শেষ পর্যন্ত লাল উৎসব

ডর্টমুন্ডের উপহার বায়ার্ন মিউনিখকে

 ক্রীড়া ডেস্ক 
২৮ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বায়ার্ন মিউনিখের একাধিপত্যে ছেদ টেনে ১১ বছর পর বুন্দেসলিগা জয়ের হাতছানিতে কদিন ধরে ডর্টমুন্ড শহরে যেন বসন্ত নেমেছিল। দিগন্তজুড়ে শুধু হলুদের সমারোহ। শেষ রাউন্ডের আগে বায়ার্নের চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জয়ের ব্যাপারে এতটাই আÍবিশ্বাসী ছিলেন যে, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ক্রীড়া পরিচালক সেবাস্তিয়ান খেল ঘোষণার সুরেই বলেছিলেন, ‘শনিবার উৎসবের পর রোববার আমাদের গ্লাসে ওয়াইন থাকবে। আমরা সবকিছু উপভোগ করব।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাল উৎসব হলো মিউনিখে। শনিবার শেষ রাউন্ডে ঘরের মাঠে মাইঞ্জের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেও বায়ার্নের হাতে শিরোপা তুলে দিল ডর্টমুন্ড। সিগনাল ইদুনা পার্কে ওঠা হলুদ ঢেউ মিলিয়ে গেল নির্জনতায়। ডর্টমুন্ডের ড্রয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোলনের বিপক্ষে ২-১ গোলের নাটকীয় জয়ে পাশার দান উলটে দিয়ে বুন্দেসলিগায় টানা ১১বার চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন। ২০১২ সালে সবশেষ লিগ শিরোপা জেতা ডর্টমুন্ডের এ দুঃখ ভুলতে অনেকদিন লাগবে।

শেষ ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন, এমন সমীকরণে মাঠে নেমে প্রথমার্ধেই দুই গোল খেয়ে বসে ডর্টমুন্ড। অন্যদিকে কোলনের মাঠে কোমানের গোলে শুরুতে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৬৯ মিনিটে ডর্টমুন্ড ব্যবধান কমানোর পর নিজেদের ম্যাচে ৮১ মিনিটে গোল খেয়ে বসে বায়ার্ন। শেষ পর্যন্ত বায়ার্ন ড্র করলে হেরেও চ্যাম্পিয়ন হতো ডর্টমুন্ড। কিন্তু ৮৯ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার গোলে হুলুদকে বিষাদের রং বানিয়ে বায়ার্নই করল শিরোপা উৎসব। শেষ মুহূর্তের গোলে হার এগিয়েও লাভ হয়নি ডর্টমুন্ডের। ৩৪ ম্যাচে বায়ার্ন ও ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট সমান ৭১। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন