ইন্দিরার জরুরি অবস্থা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল : রাহুল
যুগান্তর ডেস্ক
০৪ মার্চ ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত আজও তাড়িয়ে বেড়ায় কংগ্রেসকে। তাই প্রসঙ্গ উঠলেই কৌশলে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দলের নেতারা। কিন্তু রাহুল গান্ধী নিজেই এবার তার ব্যতিক্রম ঘটালেন। জানিয়ে দিলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা তার দাদির ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আনন্দবাজার।
মঙ্গলবার আমেরিকার কর্নেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তথা অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় বসেন তিনি। সেখানেই জরুরি অবস্থা থেকে শুরু করে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অকপট ছিলেন রাহুল। সেখানেই ইন্দিরার শাসনকালে ১৯৭৫ থেকে ’৭৭ পর্যন্ত টানা ২১ মাস জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
সে নিয়ে মতামত চাইলে রাহুল বলেন, ‘আমার মনে হয় ওটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দাদি নিজেও তা মেনেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস কখনো দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেনি। সত্যি কথা বলতে কী, কংগ্রেসের সেই ক্ষমতাও নেই। আমাদের দলীয় পরিকাঠামোই তাতে অনুমোদন দেয় না।’
জরুরি অবস্থার সময় গেরুয়া শিবিরের বহু নেতাকে জেলবন্দি করা হয়েছিল। বর্তমানে বিজেপি যখন ক্ষমতায়, তা নিয়ে লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। বিশেষ করে বাকস্বাধীনতা, বিরোধিতার অধিকার এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজেদেরই আক্রমণে জর্জরিত হয়েছে তাদের। গত বছর জুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে গান্ধী পরিবার এবং কংগ্রেসকে তুলাধুনা করেন। একটি পরিবারের ক্ষমতার লোভ রাতারাতি গোটা দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছিল বলে তোপ দেগেছিলেন তিনি।
কিন্তু রাহুলের দাবি, জরুরি অবস্থা এবং বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর লোকজন এনে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভরিয়ে তোলা হচ্ছে। নির্বাচনে বিজেপিকে যদি পরাজিতও করে কংগ্রেস, প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো থেকে গেরুয়াশিবিরের লোকজনকে ছেঁটে ফেলার উপায় নেই। রাহুল বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্যই আধুনিক গণতন্ত্রের পরিচয়। প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইন্দিরার জরুরি অবস্থা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল : রাহুল
ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত আজও তাড়িয়ে বেড়ায় কংগ্রেসকে। তাই প্রসঙ্গ উঠলেই কৌশলে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দলের নেতারা। কিন্তু রাহুল গান্ধী নিজেই এবার তার ব্যতিক্রম ঘটালেন। জানিয়ে দিলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা তার দাদির ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আনন্দবাজার।
মঙ্গলবার আমেরিকার কর্নেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তথা অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় বসেন তিনি। সেখানেই জরুরি অবস্থা থেকে শুরু করে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অকপট ছিলেন রাহুল। সেখানেই ইন্দিরার শাসনকালে ১৯৭৫ থেকে ’৭৭ পর্যন্ত টানা ২১ মাস জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
সে নিয়ে মতামত চাইলে রাহুল বলেন, ‘আমার মনে হয় ওটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দাদি নিজেও তা মেনেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস কখনো দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেনি। সত্যি কথা বলতে কী, কংগ্রেসের সেই ক্ষমতাও নেই। আমাদের দলীয় পরিকাঠামোই তাতে অনুমোদন দেয় না।’
জরুরি অবস্থার সময় গেরুয়া শিবিরের বহু নেতাকে জেলবন্দি করা হয়েছিল। বর্তমানে বিজেপি যখন ক্ষমতায়, তা নিয়ে লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। বিশেষ করে বাকস্বাধীনতা, বিরোধিতার অধিকার এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজেদেরই আক্রমণে জর্জরিত হয়েছে তাদের। গত বছর জুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে গান্ধী পরিবার এবং কংগ্রেসকে তুলাধুনা করেন। একটি পরিবারের ক্ষমতার লোভ রাতারাতি গোটা দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছিল বলে তোপ দেগেছিলেন তিনি।
কিন্তু রাহুলের দাবি, জরুরি অবস্থা এবং বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর লোকজন এনে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভরিয়ে তোলা হচ্ছে। নির্বাচনে বিজেপিকে যদি পরাজিতও করে কংগ্রেস, প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো থেকে গেরুয়াশিবিরের লোকজনকে ছেঁটে ফেলার উপায় নেই। রাহুল বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্যই আধুনিক গণতন্ত্রের পরিচয়। প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে।