‘সবাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন ট্রাম্প’
অভিশংসনে নতুন মোড়
যুগান্তর ডেস্ক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে আইনপ্রণেতাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার নির্দেশেই তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত সমর্থকরা। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান তুলে মার্কিন সংসদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা।
ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়া চলার সময় এমন অভিযোগ তুলেছেন ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আরও জোরালো করতে ক্যাপিটল হামলার নতুন ভিডিও বিচারকদের সামনে তুলে ধরেছেন তারা। সাবেক রিপাবলিকানরা ট্রাম্পবিরোধী তৃতীয় একটি দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। রয়টার্স, বিবিসি।
৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন সিনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিশংসন মামলার বিচার শুরু হয়েছে। এর আগে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস তথা মার্কিন পার্লামেন্টের নিুকক্ষ ট্রাম্পকে অভিশংসন করে।
ট্রাম্পের পক্ষে লড়ছেন আইনজীবী এল কাস্টর জুনিয়র ও ডেভিড সোয়েন। গত সোমবার ৭৫ পৃষ্ঠার দলিল দাখিল করেন তারা।
সেখানে দাবি করা হয়, এই মামলা ট্রাম্পের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের পরিপন্থি। তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট পদে না থাকায় অভিশংসন অসাংবিধানিক।
কিন্তু তাদের যুক্তি না মেনে ক্যাপিটল সহিংসতার বেশ কিছু ফুটেজ প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, উন্মত্ত জনতাকে রুখতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে।
বুধবার সিনেটররা প্রথম দিনের বিচারে বসেন। সেখানে দুপক্ষকে ১৬ ঘণ্টা করে সময় দেওয়া হয় প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য।
প্রধান প্রসিকিউশন ম্যানেজার জেমি রাসকিন দাবি করেন, গত মাসের সহিংসতায় ট্রাম্প নিরপরাধ দর্শক ছিলেন না। তিনি কয়েক মাস ধরে সহিংসতাকারীদের প্রশংসা করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন এবং সহিংসতার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
সর্বশেষ লড়াই করার কথা বলে তাদের উসকে দিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ডেভিড সিসিলিন বলেন, ‘আপনি যেখানে রয়েছেন সেখানেই হামলাকারীরা দাঁড়িয়ে ছিল। তারা এই স্থানকে অপবিত্র করেছিল এবং প্রেসিডেন্ট খুশি হয়ে বসে ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অভিশংসনে নতুন মোড়
‘সবাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন ট্রাম্প’
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে আইনপ্রণেতাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার নির্দেশেই তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত সমর্থকরা। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান তুলে মার্কিন সংসদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা।
ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়া চলার সময় এমন অভিযোগ তুলেছেন ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আরও জোরালো করতে ক্যাপিটল হামলার নতুন ভিডিও বিচারকদের সামনে তুলে ধরেছেন তারা। সাবেক রিপাবলিকানরা ট্রাম্পবিরোধী তৃতীয় একটি দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। রয়টার্স, বিবিসি।
৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন সিনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিশংসন মামলার বিচার শুরু হয়েছে। এর আগে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস তথা মার্কিন পার্লামেন্টের নিুকক্ষ ট্রাম্পকে অভিশংসন করে।
ট্রাম্পের পক্ষে লড়ছেন আইনজীবী এল কাস্টর জুনিয়র ও ডেভিড সোয়েন। গত সোমবার ৭৫ পৃষ্ঠার দলিল দাখিল করেন তারা।
সেখানে দাবি করা হয়, এই মামলা ট্রাম্পের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের পরিপন্থি। তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট পদে না থাকায় অভিশংসন অসাংবিধানিক।
কিন্তু তাদের যুক্তি না মেনে ক্যাপিটল সহিংসতার বেশ কিছু ফুটেজ প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, উন্মত্ত জনতাকে রুখতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে।
বুধবার সিনেটররা প্রথম দিনের বিচারে বসেন। সেখানে দুপক্ষকে ১৬ ঘণ্টা করে সময় দেওয়া হয় প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য।
প্রধান প্রসিকিউশন ম্যানেজার জেমি রাসকিন দাবি করেন, গত মাসের সহিংসতায় ট্রাম্প নিরপরাধ দর্শক ছিলেন না। তিনি কয়েক মাস ধরে সহিংসতাকারীদের প্রশংসা করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন এবং সহিংসতার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
সর্বশেষ লড়াই করার কথা বলে তাদের উসকে দিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ডেভিড সিসিলিন বলেন, ‘আপনি যেখানে রয়েছেন সেখানেই হামলাকারীরা দাঁড়িয়ে ছিল। তারা এই স্থানকে অপবিত্র করেছিল এবং প্রেসিডেন্ট খুশি হয়ে বসে ছিলেন।