পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট কোনদিকে?

 ড. দেলোয়ার হোসেন 
২৮ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সংকটে ভুগছে। ভঙ্গুরতা কিংবা রাজনৈতিক ব্যর্থতা এর নিত্যসঙ্গী। তথাকথিত দ্বিজাতিতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হলেও এ রাষ্ট্রটিকে ঘিরে নাগরিকদের আশা ছিল অনেক। সে সময়ের ভারত বিভক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান ও ভারত দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মনে।

কিন্তু দেখা গেল ১৯৪৭ সালে বিভক্তির পর থেকেই পাকিস্তান একটি রাজনৈতিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। শুরু থেকেই সেখানে যে রাজনৈতিক সংকট বা ব্যর্থতা ছিল, তা এখনো বিদ্যমান। বস্তুত সেই ধারাই বয়ে চলেছে পাকিস্তান। তাই বলা যায়, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নতুন কিছু নয়। দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনের অস্থিরতা, সহিংসতা তথা নানাবিধ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা পাকিস্তানের ইতিহাসেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। কারণ এ রাষ্ট্রই স্বাধীনতার পরপর তার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মুখের ভাষা বাংলাকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল। এ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালিকে বহু সংগ্রাম আর ত্যাগের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। দিতে হয়েছে রক্ত। ফলে সেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের নেতৃত্ব ও তাদের চিন্তা এক অবাস্তব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হবে, এটাই যেন স্বাভাবিক।

ক্রমাগত একধরনের সহিংসতা এবং রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ দেখা যাচ্ছে-ইমরান খান, যিনি ক্রিকেটার থেকে রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন এবং পাকিস্তানে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার জন্য অনেক ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করেছেন; তিনি যখন ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার রাজনৈতিক ধারাকেও সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখা হয়েছিল। বিশেষ করে পাকিস্তানের মুসলিম লীগ ও পিপলস পার্টি তার উত্থানকে সামরিক শাসকদের প্রভাব বৃদ্ধিরই অংশ হিসাবে দেখা শুরু করে। লক্ষ করলে দেখা যাবে, মুসলিম লীগ, পিপলস পার্টি আর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এ তিন দলের নানাবিধ সমীকরণে পাকিস্তানের রাজনীতিতে এক বড় ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে গত চার বছরে। ইমরান খান ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে একসময় যে সখ্য ছিল, এখন তা এসে ঠেকেছে তলানিতে, বরং বলা ভালো, তারা দাঁড়িয়ে আছে মুখোমুখি অবস্থানে।

পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে সম্পর্ক, তা দেশটির রাজনীতির গতিপ্রকৃতির ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক বাহিনী বরাবরই দেশটির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে আসছে। সুদীর্ঘ সময় দেশটির রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সামরিক শাসকদের দ্বারা। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক এক বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচিত হয়, কারণ তা দেশটির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। মূল যে সমস্যা সেটি হচ্ছে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যকার বিপরীতমুখী অনমনীয় অবস্থান। মুসলিম লীগ, পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এ তিন বড় দলের বাইরেও পাকিস্তানের রাজনীতিতে দেখা মেলে কিছু তুলনামূলক ছোট কিন্তু প্রভাবশালী দলের। এ দলগুলো মূলত গড়ে উঠেছে ধর্ম বা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে। এর বাইরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত দলও আছে দৃশ্যপটে। এ ছোট দলগুলো আর আগে উল্লেখ করা বড় তিন দলের সমন্বয়েই মূলত পাকিস্তানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে আসছে। এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রবল প্রভাবের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ব্যতিক্রমধর্মী ভূমিকা দেখা যায় পাকিস্তানের বিচার বিভাগকে লক্ষ করলে। দেশটির বিচার বিভাগ তাদের বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমের চেয়ে বেশি আলোচিত রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে। যেহেতু পাকিস্তান তার সৃষ্টির শুরু থেকেই রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়ে আসছে, জন্ম দিয়েছে যুদ্ধের আর ঘটিয়েছে গণহত্যার মতো ঘটনা বাঙালিদের ওপর-সেই দেশটির রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তাই বিচার বিভাগকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বারবার। সেই হস্তক্ষেপের সাম্প্রতিক উদাহরণ আমরা দেখতে পাই ২০২২ সালে, যখন ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় তথাকথিত নো কনফিডেন্স মোশনের নামে। তখন ইমরান খানের দল বা তিনি নিজে বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সর্বশেষ ইমরান খানের গ্রেফতারকে অবৈধ ঘোষণা করে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেয় পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্ট।

