এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ ৫ জনের নামে দুদকের মামলা
jugantor
দুর্নীতির অভিযোগ
এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ ৫ জনের নামে দুদকের মামলা

  গাজীপুর প্রতিনিধি  

২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

এনসিসি ব্যাংকের ম্যানেজারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-গাজীপুর। প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংক তথা সরকারের এক কোটি ষাট লক্ষ আটাশি হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ওই কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে সোমবার মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হচ্ছে-এনসিসি ব্যাংকের নরসিংদী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত) নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমান ও সাবেক অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড নরসিংদী শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন ও কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমান শাখায় বিভিন্ন গ্রাহকের নামে পরিচালিত বিশেষ সঞ্চয়ী হিসাব বা তাদের অজ্ঞাতসারে অন্য গ্রাহকের হিসাব সংযুক্ত করে অথবা ভুয়া মেয়াদি আমানত জামানত দেখিয়ে ঋণ হিসাব খোলেন। তারা প্রকৃত ঋণ হিসাব সমন্বয় করার পরও হিসাবটি বন্ধ না করে সচল রেখে ভুয়াভাবে এসওডি ঋণের লিমিট মঞ্জুর দেখান। পরে মঞ্জুরিপত্র প্রস্তুত, এমনকি মঞ্জুরিপত্র ছাড়াই শাখা ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম ও অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম ২৫ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার ৫১টি পে-অর্ডার ইস্যু করেন। পরে অর্থ আত্মসাতের অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ বা উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন উল্লিখিত পে-অর্ডারগুলো অ্যাকাউন্ট-পেয়ি বাতিল করে ক্যাশে পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। পরে কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমানের কাছে প্রদান করেন। আসামি মো. সাইফুর রহমান বা অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম পে-অর্ডারের স্বাক্ষর যাচাইপূর্বক স্বাক্ষর দিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ ও উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন অথবা এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে পে-অর্ডারগুলো নগদায়নের নিমিত্ত উপস্থাপন করেন। তারা পে-অর্ডারটি নগদ পরিশোধের নিমিত্তে পাশ করে ব্যাংকের কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমানের কাছে প্রদান করেন। মো. সাইফুর রহমান পে-অর্ডারের অপর পৃষ্ঠায় নিজেই বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে ক্যাশ থেকে নগদে এক কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

দুর্নীতির অভিযোগ

এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ ৫ জনের নামে দুদকের মামলা

 গাজীপুর প্রতিনিধি 
২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

এনসিসি ব্যাংকের ম্যানেজারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-গাজীপুর। প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংক তথা সরকারের এক কোটি ষাট লক্ষ আটাশি হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ওই কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে সোমবার মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হচ্ছে-এনসিসি ব্যাংকের নরসিংদী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত) নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমান ও সাবেক অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড নরসিংদী শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন ও কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমান শাখায় বিভিন্ন গ্রাহকের নামে পরিচালিত বিশেষ সঞ্চয়ী হিসাব বা তাদের অজ্ঞাতসারে অন্য গ্রাহকের হিসাব সংযুক্ত করে অথবা ভুয়া মেয়াদি আমানত জামানত দেখিয়ে ঋণ হিসাব খোলেন। তারা প্রকৃত ঋণ হিসাব সমন্বয় করার পরও হিসাবটি বন্ধ না করে সচল রেখে ভুয়াভাবে এসওডি ঋণের লিমিট মঞ্জুর দেখান। পরে মঞ্জুরিপত্র প্রস্তুত, এমনকি মঞ্জুরিপত্র ছাড়াই শাখা ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম ও অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম ২৫ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার ৫১টি পে-অর্ডার ইস্যু করেন। পরে অর্থ আত্মসাতের অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ বা উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন উল্লিখিত পে-অর্ডারগুলো অ্যাকাউন্ট-পেয়ি বাতিল করে ক্যাশে পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। পরে কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমানের কাছে প্রদান করেন। আসামি মো. সাইফুর রহমান বা অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম পে-অর্ডারের স্বাক্ষর যাচাইপূর্বক স্বাক্ষর দিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ ও উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন অথবা এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে পে-অর্ডারগুলো নগদায়নের নিমিত্ত উপস্থাপন করেন। তারা পে-অর্ডারটি নগদ পরিশোধের নিমিত্তে পাশ করে ব্যাংকের কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমানের কাছে প্রদান করেন। মো. সাইফুর রহমান পে-অর্ডারের অপর পৃষ্ঠায় নিজেই বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে ক্যাশ থেকে নগদে এক কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন