তিনে তিন চট্টগ্রাম
মুমিনুল হক চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ মিলেছে সৈকত আলীর। বঙ্গবন্ধু টি ২০ কাপে প্রথম খেলতে নেমেই ফিনিশিংয়ের কাজটা দারুণভাবে করলেন তিনি। সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে সৈকতের ঝড়ো ইনিংসেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম (১৫১/৭)। এরপর শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে নিশ্চিত হয় জয়। ১৫২ রান তাড়া করতে নেমে আট উইকেটে ১৪১ করতে পারে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। ১০ রানের জয়ে তিনে তিন করল চট্টগ্রাম। হ্যাটট্রিক জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানও ধরে রেখেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। আর তিন ম্যাচে দুটিতে হারল বরিশাল।
প্রথম দুই ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম নয় উইকেটে জিতেছিল। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শুরুটা তেমন হয়নি। প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে একশ’র নিচে আটকে রেখে দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ভালো শুরু করেছিলেন। কাল মাত্র পাঁচ রানেই আউট হন সৌম্য। লিটন ২৫ বলে ৩৫ করে ফেরেন। দলীয় সর্বোচ্চ রানটা তারই। মিডলঅর্ডারে শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। শেষদিকে সৈকত আলীর ১১ বলে ২৭ রানে সাত উইকেটে ১৫১ রান করে চট্টগ্রাম। চার পেসার খেলায় বরিশাল। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আবু জায়েদ। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে বরিশালের শুরুটা ভালো হয়েছিল। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ এদিনও ১৩ করে আউট হন। মোস্তাফিজের শিকার হন পারভেজ হোসেন। তবু তামিম ও আফিফের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল বরিশাল। তামিম (৩২) আউট হওয়ার পরও একসময় তিন উইকেটে তাদের স্কোর ছিল ৯৯। তবে মিডলঅর্ডারের ব্যর্থতার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি বরিশাল। দুই বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ও মোস্তাফিজের তিনটি করে উইকেটে ১৪১ রানে থামে বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৫১/৭, ২০ ওভারে (লিটন ৩৫, মিঠুন ১৭, শামসুর ২৬, মোসাদ্দেক ২৮, সৈকত ২৭। আবু জায়েদ ২/৪২)। ফরচুন বরিশাল ১৪১/৮, ২০ ওভারে (মিরাজ ১৩, তামিম ৩২, আফিফ ২৪, তৌহিদ ১৭, সুমন খান ১৫*। শরিফুল ইসলাম ৩/২৭, মোস্তাফিজুর রহমান ৩/২৩)। ফল : চট্টগ্রাম ১০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শরিফুল ইসলাম (চট্টগ্রাম)।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
তিনে তিন চট্টগ্রাম
মুমিনুল হক চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ মিলেছে সৈকত আলীর। বঙ্গবন্ধু টি ২০ কাপে প্রথম খেলতে নেমেই ফিনিশিংয়ের কাজটা দারুণভাবে করলেন তিনি। সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে সৈকতের ঝড়ো ইনিংসেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম (১৫১/৭)। এরপর শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে নিশ্চিত হয় জয়। ১৫২ রান তাড়া করতে নেমে আট উইকেটে ১৪১ করতে পারে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। ১০ রানের জয়ে তিনে তিন করল চট্টগ্রাম। হ্যাটট্রিক জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানও ধরে রেখেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। আর তিন ম্যাচে দুটিতে হারল বরিশাল।
প্রথম দুই ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম নয় উইকেটে জিতেছিল। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শুরুটা তেমন হয়নি। প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে একশ’র নিচে আটকে রেখে দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ভালো শুরু করেছিলেন। কাল মাত্র পাঁচ রানেই আউট হন সৌম্য। লিটন ২৫ বলে ৩৫ করে ফেরেন। দলীয় সর্বোচ্চ রানটা তারই। মিডলঅর্ডারে শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। শেষদিকে সৈকত আলীর ১১ বলে ২৭ রানে সাত উইকেটে ১৫১ রান করে চট্টগ্রাম। চার পেসার খেলায় বরিশাল। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আবু জায়েদ। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে বরিশালের শুরুটা ভালো হয়েছিল। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ এদিনও ১৩ করে আউট হন। মোস্তাফিজের শিকার হন পারভেজ হোসেন। তবু তামিম ও আফিফের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল বরিশাল। তামিম (৩২) আউট হওয়ার পরও একসময় তিন উইকেটে তাদের স্কোর ছিল ৯৯। তবে মিডলঅর্ডারের ব্যর্থতার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি বরিশাল। দুই বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ও মোস্তাফিজের তিনটি করে উইকেটে ১৪১ রানে থামে বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৫১/৭, ২০ ওভারে (লিটন ৩৫, মিঠুন ১৭, শামসুর ২৬, মোসাদ্দেক ২৮, সৈকত ২৭। আবু জায়েদ ২/৪২)। ফরচুন বরিশাল ১৪১/৮, ২০ ওভারে (মিরাজ ১৩, তামিম ৩২, আফিফ ২৪, তৌহিদ ১৭, সুমন খান ১৫*। শরিফুল ইসলাম ৩/২৭, মোস্তাফিজুর রহমান ৩/২৩)। ফল : চট্টগ্রাম ১০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শরিফুল ইসলাম (চট্টগ্রাম)।