গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা রোধে আরও উদ্যোগ দরকার

 সালাহ্ উদ্দিন নাগরী 
০৪ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

গত মার্চে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের একটি সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২১ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই ভবনের নিচের দুটি ছাদের একাংশ ও পাশের ভবনের দেওয়াল ধসে পড়ে ভবনটির বিভিন্ন অংশ উড়ে গিয়ে সড়কের আশপাশের স্থাপনায় আঘাত হানে। রাস্তায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের জানালার কাচ ও বিভিন্ন অংশ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে আহত হন অনেক মানুষ। কেন এ দুর্ঘটনা? ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে কেউ কেউ মনে করছেন, বিস্ফোরণটি জমে থাকা গ্যাস থেকে হয়েছে। ভবনটির বেজমেন্টের বন্ধ কক্ষে জমে থাকা মিথেন গ্যাস থেকে সেটি ‘গ্যাস চেম্বারে’ পরিণত হয়েছিল। যদিও অনেকেই বলেছেন, ভবনে গ্যাসলাইন থাকার কোনো সুযোগ ছিল না।

এ ধরনের দুর্ঘটনা আরও ঘটেছে। সিদ্দিকবাজার দুর্ঘটনার আগের কয়েকদিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ বহু মানুষ হতাহত হন। কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি মসজিদে গ্যাসজনিত বিস্ফোরণে ৩০ জনেরও বেশি মুসল্লির মৃত্যু হয়। গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বিস্ফোরণে মানুষের মৃত্যু, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি আমাদের অসতর্কতাকেই দায়ী করছে।

দুর্ঘটনা ঘটার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন মতামত ও সুপারিশ প্রদান করা হয়। যেমন, ২০২১ সালের ২ জুন রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় তিতাস গ্যাসের বিচ্ছিন্ন করা একটি সংযোগস্থলে গ্যাস জমে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। নিহত হয় ১২ জন। ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ২৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছিল-যার মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য ১৪ দফা, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের জন্য ৮ দফা, ওয়াসার জন্য ৩ দফা এবং রাজউকের জন্য ৩ দফা সুপারিশ ছিল। কিন্তু অধিকাংশ মতামত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা।

গ্যাসলাইন লিকেজ এবং যানবাহন, বাসাবাড়ি, কলকারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কিন্তু খুব ছোট নয়। ফায়ার সার্ভিস বলছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গত ১০ বছরে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় দুই হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। বড় অগ্নিকাণ্ড মানেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ।

এই যে গ্যাস লিকেজ ও গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনা ঘটছে, তারপরও কি আমরা সতর্ক হচ্ছি? বাসাবাড়ি, মিল-ফ্যাক্টরিতে যেমন গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা ঘটছে, তেমনই রাস্তাঘাটে গ্যাসচালিত যানবাহনও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা হোটেল/রেস্তোরাঁর প্রবেশমুখের পাশে রাখা বড় বড় গ্যাস সিলিন্ডার রান্নার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। সতর্কতার কোনো ব্যবস্থা নেই।

গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা রোধে তিতাস কর্তৃপক্ষ জনগণের করণীয় সম্পর্কে নোটিশের আকারে আমাদের সতর্ক করে থাকে। কথাগুলো আমরা হয়তো সবাই কমবেশি জানি, কিন্তু পালন করি না। তাই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর হাহুতাশ করা ও অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আমরা অনেকেই জানি না বা জানার চেষ্টাও করি না যে তিতাসের একটি কলসেন্টার আছে এবং ওই কলসেন্টার গ্রাহক সেবা দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত।

রাজধানীর মাটির নিচ দিয়ে অসংখ্য গ্যাসলাইন নেওয়া হয়েছে। এসব লাইনের কোথাও লিক রয়েছে কি না, কোনো স্থাপনার নিচে কোথাও গ্যাস জমে রয়েছে কি না-এসবের নিয়মিত পরীক্ষা করা দরকার। বাসাবাড়ি, স্থাপনায় গ্যাস সরবরাহের অভ্যন্তরীণ পাইপ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিন্তু তিতাস কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করে না। সেগুলো নিজেকেই সংগ্রহ করতে হয় এবং এর রক্ষণাবেক্ষণও নিজেকে করতে হয়। কিন্তু গ্যাস সরবরাহের পাইপে মরিচা পড়ে ক্ষয় হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিদ্র হয়ে গেলেও আমরা পুরোনো পাইপ পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করি না।

বাসাবাড়ির অভ্যন্তরীণ গ্যাস, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি যথাযথভাবে কাজ করছে কি না বা ওসবের ইনস্টলেশন যথাযথভাবে হয়েছে কি না, তা নজরে রাখতে হবে। বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থা যেমন: বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস ও অগ্নিনির্বাপণ দপ্তরকে রুটিন করে মানুষের বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় সঞ্চালন পদ্ধতি পরীক্ষা করতে হবে, ত্রুটি থাকলে সারিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিপদ ঘটলে এলাকাবাসীকে প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো প্রশিক্ষিত করতে হবে। অনেক সময় সাধারণ মানুষ বা বসবাসকারীরা বাসাবাড়ির গ্যাসলাইন সংক্রান্ত জটিলতা বা ত্রুটি স্থানীয় মিস্ত্রি ডেকে সারিয়ে নেন আর ভুল কিন্তু এখানেই ঘটে। আমাদের দেশে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিরা যেমন বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে, গ্যাসলাইনের ত্রুটি সারানোর মিস্ত্রিরা কিন্তু সেরকম দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। গ্যাসলাইনের ত্রুটি সারানোর জন্য প্রতিটি এলাকায়ই দু-চারজন মিস্ত্রিকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে গ্যাসসংক্রান্ত দুর্ঘটনার হার কমানো যাবে না।

বাসাবাড়িতে ২৪ ঘণ্টা বা দীর্ঘ সময় গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা হলে রান্নাঘর ও চুলার সংযোগ পাইপ গরম হয়ে ঝুঁকি বাড়ায়। দিয়াশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুলা জ্বালিয়ে রাখা, চুলার উপর কাপড় শুকানোর অভ্যাস থেকে হয়তো আমরা সরে আসতে পেরেছি; কিন্তু তাতেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। রান্নাঘরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি। চুলা বন্ধ করার পর সিলিন্ডারের মুখ সেফটি ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তেল চিটচিটে সিলিন্ডার পাইপ পরিষ্কার করা, রেগুলেটর নিয়মিত চেক করা, চুলা জ্বালানোর আগে রান্নাঘরের জানালা খুলে দেওয়ার বিষয়গুলো সব সময় নিশ্চিত করতে হবে। রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার, বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড বসানোর স্থান নির্বাচন সঠিক হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে। বাসাবাড়ি বা যে কোনো স্থাপনায় গ্যাসলাইনের সংযোগ প্রয়োজনের মুহূর্তে বন্ধ করার জন্য একটি সুইচ থাকে। দুঃখের বিষয়, অধিকাংশ ব্যক্তিই সে সুইচটির অবস্থান ও বন্ধ করার পদ্ধতি জানেন না। তাই দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে সংযোগ বন্ধ করবে সে অপেক্ষায় থাকতে হয়। আমরা কি এসব ছোট বিষয় জেনে রাখতে পারি না? বাঁচতে হলে জানতেই হবে। গ্যাসলাইন এবং গ্যাস সিলিন্ডারজনিত দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি ও মাত্রা কমিয়ে আনতে ব্যক্তি, পরিবার, এলাকাবাসীর সতর্কতা ও দ্রুত পদক্ষেপের গুরুত্ব অপরিসীম। বাসাবাড়িতে, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় সিলিন্ডারের ব্যবহার বাড়ছে। আর এ সুযোগে এলপিজি গ্যাসের বাজারে ঢুকে পড়েছে নিম্নমানের বহু কোম্পানি। বিক্রি হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ও নিম্নমানের পুরোনো সিলিন্ডার। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনা এড়াতে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি, প্লাগ, সুইচ, সকেট মানসম্পন্ন হতে হবে। গ্যাসলাইন, চুলার টিউব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেপটিক ট্যাংকে জমা হওয়া বদ্ধ গ্যাস বের হওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

শীতকাল শেষে বাসাবাড়ি, অফিস-আদালতে এসি ব্যবহারের মৌসুম শুরু হলে অবশ্যই এসি পরিষ্কার ও সার্ভিসিং করা দরকার। কিন্তু আমরা অনেক সময় এ বিষয়টিতে উদাসীনই থাকি। নিম্নমানের এবং কম দামের এসি না লাগানোই ভালো। এসি বিস্ফোরণের অনেক কারণের অন্যতম হলো, এসির বহিরাংশ এমন জায়গায় স্থাপন করা হয় যে, ওই অংশে বাতাস চলাচলের কোনো ব্যবস্থা থাকে না। ফলে এসির বাইরের অংশ স্বাভাবিক মাত্রায় তাপ রিলিজ করতে পারে না, এতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় প্রতিনিয়ত দূরপাল্লার রুটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ভালো মানের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডারকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘বোমা’, ‘চলন্ত বোমা’ হিসাবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে, অকালে ঝরে যাচ্ছে প্রাণ, পঙ্গু হচ্ছে মানুষ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের মতে, সিএনজিচালিত ৪৪ শতাংশ বাসের গ্যাস সিলিন্ডার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি সিলিন্ডার নিয়ে প্রায় দেড় লাখ যানবাহন চলাচল করছে। বছরে প্রায় দেড়শ গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডার ৫ বছর পরপর রিটেস্ট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে; কিন্তু সরকারের নানা প্রচেষ্টার পরও সিএনজিচালিত গাড়ির মালিক-চালকরা রিটেস্টে আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে বিপুলসংখ্যক সিলিন্ডার সড়কে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। সারা দেশে বাসাবাড়ি, স্থাপনা ও যানবাহনের সব গ্যাস সিলিন্ডার মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে। জননিরাপত্তার উপায় বের করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা যানবাহনের বার্ষিক নবায়নের সময় গ্যাস সিলিন্ডার ক্লিয়ারেন্সের শর্ত বেঁধে দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন এবং একই সঙ্গে নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ সব ধরনের গ্যাস সিলিন্ডারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার কথাও বলছেন। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও ইতিবাচক এ প্রস্তাবটি গ্রহণ করা যেতে পারে।

সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার সময় আমরা গাড়িতেই বসে থাকি, মোবাইল চালাই। কিন্তু প্রতিটি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রিফিলের সময় সতর্কতামূলক বিষয়গুলো সাইনবোর্ডে লেখা থাকলেও আমরা সেগুলোকে মোটেই আমলে নেই না। ইতোমধ্যে অবশ্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে এলাকাভিত্তিক সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কোনো সিলিন্ডার ব্যবহারকারী যদি নিজের ও জনমানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি আমলে না নেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনতে হবে।

আমাদের শহরগুলোয় আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প এলাকাগুলো একে অন্যের সঙ্গে একাকার হয়ে যাচ্ছে। বিল্ডিং কোড না মেনে যেভাবে গা ঘেঁষে একটার পর একটা স্থাপনা তৈরি হচ্ছে, তাতে শুধু সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নয়, যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার মাত্রা শতগুণ তীব্র হতে পারে। নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মানও রক্ষিত হচ্ছে না। তাই নগরবাসী প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয় ধরনের দুর্যোগেরই ঝুঁকির মধ্যে আছে।

পরিবার, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের প্রতি সবার কিছু না কিছু দায়বদ্ধতা থাকে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে ছোটবেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। জনগণকে সার্বক্ষণিক সচেতন রাখার জন্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের প্রচার আরও বাড়াতে হবে। কারও কারও আইন অমান্যতা, অসাবধানতা, অসচেতনতা, বেখেয়ালিপনা ও অন্যায় কার্যক্রমের জন্য জানমালের নিয়মিত ক্ষতিসাধন হতেই থাকবে, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার শুভক্ষণে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

সালাহ্উদ্দিন নাগরী : সরকারি চাকরিজীবী

snagari2012@gmail.com

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন