সীমান্তে ৫৫শ ড্রোন ক্যামেরা বসাবে ভারত
পাকিস্তান সীমান্তে ড্রোন রোখা এই মুহূর্তে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এ থেকে রেহাই পেতে পশ্চিম সীমান্তে সাড়ে পাঁচ হাজার ক্যামেরা বসাবে ভারত। বৃহস্পতিবার বিএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থার ডিজি পঙ্কজ কুমার সিংহ। বলেন, ড্রোনের আনাগোনা পাকিস্তান সীমান্তে বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিম সীমান্তে প্রায় ৫৫০০টি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজারের। তবে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিমবঙ্গ, আসামের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে জনসংখ্যার বিন্যাসে পরিবর্তন হয়েছে বলে বিজেপির তরফে প্রায়ই যে দাবি করা হয়, সে বিষয়ে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি পঙ্কজ। বলেছেন, ‘জনগণনার কাজ শেষ হলেই স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’ পঞ্জাব ও জম্মুতে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। তাদের বক্তব্য, সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থা আগের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় ড্রোনের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্র পাঠানোর কৌশল নিয়েছে চোরাকারবারি ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। বিএসএফ সূত্রের বক্তব্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে জম্মু ও পঞ্জাবে ৭৯টি ড্রোনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেখানে গত বছর ১০৯টি এবং এ বছর এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৭০টির কাছাকাছি ড্রোনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পঙ্কজ বলেন, ‘গত বছর যেখানে একটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছিল, সেখানে এ বছর নামানো হয়েছে ১৬টি ড্রোন।’ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রোনের আকারও। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল অমৃতসর সীমান্তে বিএফএফের এক মহিলা প্রহরী যে ড্রোনটিকে গুলি করে নামান, সেটির ওজন ১৮ কিলোগ্রাম। যেটি প্রায় তিন কিলোগ্রাম মাদক নিয়ে পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে এসেছিল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সীমান্তে ৫৫শ ড্রোন ক্যামেরা বসাবে ভারত
পাকিস্তান সীমান্তে ড্রোন রোখা এই মুহূর্তে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এ থেকে রেহাই পেতে পশ্চিম সীমান্তে সাড়ে পাঁচ হাজার ক্যামেরা বসাবে ভারত। বৃহস্পতিবার বিএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থার ডিজি পঙ্কজ কুমার সিংহ। বলেন, ড্রোনের আনাগোনা পাকিস্তান সীমান্তে বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিম সীমান্তে প্রায় ৫৫০০টি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজারের। তবে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিমবঙ্গ, আসামের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে জনসংখ্যার বিন্যাসে পরিবর্তন হয়েছে বলে বিজেপির তরফে প্রায়ই যে দাবি করা হয়, সে বিষয়ে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি পঙ্কজ। বলেছেন, ‘জনগণনার কাজ শেষ হলেই স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’ পঞ্জাব ও জম্মুতে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। তাদের বক্তব্য, সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থা আগের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় ড্রোনের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্র পাঠানোর কৌশল নিয়েছে চোরাকারবারি ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। বিএসএফ সূত্রের বক্তব্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে জম্মু ও পঞ্জাবে ৭৯টি ড্রোনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেখানে গত বছর ১০৯টি এবং এ বছর এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৭০টির কাছাকাছি ড্রোনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পঙ্কজ বলেন, ‘গত বছর যেখানে একটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছিল, সেখানে এ বছর নামানো হয়েছে ১৬টি ড্রোন।’ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রোনের আকারও। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল অমