ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, সেই দুঃস্বপ্ন আজও তাড়া করে তাইজুলদের
স্পোর্টস ডেস্ক
১৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
১৫ মার্চ ২০১৯। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছে একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অনুশীলন শেষে জুমার নামাজ আদায় করতে ওই মসজিদে যান তামিম ইকবালরা। স্থানীয় এক ব্যক্তি মসজিদে যেতে নিষেধ করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
তিনি জানান, মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফিরে আসেন। জুমার নামাজে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ৪৯ জন। অল্পের জন্য ওই বিভীষিকাময় হামলা থেকে রক্ষা পান মাহমুদউল্লাহ, তামিমরা।
আগামীকাল সেই সন্ত্রাসী হামলার এক বছর পূর্ণ হবে। দিনটি স্মরণে নিউজিল্যান্ড সরকার দু’দিনের কর্মসূচি নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার হ্যাগলি ওভালে সেই আল-নুর মসজিদে বিশেষ জুমার নামাজের আয়োজন করা হয়। এক বছর আগে সেই সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
রোববারও নিউজিল্যান্ড সরকার আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। আল-নুর মসজিদে সেদিনের কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পরে ওই সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ বলেছিলেন, ‘আমাদের ভাগ্য খুবই ভালো যে, আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি। বাসে আমরা ১৭ জন ছিলাম। মসজিদের মাত্র ৫০ গজ দূরে ছিল আমাদের বাস। বাস থেকে দেখা যাচ্ছিল।’
এক বছর হয়ে গেলেও ক্রিকেটারদের মনে এখনও দাগ কেটে রয়েছে সেই ভয়াল ঘটনা। কাল তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা কখনই ভোলার নয়। প্রায় প্রতিদিনই ওই ঘটনা মনে পড়ে। এমন ভয়ানক অভিজ্ঞতা যে আর নেই আমাদের।’
নিউজিল্যান্ড নিরাপদ দেশ হওয়ার পরও সন্ত্রাসী হামলার সামনে পড়তে হয়েছিল। পাকিস্তান বা অন্য দেশে যাওয়ার আগে সেই আতঙ্ক কাজ করে কিনা- জানতে চাইলে তাইজুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু কোনো সফরের আগে বা সফর সামনে রেখে আলোচনা করব এমনটা নয়। পাকিস্তানেও তো আমরা ভালোভাবে খেলে এসেছি।’
ওই দলের সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। মিরাজ বলেন, ‘এমন ভয়ানক ঘটনা চাইলেও মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। দোয়া করি এমন ঘটনার সামনে যেন আর না পড়তে হয়।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, সেই দুঃস্বপ্ন আজও তাড়া করে তাইজুলদের
১৫ মার্চ ২০১৯। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছে একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অনুশীলন শেষে জুমার নামাজ আদায় করতে ওই মসজিদে যান তামিম ইকবালরা। স্থানীয় এক ব্যক্তি মসজিদে যেতে নিষেধ করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
তিনি জানান, মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফিরে আসেন। জুমার নামাজে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ৪৯ জন। অল্পের জন্য ওই বিভীষিকাময় হামলা থেকে রক্ষা পান মাহমুদউল্লাহ, তামিমরা।
আগামীকাল সেই সন্ত্রাসী হামলার এক বছর পূর্ণ হবে। দিনটি স্মরণে নিউজিল্যান্ড সরকার দু’দিনের কর্মসূচি নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার হ্যাগলি ওভালে সেই আল-নুর মসজিদে বিশেষ জুমার নামাজের আয়োজন করা হয়। এক বছর আগে সেই সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
রোববারও নিউজিল্যান্ড সরকার আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। আল-নুর মসজিদে সেদিনের কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পরে ওই সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ বলেছিলেন, ‘আমাদের ভাগ্য খুবই ভালো যে, আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি। বাসে আমরা ১৭ জন ছিলাম। মসজিদের মাত্র ৫০ গজ দূরে ছিল আমাদের বাস। বাস থেকে দেখা যাচ্ছিল।’
এক বছর হয়ে গেলেও ক্রিকেটারদের মনে এখনও দাগ কেটে রয়েছে সেই ভয়াল ঘটনা। কাল তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা কখনই ভোলার নয়। প্রায় প্রতিদিনই ওই ঘটনা মনে পড়ে। এমন ভয়ানক অভিজ্ঞতা যে আর নেই আমাদের।’
নিউজিল্যান্ড নিরাপদ দেশ হওয়ার পরও সন্ত্রাসী হামলার সামনে পড়তে হয়েছিল। পাকিস্তান বা অন্য দেশে যাওয়ার আগে সেই আতঙ্ক কাজ করে কিনা- জানতে চাইলে তাইজুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু কোনো সফরের আগে বা সফর সামনে রেখে আলোচনা করব এমনটা নয়। পাকিস্তানেও তো আমরা ভালোভাবে খেলে এসেছি।’
ওই দলের সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। মিরাজ বলেন, ‘এমন ভয়ানক ঘটনা চাইলেও মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। দোয়া করি এমন ঘটনার সামনে যেন আর না পড়তে হয়।’