দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম পরিবার
মা-বাবার চেয়ে বেশি ধর্মভীরু সন্তানরা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের মধ্যে তিনজনে একজন পিতা-মাতার চেয়ে বেশি ধর্মভীরু। ধর্মীয় বিশ্বাস ও পশ্চিমা ধাঁচের ভোগবাদিতা এই অঞ্চলের মুসলমানদের অভ্যাসকে পরিবর্তন করছে। তারা ব্যক্তিগত খরচ, ফ্যাশন, ব্যাংকিং, ভ্রমণ এবং শিক্ষার বিষয়ে অনেক বেশি আবেগপ্রবণ।
বুধবার নিউ মুসলিম কনজ্যুমারের প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছে ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্স ও ভিএমএলওয়াইঅ্যান্ডআর মালয়েশিয়া। খবর আলজাজিরার।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ কোটি মুসলমানের মাত্র ২১ শতাংশ বলেছেন, তারা তাদের মা-বাবার চেয়ে কম পর্যবেক্ষণশীল। আর ৪৫ শতাংশই নিজেদের ধর্মপ্রাণ হিসাবে বিবেচনা করেন। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার এক হাজার মানুষের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে রিপোর্টটি। এতে ৩৪ শতাংশ সম্পদকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে, ২৮ শতাংশ নিজেদের আবেগপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করে এবং ১২ শতাংশ খ্যাতিকে অগ্রাধিকার দেয়। রিপোর্টে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় বিশ্বাস ও পশ্চিমাশৈলীর ভোগবাদের বিস্তারের ফলে মুসলিম-প্রভাবিত উপভোক্তাবাদ খাদ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামিক আইন অনুযায়ী শালীন ফ্যাশন, ডেটিং অ্যাপস এবং হালাল ভ্রমণও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জরিপটিতে। ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্সের এশিয়া প্যাসিফিক ডিরেক্টর চেন মি ইয়ে বলেন, ‘মুসলিম গ্রাহকরা ক্রয়সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ক্রমবর্ধমানভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসে আচ্ছন্ন হয়েছেন।’ নতুন প্রযুক্তি মেটাভার্স হালাল কি-না, একটি পণ্য হালাল বা জায়েজ কি-না-কেনা বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেন তারা। এসব ক্ষেত্রে ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, মূল্য, গুণমানের চেয়ে ওসব প্রশ্নই তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা মুসলমানদের তৈরি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরম দেখতে চান। তবে ৫৯ শতাংশই স্বীকৃতি দিয়েছেন মেটাভার্স ইসলামি শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ৬০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম ব্যাংকিং বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামি আইনে চলছে কি-না, সে প্রশ্নে সতর্ক থাকেন। .৭৭ শতাংশই বলেছেন, হালাল খাবার প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করেই ভ্রমণের জন্য দেশ বা স্থান নির্বাচন করেন।
মা-বাবার চেয়ে বেশি ধর্মভীরু সন্তানরা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম পরিবার
যুগান্তর ডেস্ক
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের মধ্যে তিনজনে একজন পিতা-মাতার চেয়ে বেশি ধর্মভীরু। ধর্মীয় বিশ্বাস ও পশ্চিমা ধাঁচের ভোগবাদিতা এই অঞ্চলের মুসলমানদের অভ্যাসকে পরিবর্তন করছে। তারা ব্যক্তিগত খরচ, ফ্যাশন, ব্যাংকিং, ভ্রমণ এবং শিক্ষার বিষয়ে অনেক বেশি আবেগপ্রবণ।
বুধবার নিউ মুসলিম কনজ্যুমারের প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছে ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্স ও ভিএমএলওয়াইঅ্যান্ডআর মালয়েশিয়া। খবর আলজাজিরার।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ কোটি মুসলমানের মাত্র ২১ শতাংশ বলেছেন, তারা তাদের মা-বাবার চেয়ে কম পর্যবেক্ষণশীল। আর ৪৫ শতাংশই নিজেদের ধর্মপ্রাণ হিসাবে বিবেচনা করেন। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার এক হাজার মানুষের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে রিপোর্টটি। এতে ৩৪ শতাংশ সম্পদকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে, ২৮ শতাংশ নিজেদের আবেগপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করে এবং ১২ শতাংশ খ্যাতিকে অগ্রাধিকার দেয়। রিপোর্টে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় বিশ্বাস ও পশ্চিমাশৈলীর ভোগবাদের বিস্তারের ফলে মুসলিম-প্রভাবিত উপভোক্তাবাদ খাদ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামিক আইন অনুযায়ী শালীন ফ্যাশন, ডেটিং অ্যাপস এবং হালাল ভ্রমণও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জরিপটিতে। ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্সের এশিয়া প্যাসিফিক ডিরেক্টর চেন মি ইয়ে বলেন, ‘মুসলিম গ্রাহকরা ক্রয়সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ক্রমবর্ধমানভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসে আচ্ছন্ন হয়েছেন।’ নতুন প্রযুক্তি মেটাভার্স হালাল কি-না, একটি পণ্য হালাল বা জায়েজ কি-না-কেনা বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেন তারা। এসব ক্ষেত্রে ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, মূল্য, গুণমানের চেয়ে ওসব প্রশ্নই তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা মুসলমানদের তৈরি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরম দেখতে চান। তবে ৫৯ শতাংশই স্বীকৃতি দিয়েছেন মেটাভার্স ইসলামি শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ৬০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম ব্যাংকিং বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামি আইনে চলছে কি-না, সে প্রশ্নে সতর্ক থাকেন। .৭৭ শতাংশই বলেছেন, হালাল খাবার প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করেই ভ্রমণের জন্য দেশ বা স্থান নির্বাচন করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023