নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্তির পরামর্শে উত্তপ্ত ক্রীড়াঙ্গন
ক্রীড়া প্রতিবেদক
২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বডিবিল্ডার জাহিদ হাসানের শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত কাণ্ডে তাকে বহিষ্কার এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে উত্তপ্ত ক্রীড়াঙ্গন। শরীরগঠন ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত করে অ্যাডহক কমিটি গড়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। নিষিদ্ধ ক্রীড়াবিদের জন্য তদন্ত কমিটির শরীরগঠন ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি বিলুপ্তির পরামর্শে ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রীড়া সংগঠকরা। গত ডিসেম্বরে জাতীয় শরীরগঠন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়ার পর রাগে পুরস্কারে লাথি মেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন জাহিদ। পরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল হোসেন ও উপসচিব লিয়াকত আলীর
সমন্বয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক এসএম শাহ হাবিবুর রহমান হাকিমের সই করা তদন্ত প্রতিবেদনে (স্মারক নং-৩৪.০৩.০০০০. ০০০.০১.০০৫.২২.৫০) উলটো ফেডারেশনের নির্বাচিত নির্বাহী কমিটিকে বিলুপ্তির পরামর্শ দেওয়া হয়।
শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে জাহিদকে শাস্তি দিয়ে শরীরগঠন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা শাস্তির মুখে পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেডারেশন ফোরামের এক বর্ষীয়ান কর্মকর্তা বলেন, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ করা একজন খেলোয়াড়কে কি শাস্তি দেবে, সেই এখতিয়ার রয়েছে শুধু সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের। সেখানে উলটো ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।’ ওই সংগঠক বলেন, ‘তদন্ত কমিটির এমন সুপারিশ যদি প্রয়োগ করা হয়, তাহলে আশকারা পাবে খেলোয়াড়রা। তারা ভাববে, অন্যায় করেও পার পাওয়া যায় এবং ফেডারেশনকে বিপদে ফেলা যায়। ভবিষ্যতে অন্য ফেডারেশনের ক্রীড়াবিদরা শৃঙ্খলাভঙ্গ করেও একই পথে হাঁটবে। তাই একটি নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত করার পরামর্শ দেওয়া ঠিক হয়নি তদন্ত কমিটির।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্তির পরামর্শে উত্তপ্ত ক্রীড়াঙ্গন
বডিবিল্ডার জাহিদ হাসানের শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত কাণ্ডে তাকে বহিষ্কার এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে উত্তপ্ত ক্রীড়াঙ্গন। শরীরগঠন ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত করে অ্যাডহক কমিটি গড়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। নিষিদ্ধ ক্রীড়াবিদের জন্য তদন্ত কমিটির শরীরগঠন ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি বিলুপ্তির পরামর্শে ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রীড়া সংগঠকরা। গত ডিসেম্বরে জাতীয় শরীরগঠন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়ার পর রাগে পুরস্কারে লাথি মেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন জাহিদ। পরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল হোসেন ও উপসচিব লিয়াকত আলীর
সমন্বয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক এসএম শাহ হাবিবুর রহমান হাকিমের সই করা তদন্ত প্রতিবেদনে (স্মারক নং-৩৪.০৩.০০০০. ০০০.০১.০০৫.২২.৫০) উলটো ফেডারেশনের নির্বাচিত নির্বাহী কমিটিকে বিলুপ্তির পরামর্শ দেওয়া হয়।
শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে জাহিদকে শাস্তি দিয়ে শরীরগঠন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা শাস্তির মুখে পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেডারেশন ফোরামের এক বর্ষীয়ান কর্মকর্তা বলেন, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ করা একজন খেলোয়াড়কে কি শাস্তি দেবে, সেই এখতিয়ার রয়েছে শুধু সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের। সেখানে উলটো ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।’ ওই সংগঠক বলেন, ‘তদন্ত কমিটির এমন সুপারিশ যদি প্রয়োগ করা হয়, তাহলে আশকারা পাবে খেলোয়াড়রা। তারা ভাববে, অন্যায় করেও পার পাওয়া যায় এবং ফেডারেশনকে বিপদে ফেলা যায়। ভবিষ্যতে অন্য ফেডারেশনের ক্রীড়াবিদরা শৃঙ্খলাভঙ্গ করেও একই পথে হাঁটবে। তাই একটি নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত করার পরামর্শ দেওয়া ঠিক হয়নি তদন্ত কমিটির।’