জয় শ্রীরামের বদলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মমতার
কৃষ্ণকুমার দাস, কলকাতা থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জয় শ্রীরামের বদলে জয় বাংলা স্লোগান দিলেন মমতা ব্যানার্জি। কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে মমতা ব্যানার্জির ভাষণের ঠিক আগেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে মাতানো হলো নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে তাকে ‘অপমান’ করা হয়েছে অভিযোগে ভাষণই দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ সময় তিনি বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানের একটা শালীনতা থাকা উচিত। কাউকে অনুষ্ঠানে ডেকে এভাবে অপমান করা উচিত নয়।
পরে এক মিনিটের প্রতিবাদী বক্তব্যে মমতা জয় শ্রীরামের পালটা স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলেই বক্তব্য শেষ করেছেন। অন্য অনেক ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীরা মমতার বিরোধিতা করলেও এদিন সরকারি অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের তীব্র নিন্দা করেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। শুধু তাই নয়, বিজেপির একাংশও নেতাজিকে নিয়ে সরকারি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমন স্লোগানের বিরোধিতা করেছেন।
নেতাজির ১২৫তম জন্মদিনে ভারতীয় সময় বিকাল ৩টায় কলকাতায় আসেন মোদি। প্রথমে তিনি পৌঁছান নেতাজি ভবনে। পরে জাতীয় গ্রন্থাগারে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে আসেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। সেখানেই মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মোদির। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরীয়ও পরিয়ে দেন মোদিকে। কিন্তু দুজনের মধ্যে দূরত্বটুকু চোখে পড়েছে সবার। ভিক্টোরিয়ায় বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময়ও দূরত্ব মেনে চলেছেন দুই নেতা।
এর পরই ছন্দপতনের ঘটনা ঘটে অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা মমতার নাম ঘোষণার পর। তিনি মাইকের দিকে এগোতেই দর্শকদের একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। এটি শুনেই বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হন মমতা। ক্ষুব্ধ মমতা মাইকে গিয়ে প্রথমেই হিন্দিতে বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। এটা সব দলের কর্মসূচি। জনতার কর্মসূচি। স্লোগানের মাধ্যমে তাকে অপমান করা হয়েছে বলে প্রতিবাদ করে বক্তৃতা না দিয়েই ‘জয় হিন্দ ও জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মাইক ছাড়েন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য সৌজন্য দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা চলার পুরো সময় তিনি মঞ্চে বসে ছিলেন। উল্লেখ, দুই বছর আগে বারাকপুরের রাস্তায় প্রকাশ্যে মমতাকে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। গাড়ি থামিয়ে নেমে স্লোগানকারীদের সরাসরি চ্যালেঞ্জও জানিয়েছিলেন তিনি। বামপন্থী সাবেক সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, নেতাজির মতো স্মরণীয় ব্যক্তির জন্মদিনে সরকারি অনুষ্ঠান কালিমালিপ্ত করল বিজেপি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জয় শ্রীরামের বদলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মমতার
জয় শ্রীরামের বদলে জয় বাংলা স্লোগান দিলেন মমতা ব্যানার্জি। কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে মমতা ব্যানার্জির ভাষণের ঠিক আগেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে মাতানো হলো নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে তাকে ‘অপমান’ করা হয়েছে অভিযোগে ভাষণই দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ সময় তিনি বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানের একটা শালীনতা থাকা উচিত। কাউকে অনুষ্ঠানে ডেকে এভাবে অপমান করা উচিত নয়।
পরে এক মিনিটের প্রতিবাদী বক্তব্যে মমতা জয় শ্রীরামের পালটা স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলেই বক্তব্য শেষ করেছেন। অন্য অনেক ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীরা মমতার বিরোধিতা করলেও এদিন সরকারি অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের তীব্র নিন্দা করেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। শুধু তাই নয়, বিজেপির একাংশও নেতাজিকে নিয়ে সরকারি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমন স্লোগানের বিরোধিতা করেছেন।
নেতাজির ১২৫তম জন্মদিনে ভারতীয় সময় বিকাল ৩টায় কলকাতায় আসেন মোদি। প্রথমে তিনি পৌঁছান নেতাজি ভবনে। পরে জাতীয় গ্রন্থাগারে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে আসেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। সেখানেই মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মোদির। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরীয়ও পরিয়ে দেন মোদিকে। কিন্তু দুজনের মধ্যে দূরত্বটুকু চোখে পড়েছে সবার। ভিক্টোরিয়ায় বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময়ও দূরত্ব মেনে চলেছেন দুই নেতা।
এর পরই ছন্দপতনের ঘটনা ঘটে অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা মমতার নাম ঘোষণার পর। তিনি মাইকের দিকে এগোতেই দর্শকদের একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। এটি শুনেই বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হন মমতা। ক্ষুব্ধ মমতা মাইকে গিয়ে প্রথমেই হিন্দিতে বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। এটা সব দলের কর্মসূচি। জনতার কর্মসূচি। স্লোগানের মাধ্যমে তাকে অপমান করা হয়েছে বলে প্রতিবাদ করে বক্তৃতা না দিয়েই ‘জয় হিন্দ ও জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মাইক ছাড়েন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য সৌজন্য দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা চলার পুরো সময় তিনি মঞ্চে বসে ছিলেন। উল্লেখ, দুই বছর আগে বারাকপুরের রাস্তায় প্রকাশ্যে মমতাকে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। গাড়ি থামিয়ে নেমে স্লোগানকারীদের সরাসরি চ্যালেঞ্জও জানিয়েছিলেন তিনি। বামপন্থী সাবেক সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, নেতাজির মতো স্মরণীয় ব্যক্তির জন্মদিনে সরকারি অনুষ্ঠান কালিমালিপ্ত করল বিজেপি।