ফেটে দুই ভাগ হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশ
jugantor
১ কোটি ৩৮ লাখ বছর আগে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমাংশ
ফেটে দুই ভাগ হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশ

  যুগান্তর ডেস্ক  

০৭ এপ্রিল ২০১৮, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাচ্ছে পূর্ব আফ্রিকা। এরই মধ্যে বরাবর কয়েক কিলোমিটার একটি বিশাল ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।

ফাটলটি অব্যাহতভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। ভূতাত্ত্বিকরা বলছেন, এতে হয়তো কয়েক লাখ বছর লেগে যেতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত পূর্ব আফ্রিকা দুই অংশে বিভক্ত হয়ে যাবে। আফ্রিকা এর আগেও একবার দ্বিখণ্ডিত হয়েছে।

পৃথিবীর ইতিহাস বলছে, আজ থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ বছর আগে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমাংশ। তৈরি হয়েছিল নতুন মহাদেশ দক্ষিণ আমেরিকার। দুই মহাদেশের মাঝখানে সৃষ্টি হয় আটলান্টিক মহাসাগরের।

সিএনএন জানায়, গত কয়েকদিনে দক্ষিণ-পশ্চিম কেনিয়ায় একটা বড় অংশজুড়ে বিশাল ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফাটলের প্রভাব এতটাই বেশি যে এতে একটি জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাঝেমধ্যেই সেই অঞ্চলে মৃদু ভূকম্পনও অনুভূত হচ্ছে। গত ১৯ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এখন ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে এই ফাটল। আফ্রিকার রিফট ভ্যালির অংশ, সুসওয়া অঞ্চলে দেখা দিয়েছে এই ফাটল।

ভূতাত্ত্বিকরা বলছেন, কেনিয়ায় ফাটলটি প্রকট হলেও আসলে পুরো রিফট ভ্যালিজুড়ে এই ফাটল চলছে। কেনিয়ার কিছু জায়গায় ফাটল এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাদের মতে, টেকটনিক প্লেটের সক্রিয়তার জন্য ক্রমশ আলাদা হতে শুরু করেছে আফ্রিকা। বহু বছর আগে আফ্রিকা মহাদেশটি একটি মাত্র টেকটনিক প্লেটের উপরে ছিল। কিন্তু সেটি ক্রমশ দুটো প্লেটে বিভক্ত হয়ে যায়।

গঠিত হয় সোমালি এবং নুবিয়ান প্লেট। পাতের বিপরীতমুখী টানের সূত্র ধরে, দুটো প্লেট কিছুতেই একসঙ্গে থাকতে চাইছে না, আস্তে আস্তে একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে কারণেই তৈরি হচ্ছে ফাটল।

ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এই বিচ্ছেদ ঘটতে ঘটতে একদিন দুটো সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যাবে। শুধু এ দুটোই নয়, আরও একটি টেকটনিক প্লেটের সক্রিয়তা রয়েছে। সেটি হল আরব প্লেট। সেটিও আবার নিজের দিকে মহাদেশের একটি অংশকে টেনে নিতে চায়।

এর ফলে কেনিয়ার অবস্থা সংকটে রয়েছে। কেনিয়া একসঙ্গে তিনটি প্লেটের উপর অবস্থান করে রয়েছে এখনও।

সে কারণেই কেনিয়াকে তিনটি প্লেট তিন দিকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করছে। গ্রেট রিফট ভ্যালি এমন একটি ভূতাত্ত্বিক কাঠামো, যেখানে আফ্রিকার মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যাবে সোমালিয়া, ইথিওপিয়ার অর্ধেকটা, কেনিয়া এবং তানজানিয়া।

এই রিফটের জায়গায় তৈরি হবে একটি সমুদ্র। তবে এই প্রক্রিয়াটি শেষ হতে এখনও প্রায় ৫০ লাখ বছর সময় লাগতে পারে।

১ কোটি ৩৮ লাখ বছর আগে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমাংশ

ফেটে দুই ভাগ হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশ

 যুগান্তর ডেস্ক 
০৭ এপ্রিল ২০১৮, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাচ্ছে পূর্ব আফ্রিকা। এরই মধ্যে বরাবর কয়েক কিলোমিটার একটি বিশাল ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।

ফাটলটি অব্যাহতভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। ভূতাত্ত্বিকরা বলছেন, এতে হয়তো কয়েক লাখ বছর লেগে যেতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত পূর্ব আফ্রিকা দুই অংশে বিভক্ত হয়ে যাবে। আফ্রিকা এর আগেও একবার দ্বিখণ্ডিত হয়েছে।

পৃথিবীর ইতিহাস বলছে, আজ থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ বছর আগে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমাংশ। তৈরি হয়েছিল নতুন মহাদেশ দক্ষিণ আমেরিকার। দুই মহাদেশের মাঝখানে সৃষ্টি হয় আটলান্টিক মহাসাগরের।

সিএনএন জানায়, গত কয়েকদিনে দক্ষিণ-পশ্চিম কেনিয়ায় একটা বড় অংশজুড়ে বিশাল ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফাটলের প্রভাব এতটাই বেশি যে এতে একটি জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাঝেমধ্যেই সেই অঞ্চলে মৃদু ভূকম্পনও অনুভূত হচ্ছে। গত ১৯ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এখন ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে এই ফাটল। আফ্রিকার রিফট ভ্যালির অংশ, সুসওয়া অঞ্চলে দেখা দিয়েছে এই ফাটল।

ভূতাত্ত্বিকরা বলছেন, কেনিয়ায় ফাটলটি প্রকট হলেও আসলে পুরো রিফট ভ্যালিজুড়ে এই ফাটল চলছে। কেনিয়ার কিছু জায়গায় ফাটল এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাদের মতে, টেকটনিক প্লেটের সক্রিয়তার জন্য ক্রমশ আলাদা হতে শুরু করেছে আফ্রিকা। বহু বছর আগে আফ্রিকা মহাদেশটি একটি মাত্র টেকটনিক প্লেটের উপরে ছিল। কিন্তু সেটি ক্রমশ দুটো প্লেটে বিভক্ত হয়ে যায়।

গঠিত হয় সোমালি এবং নুবিয়ান প্লেট। পাতের বিপরীতমুখী টানের সূত্র ধরে, দুটো প্লেট কিছুতেই একসঙ্গে থাকতে চাইছে না, আস্তে আস্তে একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে কারণেই তৈরি হচ্ছে ফাটল।

ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এই বিচ্ছেদ ঘটতে ঘটতে একদিন দুটো সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যাবে। শুধু এ দুটোই নয়, আরও একটি টেকটনিক প্লেটের সক্রিয়তা রয়েছে। সেটি হল আরব প্লেট। সেটিও আবার নিজের দিকে মহাদেশের একটি অংশকে টেনে নিতে চায়।

এর ফলে কেনিয়ার অবস্থা সংকটে রয়েছে। কেনিয়া একসঙ্গে তিনটি প্লেটের উপর অবস্থান করে রয়েছে এখনও।

সে কারণেই কেনিয়াকে তিনটি প্লেট তিন দিকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করছে। গ্রেট রিফট ভ্যালি এমন একটি ভূতাত্ত্বিক কাঠামো, যেখানে আফ্রিকার মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যাবে সোমালিয়া, ইথিওপিয়ার অর্ধেকটা, কেনিয়া এবং তানজানিয়া।

এই রিফটের জায়গায় তৈরি হবে একটি সমুদ্র। তবে এই প্রক্রিয়াটি শেষ হতে এখনও প্রায় ৫০ লাখ বছর সময় লাগতে পারে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন