চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক
স্মরণ
ফেরদৌসী ইসলাম
১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ‘কিরমিজ কুটিরে’ ১৯৩০ সালের ৩ মার্চ এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মুনির উদ্দিন, মায়ের নাম গোল আরজান নেসা এবং সহধর্মিণীর নাম মাসুদা হক। ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক ১৯৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার মালদহ জেলার জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আইএসসি এবং ১৯৫২ সালে রাজশাহী মেডিকেল স্কুল (বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ) থেকে এলএমএফ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কেন্দ্রের নির্দেশে আসাম প্রদেশের সঙ্গে সিলেট জেলাকে অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য সিলেটে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেন। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান রাজশাহী সফরে এলে রাজশাহী কলেজের ছাত্ররা তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ডেপুটেশন প্রদানের কথিত অপরাধে তাকেসহ ১৬ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়।
ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক রাজশাহী মেডিকেল স্কুলে অধ্যয়নের সময় ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসের গেটে ইট-কাদা দিয়ে দেশের প্রথম শহিদ মিনার তৈরিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনিসহ ৪০ জন ছাত্রনেতা কারাবরণ করেন। ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৮০-র দশকের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে সংগঠিত করা এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এতদুদ্দেশে প্রথমে গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এবং পরবর্তী সময়ে সম্প্রসারিত ১০ সদস্যবিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটির তিনি অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তদানীন্তন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইপিআর (বর্তমানে বিজিবি) ক্যাম্পের সৈনিকরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিদ্রোহ করে তার সঙ্গে যুক্ত হন। এর মধ্য দিয়ে তিনি তদানীন্তন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহুকুমায় (বর্তমানে জেলা) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের গৌড় বাগান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তিনি ইনচার্জ ছিলেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালে মালদহে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠিত জোনাল অফিসের তিনি সহকারী চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধারে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক বাংলাদেশের গণপরিষদ সদস্য (১৯৭২-১৯৭৩) নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭২ সালে প্রথম হস্তলিখিত সংবিধানে স্বাক্ষরকারীদের একজন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গভর্নর নিযুক্ত করেন। তিনি একজন সমাজসেবক ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেডক্রস সমিতি, ডায়াবেটিক সমিতি, হার্ট ফাউন্ডেশন, অন্ধ কল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাধারণ পাঠাগার, টাউন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, নবাবগঞ্জ মহিলা সরকারি কলেজ, নবাবগঞ্জ শিশু শিক্ষানিকেতন, জিলা স্কুল, বালিয়াডাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসা, নবাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। খেলাধুলার প্রতিও তিনি প্রবল অনুরাগী ছিলেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সহসভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক দীর্ঘমেয়াদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক/সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সফলতার সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার গৌরবময় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আজীবন সম্মাননা পদক প্রদান করেন। তিনি ২০০৬ সালে নাটাব কর্তৃক আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক ২০০৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পাঁচ ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে যান। ২০১০ সালে বাচ্চু ডাক্তারের স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা হাসপাতাল রোডের নামকরণ করা হয় ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) রোড। ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবনির্মিত আধুনিক স্টেডিয়ামের নামকরণ করেন ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) স্টেডিয়াম। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে তাকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হয়।
ফেরদৌসী ইসলাম : সংসদ-সদস্য; ডা. আ আ ম মেসবাহুল হকের কন্যা
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্মরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক
ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ‘কিরমিজ কুটিরে’ ১৯৩০ সালের ৩ মার্চ এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মুনির উদ্দিন, মায়ের নাম গোল আরজান নেসা এবং সহধর্মিণীর নাম মাসুদা হক। ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক ১৯৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার মালদহ জেলার জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আইএসসি এবং ১৯৫২ সালে রাজশাহী মেডিকেল স্কুল (বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ) থেকে এলএমএফ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কেন্দ্রের নির্দেশে আসাম প্রদেশের সঙ্গে সিলেট জেলাকে অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য সিলেটে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেন। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান রাজশাহী সফরে এলে রাজশাহী কলেজের ছাত্ররা তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ডেপুটেশন প্রদানের কথিত অপরাধে তাকেসহ ১৬ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়।
ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক রাজশাহী মেডিকেল স্কুলে অধ্যয়নের সময় ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসের গেটে ইট-কাদা দিয়ে দেশের প্রথম শহিদ মিনার তৈরিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনিসহ ৪০ জন ছাত্রনেতা কারাবরণ করেন। ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৮০-র দশকের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে সংগঠিত করা এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এতদুদ্দেশে প্রথমে গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এবং পরবর্তী সময়ে সম্প্রসারিত ১০ সদস্যবিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটির তিনি অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তদানীন্তন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইপিআর (বর্তমানে বিজিবি) ক্যাম্পের সৈনিকরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিদ্রোহ করে তার সঙ্গে যুক্ত হন। এর মধ্য দিয়ে তিনি তদানীন্তন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহুকুমায় (বর্তমানে জেলা) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের গৌড় বাগান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তিনি ইনচার্জ ছিলেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালে মালদহে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠিত জোনাল অফিসের তিনি সহকারী চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধারে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক বাংলাদেশের গণপরিষদ সদস্য (১৯৭২-১৯৭৩) নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭২ সালে প্রথম হস্তলিখিত সংবিধানে স্বাক্ষরকারীদের একজন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গভর্নর নিযুক্ত করেন। তিনি একজন সমাজসেবক ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেডক্রস সমিতি, ডায়াবেটিক সমিতি, হার্ট ফাউন্ডেশন, অন্ধ কল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাধারণ পাঠাগার, টাউন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, নবাবগঞ্জ মহিলা সরকারি কলেজ, নবাবগঞ্জ শিশু শিক্ষানিকেতন, জিলা স্কুল, বালিয়াডাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসা, নবাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। খেলাধুলার প্রতিও তিনি প্রবল অনুরাগী ছিলেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সহসভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক দীর্ঘমেয়াদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক/সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সফলতার সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার গৌরবময় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আজীবন সম্মাননা পদক প্রদান করেন। তিনি ২০০৬ সালে নাটাব কর্তৃক আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক ২০০৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পাঁচ ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে যান। ২০১০ সালে বাচ্চু ডাক্তারের স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা হাসপাতাল রোডের নামকরণ করা হয় ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) রোড। ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবনির্মিত আধুনিক স্টেডিয়ামের নামকরণ করেন ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) স্টেডিয়াম। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে তাকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হয়।
ফেরদৌসী ইসলাম : সংসদ-সদস্য; ডা. আ আ ম মেসবাহুল হকের কন্যা