ক্ষমতা হারালেও ইমরান খান যেহেতু পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটি নতুন শক্তিস্বরূপ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছিল তার দল এবং তখনকার সেনাবাহিনীর সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক ছিল; তাই তিনি রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং বিশেষ করে পাকিস্তানের নারী, যুবক ও তরুণ সমাজের কাছে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধীরে ধীরে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি এটিকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।

রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানের বিভিন্ন পক্ষ এখন মুখোমুখি। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিচার বিভাগ ইমরান খানের পক্ষে দাঁড়িনোর (ব্যক্তি ইমরান খানের পক্ষে না হলেও তাকে যেভাবে দেখছে তারা) পর দেশটির রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে একটি নতুন প্রেক্ষিত। তাকে যেভাবে মোকাবিলা করছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বা ক্ষমতাসীন শক্তি, তাদের নেওয়া সেই ব্যবস্থাগুলোকে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ হিসাবে দেখছে না বিচার বিভাগ। ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর বিচার বিভাগের আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, যে রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। যে মামলাগুলো তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেগুলোর কার্যকারিতা এবং মামলার যে প্রক্রিয়া তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এ রায়। বলা যায়, আপাতদৃষ্টিতে ইমরান খানের জন্য এটি ন্যায়বিচার এবং রাজনৈতিকভাবে তার যে অবদান, তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ভূমিকা রাখছে।

তবে লক্ষ করা যাচ্ছে, রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে ইমরান খানের দল যেমন একটি শক্ত অবস্থানে রয়েছে, একই ভাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও রয়েছে শক্ত অবস্থানে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল, শাসক দল হিসাবে যারা বলা যায় পরস্পরের বড় ধরনের বৈরী পক্ষ ছিল, তারা এখন একসঙ্গে একটি সরকার পরিচালনা করছে। এ ধরনের একটি জটিল হিসাবনিকাশের মধ্যে পাকিস্তানের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে।

পাকিস্তানের সামনে যে বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ তার একটি হচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তানের অবস্থা এখন খুবই নাজুক। দেশটিতে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রার মজুত নেই, আগামী এক মাস বা পনেরো দিনের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো সম্পদ নেই। দেশটিকে উদ্ধার করার জন্য চীন ও পশ্চিমা দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করছে; বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফও কাজ করছে। এ অবস্থার মাঝে পাকিস্তানের রাজনীতি এমন এক ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা দেশটিকে খুবই বিপজ্জনক ও অত্যন্ত সংকটময় অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। বস্তুত রাজনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তানের অবস্থা দোদুল্যমান। একদিকে সামনে নির্বাচন, যে নির্বাচনটি মুসলিম লীগ করতে চাচ্ছে না, কারণ পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এ নির্বাচন হোক পাঁচ বছর মেয়াদ সম্পন্ন করার পর। অন্যদিকে পার্লামেন্টের মেয়াদ অনুযায়ী পাকিস্তানের নির্বাচন অক্টোবরে হওয়ার কথা। ইমরান খান আর তার দল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি চাচ্ছে নির্বাচনটি পার্লামেন্টের মেয়াদ অনুযায়ী অর্থাৎ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হোক। অর্থাৎ, নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে বিরোধ। সবকিছু মিলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে মতবিরোধ, মতপার্থক্য, সহিংসতা প্রভৃতি বিদ্যমান। বিশেষ করে ইমরান খানকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন পাকিস্তানের ইতিহাসে বলা যায়, এই প্রথম কোনো সামরিক স্থাপনার ওপর আঘাত হানা হয় এবং বড় ধরনের সহিংসতা তৈরি হয়। যদিও তা একটি পর্যায়ে এসে থেমে গেছে। ইমরান খানকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে।

তবে ইমরান খানের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর বিরোধের মাঝেই অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরেও দ্বিধা বা বিভক্তি থাকতে পারে-যার একটি অংশ মনে করে, ইমরান খানের দলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত। অপর পক্ষ মনে করে, চলমান অবস্থা আরও রাজনৈতিক অস্থিরতা বয়ে আনতে পারে। তাই দেখা যাচ্ছে, ইমরান খানকে মোকাবিলার বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ও সামরিক বাহিনীর জন্য।

রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানের সামনে বেশকিছু কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। প্রথমত, কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? দ্বিতীয়ত, ইমরান খানকে কতদিন রাজনীতির বাইরে রাখা যাবে? এমনকি পিটিআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ব্যাপারেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, মুসলিম লীগ ও পিপলস পার্টির সঙ্গে সামরিক বাহিনীর কখনোই সুসম্পর্ক ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ক্ষমতায় আসেন। এর ফলে সৃষ্ট দূরত্ব পরবর্তীকালে আরও বাড়ে। সেই দলটিই এখন ক্ষমতায় আছে। জুলফিকার আলী ভুট্টোর পরিণতির কারণে পিপিপিও অসন্তুষ্ট সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডে। তাই যে প্রশ্নটি সামনে চলে আসছে তা হলো, সামরিক বাহিনী কার পক্ষে কাজ করবে-ইমরান খান, বিলাওয়াল ভুট্টো, নাকি শাহবাজ শরিফের পক্ষে? বলাই বাহুল্য, সামরিক বাহিনীর হাতেও খুব বেশি বিকল্প নেই। পাকিস্তানের বিচার বিভাগ নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং ভবিষ্যতেও করতে হবে। কারণ, এ রকম একটি রাষ্ট্র, যেখানে একদিকে অর্থনীতি চরমভাবে পর্যুদস্ত, রাজনীতি চরম সংকটাপন্ন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতিও ভয়াবহ, ক্রমাগত জঙ্গি হামলা চলছে, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাঝে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান, বিভিন্ন রাজ্যে যেমন বেলুচিস্তানে স্বাধীনতাসংগ্রামে লিপ্ত বেলুচরা; অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দেশটি এক সংকটময় অবস্থার সম্মুখীন-একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ, অপরদিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট-সব মিলে পাকিস্তানের জন্য এক অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে।

এ অবস্থায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট কোনদিকে যাচ্ছে, তা এক বড় প্রশ্ন। ইমরান খানের দল ব্যাপক নিপীড়ন ও চাপের মুখে আছে। ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পিটিআই-এর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সাধারণ কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। পিটিআইকে ভাঙনের চেষ্টা চলছে। ফলে সহিংসতা, সংঘাত ও শক্তি প্রয়োগের নীতিই প্রাধান্য পাচ্ছে সেখানে। বস্তুত সমগ্র পাকিস্তানকে গ্রাস করেছে প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। অন্যদিকে পাকিস্তানের জনগণ ইমরান খানকেই হয়তো তাদের আশার জায়গা হিসাবে বেছে নেবে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি আর তরুণ সমাজের সঙ্গে এক বড় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তার নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখছে। সামরিক বাহিনী ও বিচার বিভাগ দেশটির রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস হিসাবে কীভাবে ইমরান খানকে দেখতে চায়, তার ওপর নির্ভর করছে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথপরিক্রমা।

ড. দেলোয়ার হোসেন : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সদস্য (প্রেষণে), সরকারি কর্ম কমিশন

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন