৌতুকের টাকা না পেয়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ফাতেমার শরীরে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আরিফ ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় ফাতেমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। ফাতেমার মাথার চুলসহ শরীরের অধিকাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মৃত্যুর পর যখন লাশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাবা মা ছাড়া দেয়নি। তখন আরিফ আমাকে ফাতেমার মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছে। এরপর গিয়ে লাশ শনাক্ত করে ময়নাতদন্ত করিয়েছি। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।