ভারতজুড়ে কৃষক আন্দোলন ছড়িয়ে দেবেন রাকেশ
যুগান্তর ডেস্ক
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতজুড়ে কৃষক আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির চলমান কৃষক আন্দোলনের নেতা ও ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ তিকায়েত। রোববার হরিয়ানা রাজ্যে কিষান মহাপঞ্চায়েতের বিশাল সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রাকেশ বলেন, ‘আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাব। তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের সচেতন করব। এটা গণআন্দোলন এবং আমরা একে সফল করবই। আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ বাড়ি ফিরব না।’
এদিকে কৃষক আন্দোলনের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘পরজীবী’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়া তাদের ‘ছুড়ে ফেলতে হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সোমবার ভারতের জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি ভাষণের জবাবে কৃষক আন্দোলন নিয়ে এসব কথা বলেন মোদি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতে কৃষক আন্দোলন চলছে। দিল্লির সীমানায় এখনো বসে আছেন কৃষকরা। গত সেপ্টেম্বরে ভারতের কৃষি খাত সংস্কারের লক্ষ্যে তিনটি কৃষি আইন পাশ হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন নতুন আইনের মাধ্যমের মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবেন কৃষকরা।
তবে কৃষকরা মনে করছেন নতুন এই আইনের ফলে তাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। এই আইনের কারণে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোই লাভবান হবে-এমন আশঙ্কা থেকেই রাস্তায় নেমেছেন তারা। ভারতের দুই দশমিক নয় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির প্রায় ১৫ শতাংশ কৃষি খাতের অবদান এবং দেশটির প্রায় অর্ধেক কর্মজীবী মানুষ এ খাতে নিয়োজিত।
দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার কৃষকদের ছাড় দিতে রাজি হলেও গত বছর পাশ করা তিনটি আইন বাতিল করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। কৃষি খাতে নতুন বিনিয়োগের জন্য এসব আইন ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়ে আসছে তারা। সেই সঙ্গে আইনটিকে একটা ‘সুযোগ’ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তর ভারতের ধান ও গম উৎপাদনকারী কৃষকরা প্রাথমিক প্রতিবাদ শুরু করে দিল্লির প্রান্তে জড়ো হলেও দেশজুড়ে তাদের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে সেসব রাজ্যে যেগুলো বিজেপি শাসিত নয়।
কিন্তু রোববার মহাপঞ্চায়েত থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন ভন্ডুল করার চেষ্টার অভিযোগ করেন আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাকেশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভারতজুড়ে কৃষক আন্দোলন ছড়িয়ে দেবেন রাকেশ
ভারতজুড়ে কৃষক আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির চলমান কৃষক আন্দোলনের নেতা ও ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ তিকায়েত। রোববার হরিয়ানা রাজ্যে কিষান মহাপঞ্চায়েতের বিশাল সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রাকেশ বলেন, ‘আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাব। তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের সচেতন করব। এটা গণআন্দোলন এবং আমরা একে সফল করবই। আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ বাড়ি ফিরব না।’
এদিকে কৃষক আন্দোলনের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘পরজীবী’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়া তাদের ‘ছুড়ে ফেলতে হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সোমবার ভারতের জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি ভাষণের জবাবে কৃষক আন্দোলন নিয়ে এসব কথা বলেন মোদি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতে কৃষক আন্দোলন চলছে। দিল্লির সীমানায় এখনো বসে আছেন কৃষকরা। গত সেপ্টেম্বরে ভারতের কৃষি খাত সংস্কারের লক্ষ্যে তিনটি কৃষি আইন পাশ হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন নতুন আইনের মাধ্যমের মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবেন কৃষকরা।
তবে কৃষকরা মনে করছেন নতুন এই আইনের ফলে তাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। এই আইনের কারণে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোই লাভবান হবে-এমন আশঙ্কা থেকেই রাস্তায় নেমেছেন তারা। ভারতের দুই দশমিক নয় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির প্রায় ১৫ শতাংশ কৃষি খাতের অবদান এবং দেশটির প্রায় অর্ধেক কর্মজীবী মানুষ এ খাতে নিয়োজিত।
দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার কৃষকদের ছাড় দিতে রাজি হলেও গত বছর পাশ করা তিনটি আইন বাতিল করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। কৃষি খাতে নতুন বিনিয়োগের জন্য এসব আইন ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়ে আসছে তারা। সেই সঙ্গে আইনটিকে একটা ‘সুযোগ’ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তর ভারতের ধান ও গম উৎপাদনকারী কৃষকরা প্রাথমিক প্রতিবাদ শুরু করে দিল্লির প্রান্তে জড়ো হলেও দেশজুড়ে তাদের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে সেসব রাজ্যে যেগুলো বিজেপি শাসিত নয়।
কিন্তু রোববার মহাপঞ্চায়েত থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন ভন্ডুল করার চেষ্টার অভিযোগ করেন আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাকেশ।