ইতালিতে সংসদ সদস্যের সংখ্যা হ্রাসে গণভোট
এক-তৃতীয়াংশ আসন কমছে পার্লামেন্টে। ভোট দিয়েছেন ৭০% জনগণ
যুগান্তর ডেস্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ইতালির পার্লামেন্টে সংসদ সদস্যের সংখ্যা কমাতে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এই গণভোটে পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশ আসন কমানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন দেশটির বেশিরভাগ নাগরিক। এ সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ।
গণভোটে জনতার এই রায়ের পর ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা ৬৩৪ জন থেকে হ্রাস করে ৪০০ জনে এবং সিনেটের আসন সংখ্যা ৩১৫টি থেকে নামিয়ে ২০০-তে আনা হবে।
গণভোটের এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাইভ স্টার দলের জ্যেষ্ঠ নেতা লুইজি দি মায়ও। বিবিসি ও এবিসি।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক আসন ইতালীয় পার্লামেন্টে। দুই কক্ষবিশিষ্ট ইতালির পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ৯৪৫টি। নিম্নকক্ষ সংসদে ৬৩০ এবং সিনেটে ৩১৫টি আসন রয়েছে।
গত জানুয়ারিতে তা থেকে কমিয়ে উভয় কক্ষে মোট ৬০০ আসনের পার্লামেন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় ইতালির সংসদ। এতে করে প্রতি পাঁচ বছরে ৫০ কোটি ইউরো সাশ্রয় হবে সরকারের। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অংশীদার ফাইভ স্টার মুভমেন্টে প্রস্তাবে এ গণভোটের আয়োজন করা হয়।
রবি ও সোমবার (২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর) দু’দিনব্যাপী এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটের পাশাপাশি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক নির্বাচনও হয়েছে। তাতে কট্টর ডানপন্থী নেতা মাত্তিও সালভিনির দলের ভরাডুবি হয়েছে।
অন্যদিকে আরও শক্তিশালী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তের জোট সরকারের অংশীদার বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টি।
ইতালির আগামীর রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই গণভোট। এর ফলে পার্লামেন্টে এমপি ও সিনেটরের মোট সংখ্যা ৯৪৫ থেকে ৬০০-তে নেমে আসবে। এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে এর জন্য একটা গণভোটের দরকার ছিল।
কারণ গণভোটের ফলে পার্লামেন্ট আসন কমাতে দেশটির সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে। আগামী ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগেই এই পরিবর্তন বাস্তবায়িত করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এখন একটা স্বাভাবিক পার্লামেন্ট ফিরে যেতে পারব। গত অক্টোবরে ফাইভ স্টার বলেছিল, সুসংহত পার্লামেন্ট ১০ বছরে এক বিলিয়ন ইউরো খরচ বাঁচাতে পারবে। কিন্তু এই পদক্ষেপে গণতন্ত্র দুর্বল হবে বলে পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছেন সমালোচকরা।
বেশ কয়েকটি প্রধান আঞ্চলিক নির্বাচনের পাশাপাশি এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক নির্বাচনের ফলাফলকে বিরোধীদল লীগের নেতা মাত্তেও সালভিনির জন্য বিপর্যয়কর আর প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের জোট সরকারের অংশীদার মধ্য বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে বড় ধরনের জয় পাওয়ার আশা করেছিলেন সালভিনি, কিন্তু শুধু মার্শেই অঞ্চলে জয় পেয়েছে তার দল। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টি তাসকানি ও পুইয়াসহ যে তিনটি অঞ্চলে ক্ষমতাসীন ছিল সেগুলো ধরে রেখেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইতালিতে সংসদ সদস্যের সংখ্যা হ্রাসে গণভোট
এক-তৃতীয়াংশ আসন কমছে পার্লামেন্টে। ভোট দিয়েছেন ৭০% জনগণ
ইতালির পার্লামেন্টে সংসদ সদস্যের সংখ্যা কমাতে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এই গণভোটে পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশ আসন কমানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন দেশটির বেশিরভাগ নাগরিক। এ সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ।
গণভোটে জনতার এই রায়ের পর ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা ৬৩৪ জন থেকে হ্রাস করে ৪০০ জনে এবং সিনেটের আসন সংখ্যা ৩১৫টি থেকে নামিয়ে ২০০-তে আনা হবে।
গণভোটের এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাইভ স্টার দলের জ্যেষ্ঠ নেতা লুইজি দি মায়ও। বিবিসি ও এবিসি।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক আসন ইতালীয় পার্লামেন্টে। দুই কক্ষবিশিষ্ট ইতালির পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ৯৪৫টি। নিম্নকক্ষ সংসদে ৬৩০ এবং সিনেটে ৩১৫টি আসন রয়েছে।
গত জানুয়ারিতে তা থেকে কমিয়ে উভয় কক্ষে মোট ৬০০ আসনের পার্লামেন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় ইতালির সংসদ। এতে করে প্রতি পাঁচ বছরে ৫০ কোটি ইউরো সাশ্রয় হবে সরকারের। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অংশীদার ফাইভ স্টার মুভমেন্টে প্রস্তাবে এ গণভোটের আয়োজন করা হয়।
রবি ও সোমবার (২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর) দু’দিনব্যাপী এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটের পাশাপাশি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক নির্বাচনও হয়েছে। তাতে কট্টর ডানপন্থী নেতা মাত্তিও সালভিনির দলের ভরাডুবি হয়েছে।
অন্যদিকে আরও শক্তিশালী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তের জোট সরকারের অংশীদার বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টি।
ইতালির আগামীর রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই গণভোট। এর ফলে পার্লামেন্টে এমপি ও সিনেটরের মোট সংখ্যা ৯৪৫ থেকে ৬০০-তে নেমে আসবে। এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে এর জন্য একটা গণভোটের দরকার ছিল।
কারণ গণভোটের ফলে পার্লামেন্ট আসন কমাতে দেশটির সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে। আগামী ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগেই এই পরিবর্তন বাস্তবায়িত করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এখন একটা স্বাভাবিক পার্লামেন্ট ফিরে যেতে পারব। গত অক্টোবরে ফাইভ স্টার বলেছিল, সুসংহত পার্লামেন্ট ১০ বছরে এক বিলিয়ন ইউরো খরচ বাঁচাতে পারবে। কিন্তু এই পদক্ষেপে গণতন্ত্র দুর্বল হবে বলে পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছেন সমালোচকরা।
বেশ কয়েকটি প্রধান আঞ্চলিক নির্বাচনের পাশাপাশি এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক নির্বাচনের ফলাফলকে বিরোধীদল লীগের নেতা মাত্তেও সালভিনির জন্য বিপর্যয়কর আর প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের জোট সরকারের অংশীদার মধ্য বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে বড় ধরনের জয় পাওয়ার আশা করেছিলেন সালভিনি, কিন্তু শুধু মার্শেই অঞ্চলে জয় পেয়েছে তার দল। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টি তাসকানি ও পুইয়াসহ যে তিনটি অঞ্চলে ক্ষমতাসীন ছিল সেগুলো ধরে রেখেছে।