৭৫০ ডলারের উপহার নিয়ে আইসিসির জালে নাসির

আটজনের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতির অভিযোগ
 ক্রীড়া প্রতিবেদক 
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ দলের বাইরে নাসির হোসেন। তবে এই সময়েও সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি একাধিকবার। সেটি অবশ্য ক্রিকেটের জন্য নয়, অক্রিকেটীয় কারণে। এখানেও তিনি একজন ‘অলরাউন্ডার’। সবশেষ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অ্যান্টি করাপশন ইউনিট নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০-২১ আবুধাবি টি ২০ ক্রিকেট লিগে খেলার সময় তিনি ৭৫০ ডলারেরও বেশি দামি উপহার গ্রহণ করেছিলেন। যা ওই টুর্নামেন্টের আয়োজক এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিসি) নিয়মের সুস্পষ্ট লংঘন। নাসির ওই টুর্নামেন্টে পুনে ডেভিলসের অধিনায়ক ছিলেন। এই অলরাউন্ডার ছাড়াও আরও সাতজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে শুধু নাসিরের। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আইনের তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২.৪.৩ ধারায় বলা হয়েছে, নাসির ৭৫০ ডলারেরও বেশি মূল্যের উপহারের রসিদ দায়িত্বপ্রাপ্ত দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৪ ধারায় আছে, সম্ভাব্য দুর্নীতির কোনো প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের বিস্তারিত তথ্য দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এছাড়া ২.৪.৫ ধারা অনুযায়ী, সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্তে কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কিংবা ব্যর্থ হয়েছেন নাসির।

অভিযুক্ত বাকি সাতজন হলেন-দলের দুই সহমালিক কৃষান কুমার চৌধুরী ও পরাগ সাংভি, ব্যাটিং কোচ আজহার জায়েদি, সহকারী কোচ সানি ধিলন, ম্যানেজার শাদাব আহমেদ এবং দুই স্থানীয় ক্রিকেটার সালিয়া সামান ও রিজওয়ান জাভেদ। অভিযুক্তদের মধ্যে নাসির ও শাদাব ছাড়া বাকি ছয়জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আটজনকেই ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন