ইসরাইলের সৈকতে এআই ক্যামেরা!
লাইফগার্ড বলতে সমুদ্রের তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা স্পিডবোট ও যন্ত্রপাতিতে মোড়ানো ডুবুরির দৃশ্য ভেসে আসে। কিন্তু এর মাধ্যমে সমুদ্রপ্রেমী মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কমছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে- ২০১৬ সালে বিশ্বে সমুদ্রে ডুবে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এটি ইনজুরি-সংশ্লিষ্ট তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ মৃত্যু রোধে তেলআবিবে সমুদ্র সৈকতে সাইটবিট নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা বসাচ্ছে ইসরাইল। সিএনএন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লাইফগার্ড
স্টার্টআপটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা নেতানেল এলিয়াভ বলেন, সাইটবিট পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে, ঝুঁকি মূল্যায়ন করে এবং বিপদ খুঁজে বের করে। লাইফগার্ডের কাজ হচ্ছে পুলের আশপাশে, সৈকতে বা পানির মধ্যে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা ও যে কোনো ঝুঁকির ক্ষেত্রে দ্রুত সাড়া দেয়া।
কিন্তু একজন লাইফগার্ড সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে না পারায় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সাধারণ হিসাব হচ্ছে মানুষের চেয়ে কম্পিউটার যে কোনো এনালাইসিস এবং স্ক্যানিং দ্রুত ও নিখুঁতভাবে করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা পদ্ধতি পানিতে যে কোনো ধরনের ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা মানুষের চেয়ে ৮০ শতাংশ দ্রুততার সঙ্গে চিহ্নিত করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই লাইফগার্ড ইউনিট তিনটি ক্যামেরা দিয়ে গঠিত। প্রতি ক্যামেরা সৈকতের ১০০ থেকে ১৫০ মিটার বিস্তৃত উপত্যকা কভারেজ করে।
যখনই কোনো ঝুঁকি খুঁজে পায়, তখনই এটি মানুষ লাইফগার্ডকে নোটিশ করে। যেমন- একা কোনো শিশু যদি পানির কাছে চলে যায় বা সৈকতের সাঁতার এরিয়ার আকাশে কোনো জেট বিমানের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
এটি মানুষ গার্ডের পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না হলেও এআই লাইফগার্ড মুহূর্তে ধরে ফেলতে পারে। জনবহুল সমুদ্র সৈকত ও বিস্তৃত এলাকা পর্যবেক্ষণে এআই বেশি ফলপ্রসূ।
স্মার্ট সিটির স্মার্ট সৈকত
সাইটবিটের আগেও সৈকতে জীবন নিরাপদ করার উদ্যোগ ছিল। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সরকার ‘স্মার্ট শার্ক’ নামের এবং নিউ সাউথ ওয়েলসে ‘স্মার্ট বিচেস’ নামের উদ্যোগ রয়েছে। এগুলো সার্ফিং ও সৈকত এলাকায় শার্কের উপস্থিতি সম্পর্কে জানান দেয়, তথ্য সংগ্রহ করে এবং লাইফগার্ড সার্ভিসকে উন্নত করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইসরাইলের সৈকতে এআই ক্যামেরা!
লাইফগার্ড বলতে সমুদ্রের তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা স্পিডবোট ও যন্ত্রপাতিতে মোড়ানো ডুবুরির দৃশ্য ভেসে আসে। কিন্তু এর মাধ্যমে সমুদ্রপ্রেমী মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কমছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে- ২০১৬ সালে বিশ্বে সমুদ্রে ডুবে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এটি ইনজুরি-সংশ্লিষ্ট তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ মৃত্যু রোধে তেলআবিবে সমুদ্র সৈকতে সাইটবিট নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা বসাচ্ছে ইসরাইল। সিএনএন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লাইফগার্ড
স্টার্টআপটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা নেতানেল এলিয়াভ বলেন, সাইটবিট পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে, ঝুঁকি মূল্যায়ন করে এবং বিপদ খুঁজে বের করে। লাইফগার্ডের কাজ হচ্ছে পুলের আশপাশে, সৈকতে বা পানির মধ্যে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা ও যে কোনো ঝুঁকির ক্ষেত্রে দ্রুত সাড়া দেয়া।
কিন্তু একজন লাইফগার্ড সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে না পারায় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সাধারণ হিসাব হচ্ছে মানুষের চেয়ে কম্পিউটার যে কোনো এনালাইসিস এবং স্ক্যানিং দ্রুত ও নিখুঁতভাবে করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা পদ্ধতি পানিতে যে কোনো ধরনের ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা মানুষের চেয়ে ৮০ শতাংশ দ্রুততার সঙ্গে চিহ্নিত করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই লাইফগার্ড ইউনিট তিনটি ক্যামেরা দিয়ে গঠিত। প্রতি ক্যামেরা সৈকতের ১০০ থেকে ১৫০ মিটার বিস্তৃত উপত্যকা কভারেজ করে।
যখনই কোনো ঝুঁকি খুঁজে পায়, তখনই এটি মানুষ লাইফগার্ডকে নোটিশ করে। যেমন- একা কোনো শিশু যদি পানির কাছে চলে যায় বা সৈকতের সাঁতার এরিয়ার আকাশে কোনো জেট বিমানের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
এটি মানুষ গার্ডের পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না হলেও এআই লাইফগার্ড মুহূর্তে ধরে ফেলতে পারে। জনবহুল সমুদ্র সৈকত ও বিস্তৃত এলাকা পর্যবেক্ষণে এআই বেশি ফলপ্রসূ।
স্মার্ট সিটির স্মার্ট সৈকত
সাইটবিটের আগেও সৈকতে জীবন নিরাপদ করার উদ্যোগ ছিল। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সরকার ‘স্মার্ট শার্ক’ নামের এবং নিউ সাউথ ওয়েলসে ‘স্মার্ট বিচেস’ নামের উদ্যোগ রয়েছে। এগুলো সার্ফিং ও সৈকত এলাকায় শার্কের উপস্থিতি সম্পর্কে জানান দেয়, তথ্য সংগ্রহ করে এবং লাইফগার্ড সার্ভিসকে উন্নত করে।