ধনীদের ওপর সুপার ট্যাক্স পাকিস্তানে
চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী এগোচ্ছে পাকিস্তান সরকার। সংস্থাটির সঙ্গে একটি চুক্তি বাস্তবায়নে জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। শুক্রবার এই মন্ত্রী জানিয়েছেন, আইএমএফ-এর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী অতিরিক্ত ৪০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি সংগ্রহের লক্ষ্যে বৃহৎ শিল্পের ওপর অতিরিক্ত এককালীন ১০ শতাংশ কর (সুপার ট্যাক্স) আরোপ করবে সরকার। ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংসদের বাজেট বক্তৃতায় দেশের ধনীদের ওপর এই নতুন করারোপের আগে বলেন, ‘আমাকে এই সুসংবাদটি জানাতে দিন যে, পাকিস্তান আর খেলাপির দিকে যাচ্ছে না। কারণ, আমরা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ রাজস্ব ঘাটতি কাটিয়ে জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করার জন্য বৃহৎ শিল্পের মালিকদের মাত্র এক বছর সহ্য করার অনুরোধ করেন মিফতাহ ইসমাইল। সরকারের এ করবৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের কেএসই ১০০ শেয়ার সূচক ৪.৮ শতাংশ কমে গেছে। অর্থমন্ত্রী জানান-চিনি, ইস্পাত, সিমেন্ট, তেল, গ্যাস, সার, সিগারেট, রাসায়নিক, অটোমোবাইল, ব্যাংক, টেক্সটাইল, এলএনজি টার্মিনাল এবং পানীয়সহ ১৩টি বড় কোম্পানি এবং করপোরেশনের ওপর এই কর আরোপ করা হবে, যাদের বার্ষিক আয় ৩০০ মিলিয়ন রুপির বেশি। একটি টুইটে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিতে অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সুতরাং, তাদের করের হার ২৯ শতাংশ থেকে ৩৯ শতাংশ হবে।’ তবে এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন-সব শিল্পের ওপর বাধ্যতামূলক ৪ শতাংশ সুপার ট্যাক্স আরোপ করা হবে।
ইসমাইল বলেন, একটি সংশোধিত বাজেট কর আরোপের পর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭ ট্রিলিয়ন রুপি থেকে বাড়িয়ে ৭.৪ ট্রিলিয়ন রুপি করা হবে। সেই সঙ্গে বছরে ১৫০ মিলিয়ন থেকে ৪০০ মিলিয়ন রুপি পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ের ওপর ১০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এককালীন ট্যাক্স স্ল্যাব চালু করা হবে। অর্থমন্ত্রীর মতে, ফেডারেল ট্যাক্সে প্রদেশগুলোকে পূর্ব ঘোষিত ৪.১ ট্রিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে ৪.৩৭ ট্রিলিয়ন রুপি করতে হবে। ফেডারেল বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪.৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি বা জিডিপির ৫.৮ শতাংশ। সামগ্রিক বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা এখন ৩.৮ ট্রিলিয়ন রুপি বা জিডিপির ৪.৮ শতাংশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধনীদের ওপর সুপার ট্যাক্স পাকিস্তানে
চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী এগোচ্ছে পাকিস্তান সরকার। সংস্থাটির সঙ্গে একটি চুক্তি বাস্তবায়নে জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। শুক্রবার এই মন্ত্রী জানিয়েছেন, আইএমএফ-এর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী অতিরিক্ত ৪০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি সংগ্রহের লক্ষ্যে বৃহৎ শিল্পের ওপর অতিরিক্ত এককালীন ১০ শতাংশ কর (সুপার ট্যাক্স) আরোপ করবে সরকার। ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংসদের বাজেট বক্তৃতায় দেশের ধনীদের ওপর এই নতুন করারোপের আগে বলেন, ‘আমাকে এই সুসংবাদটি জানাতে দিন যে, পাকিস্তান আর খেলাপির দিকে যাচ্ছে না। কারণ, আমরা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ রাজস্ব ঘাটতি কাটিয়ে জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করার জন্য বৃহৎ শিল্পের মালিকদের মাত্র এক বছর সহ্য করার অনুরোধ করেন মিফতাহ ইসমাইল। সরকারের এ করবৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের কেএসই ১০০ শেয়ার সূচক ৪.৮ শতাংশ কমে গেছে। অর্থমন্ত্রী জানান-চিনি, ইস্পাত, সিমেন্ট, তেল, গ্যাস, সার, সিগারেট, রাসায়নিক, অটোমোবাইল, ব্যাংক, টেক্সটাইল, এলএনজি টার্মিনাল এবং পানীয়সহ ১৩টি বড় কোম্পানি এবং করপোরেশনের ওপর এই কর আরোপ করা হবে, যাদের বার্ষিক আয় ৩০০ মিলিয়ন রুপির বেশি। একটি টুইটে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিতে অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সুতরাং, তাদের করের হার ২৯ শতাংশ থেকে ৩৯ শতাংশ হবে।’ তবে এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন-সব শিল্পের ওপর বাধ্যতামূলক ৪ শতাংশ সুপার ট্যাক্স আরোপ করা হবে।
ইসমাইল বলেন, একটি সংশোধিত বাজেট কর আরোপের পর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭ ট্রিলিয়ন রুপি থেকে বাড়িয়ে ৭.৪ ট্রিলিয়ন রুপি করা হবে। সেই সঙ্গে বছরে ১৫০ মিলিয়ন থেকে ৪০০ মিলিয়ন রুপি পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ের ওপর ১০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এককালীন ট্যাক্স স্ল্যাব চালু করা হবে। অর্থমন্ত্রীর মতে, ফেডারেল ট্যাক্সে প্রদেশগুলোকে পূর্ব ঘোষিত ৪.১ ট্রিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে ৪.৩৭ ট্রিলিয়ন রুপি করতে হবে। ফেডারেল বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪.৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি বা জিডিপির ৫.৮ শতাংশ। সামগ্রিক বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা এখন ৩.৮ ট্রিলিয়ন রুপি বা জিডিপির ৪.৮ শতাংশ।