করোনার চেয়েও খারাপ সময় গেছে আশরাফুলের
করোনাভাইরাসের চেয়েও খারাপ সময় পার করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘একজন আমাকে বলছিলেন, করোনায় আমরা সবাই ঘরবন্দি। আপনার কেমন লাগছে? আমি বললাম, আমার খুব একটা খারাপ লাগছে না। তিনি একটু অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, বলেন কী? এমন অস্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে? এতেও আপনার খারাপ লাগছে না? আমি বললাম- ভাইরে, আমি আমার জীবনে করোনার চেয়েও কঠিন সময় পার করেছি। যখন ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত হয়ে আমাকে নিষিদ্ধ করা হল, আমি ম্যাচ ও স্পট-ফিক্সিং করার কথা স্বীকার করে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলাম, তখনকার অবস্থা ছিল এরচেয়েও খারাপ।’ ২০১৩ সালের বিপিএলে ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন আশরাফুল।
২০১৬ সালে আশরাফুলকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেয়া হয়। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় তার। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায় দুর্বিষহ হয়ে পড়ে তার জীবন। এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এখনও মনে আছে কী ভীষণ মানসিক উৎপীড়ন ছিল সেটা। সবাই জানল আমি অপরাধ করেছি। অন্যায় করেছি। ম্যাচ পাতিয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই আমি তখন সবার চোখে অপরাধী। সবাই বাঁকা চোখে দেখতে শুরু করল। অনেক কাছের মানুষও দূরে সরে গেলেন। প্রিয়জনদের কেউ কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
প্রতিনিয়ত মনে হতো, এরকম একটা অবস্থায় আমি কী করে বেঁচে থাকব?’ তিনি বলেন, ‘ভাবতাম, কী করে জনসম্মুখে মুখ দেখাব? আমার পরিবারের কাছে কী বলব? তাদের কী অবস্থা হবে? সামাজিকভাবে আমি ও আমার পরিবার যে হেয় প্রতিপন্ন হব, এটা ঢাকব কী করে? একসময় আমার মনে হয়েছিল এ জীবন আর রেখে কী লাভ, তার চেয়ে বরং আত্মহত্যা করি। তারপর আমি হজে যাই। হজে গিয়ে আমার মনমানসিকতায় পরিবর্তন আসে।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
করোনার চেয়েও খারাপ সময় গেছে আশরাফুলের
করোনাভাইরাসের চেয়েও খারাপ সময় পার করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘একজন আমাকে বলছিলেন, করোনায় আমরা সবাই ঘরবন্দি। আপনার কেমন লাগছে? আমি বললাম, আমার খুব একটা খারাপ লাগছে না। তিনি একটু অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, বলেন কী? এমন অস্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে? এতেও আপনার খারাপ লাগছে না? আমি বললাম- ভাইরে, আমি আমার জীবনে করোনার চেয়েও কঠিন সময় পার করেছি। যখন ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত হয়ে আমাকে নিষিদ্ধ করা হল, আমি ম্যাচ ও স্পট-ফিক্সিং করার কথা স্বীকার করে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলাম, তখনকার অবস্থা ছিল এরচেয়েও খারাপ।’ ২০১৩ সালের বিপিএলে ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন আশরাফুল।
২০১৬ সালে আশরাফুলকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেয়া হয়। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় তার। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায় দুর্বিষহ হয়ে পড়ে তার জীবন। এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এখনও মনে আছে কী ভীষণ মানসিক উৎপীড়ন ছিল সেটা। সবাই জানল আমি অপরাধ করেছি। অন্যায় করেছি। ম্যাচ পাতিয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই আমি তখন সবার চোখে অপরাধী। সবাই বাঁকা চোখে দেখতে শুরু করল। অনেক কাছের মানুষও দূরে সরে গেলেন। প্রিয়জনদের কেউ কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
প্রতিনিয়ত মনে হতো, এরকম একটা অবস্থায় আমি কী করে বেঁচে থাকব?’ তিনি বলেন, ‘ভাবতাম, কী করে জনসম্মুখে মুখ দেখাব? আমার পরিবারের কাছে কী বলব? তাদের কী অবস্থা হবে? সামাজিকভাবে আমি ও আমার পরিবার যে হেয় প্রতিপন্ন হব, এটা ঢাকব কী করে? একসময় আমার মনে হয়েছিল এ জীবন আর রেখে কী লাভ, তার চেয়ে বরং আত্মহত্যা করি। তারপর আমি হজে যাই। হজে গিয়ে আমার মনমানসিকতায় পরিবর্তন আসে।’