রমজানে বেপরোয়া আড়তদাররা
টঙ্গীতে কলা পাকানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যালে
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো হচ্ছে কলা। মাহে রমজানে কলার ব্যাপক চাহিদা থাকায় অসাধু আড়তদাররা বেপরোয়া উঠেছেন। টঙ্গীর খাঁ-পাড়া রোডের শরীফ কলার আড়ত ও চেরাগ আলী আড়তে কলা পাকানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যালের মাধ্যমে। বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো কলা সরবরাহ করা হচ্ছে টঙ্গীর বিভিন্ন হাটবাজার, ফুটপাতের দোকান, স্কুল-কলেজের পাশের দোকানসহ নানাস্থানে। এছাড়াও এসব বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো কলা ভ্যানে করে প্রতিটি বাসা বাড়ির সামনে বিক্রি করা হচ্ছে। কলা পাকা মনে হলেও উপরে চামড়া হলুদ কিন্তু ভেতরে কাঁচা। এসব বিষাক্ত কলা খেয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ সব শ্রেণির মানুষ দিন দিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল ঘনিয়ে আসতেই খাঁ-পাড়া রোডের শরীফ কলার আড়ত ও চেরাগ আলী মোল্লা মার্কেটের পেছনে কলার আড়তে গণহারে কাঁচা ও অপরিপক্ব কলায় এসব বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানোর হিড়িক পড়ে যায়।
চেরাগ আলী মার্কেটের কলার আড়তদার জাহাঙ্গীর আলম ও আফজাল হোসেন বলেন, রমজানে কলার চাহিদা বেশি হওয়ায় তাড়াতাড়ি কলা পাকাতে হয়। এজন্য কলা কেমিক্যালের পানিতে চুবিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। এব্যাপারে গাজীপুর জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন বলেন, টঙ্গীর কলার আড়তগুলোতে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কলায় ব্যবহৃত কপার সালফেট পেন্ট্রাহাইড্রেট, প্রোমেটসহ অন্যান্য যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় সেগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব কেমিক্যাল মানবদেহে প্রবেশের ফলে লিভার, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যেতে পারে। এছাড়া কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত কলা খেলে অন্ত্রের ও খাদ্যনালির ক্যানসার হতে পারে।
টঙ্গীতে কলা পাকানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যালে
রমজানে বেপরোয়া আড়তদাররা
মো. জাকির হোসেন, টঙ্গী
২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো হচ্ছে কলা। মাহে রমজানে কলার ব্যাপক চাহিদা থাকায় অসাধু আড়তদাররা বেপরোয়া উঠেছেন। টঙ্গীর খাঁ-পাড়া রোডের শরীফ কলার আড়ত ও চেরাগ আলী আড়তে কলা পাকানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যালের মাধ্যমে। বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো কলা সরবরাহ করা হচ্ছে টঙ্গীর বিভিন্ন হাটবাজার, ফুটপাতের দোকান, স্কুল-কলেজের পাশের দোকানসহ নানাস্থানে। এছাড়াও এসব বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো কলা ভ্যানে করে প্রতিটি বাসা বাড়ির সামনে বিক্রি করা হচ্ছে। কলা পাকা মনে হলেও উপরে চামড়া হলুদ কিন্তু ভেতরে কাঁচা। এসব বিষাক্ত কলা খেয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ সব শ্রেণির মানুষ দিন দিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল ঘনিয়ে আসতেই খাঁ-পাড়া রোডের শরীফ কলার আড়ত ও চেরাগ আলী মোল্লা মার্কেটের পেছনে কলার আড়তে গণহারে কাঁচা ও অপরিপক্ব কলায় এসব বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানোর হিড়িক পড়ে যায়।
চেরাগ আলী মার্কেটের কলার আড়তদার জাহাঙ্গীর আলম ও আফজাল হোসেন বলেন, রমজানে কলার চাহিদা বেশি হওয়ায় তাড়াতাড়ি কলা পাকাতে হয়। এজন্য কলা কেমিক্যালের পানিতে চুবিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। এব্যাপারে গাজীপুর জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন বলেন, টঙ্গীর কলার আড়তগুলোতে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কলায় ব্যবহৃত কপার সালফেট পেন্ট্রাহাইড্রেট, প্রোমেটসহ অন্যান্য যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় সেগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব কেমিক্যাল মানবদেহে প্রবেশের ফলে লিভার, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যেতে পারে। এছাড়া কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত কলা খেলে অন্ত্রের ও খাদ্যনালির ক্যানসার হতে পারে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023