ইয়েমেনে মার্কিনবিরোধী বিশাল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ
যুগান্তর ডেস্ক
২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বড় ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী সানাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীরা হুথি বিদ্রোহীদের পক্ষেও স্লোগান তোলে এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের হুথি বিদ্রোহীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানান। এদিকে পূর্বসূরি ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বিক্ষোভকারীরা আমেরিকাকে ‘সন্ত্রাসবাদের প্রকৃত উৎস’ এবং ইয়েমেনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের মূল হোতা হিসাবে আখ্যায়িত করেন। এ সময় তারা মার্কিন ও ইসরাইলি পণ্য বর্জনের জন্য ইয়েমেনের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। বিক্ষোভকারীরা এক বিবৃতিতে বলেন, আমেরিকা ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী আচরণ করছে সেটাই প্রকৃত সন্ত্রাসবাদ। ইয়েমেনের ওপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় অর্থ, অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করে মার্কিন সরকার যে সহযোগিতা করছে, সেটাই সন্ত্রাসবাদ। ট্রাম্প সরকার ক্ষমতা ত্যাগ করার মাত্র নয়দিন আগে গত ১১ জানুয়ারি হুথি বিদ্রোহীদের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যায়। ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের চালানো হামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। তবে নতুন মার্কিন প্রশাসন সেই ধারাবাহিকতা করবে বলে মনে হয় না। তারই ইঙ্গিত হিসাবে এক মাসের জন্য ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেনের অনুমতি দিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুথি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এদের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক লেনদেন নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইয়েমেনে মার্কিনবিরোধী বিশাল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বড় ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী সানাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীরা হুথি বিদ্রোহীদের পক্ষেও স্লোগান তোলে এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের হুথি বিদ্রোহীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানান। এদিকে পূর্বসূরি ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বিক্ষোভকারীরা আমেরিকাকে ‘সন্ত্রাসবাদের প্রকৃত উৎস’ এবং ইয়েমেনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের মূল হোতা হিসাবে আখ্যায়িত করেন। এ সময় তারা মার্কিন ও ইসরাইলি পণ্য বর্জনের জন্য ইয়েমেনের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। বিক্ষোভকারীরা এক বিবৃতিতে বলেন, আমেরিকা ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী আচরণ করছে সেটাই প্রকৃত সন্ত্রাসবাদ। ইয়েমেনের ওপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় অর্থ, অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করে মার্কিন সরকার যে সহযোগিতা করছে, সেটাই সন্ত্রাসবাদ। ট্রাম্প সরকার ক্ষমতা ত্যাগ করার মাত্র নয়দিন আগে গত ১১ জানুয়ারি হুথি বিদ্রোহীদের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যায়। ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের চালানো হামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। তবে নতুন মার্কিন প্রশাসন সেই ধারাবাহিকতা করবে বলে মনে হয় না। তারই ইঙ্গিত হিসাবে এক মাসের জন্য ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেনের অনুমতি দিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুথি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এদের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক লেনদেন নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল।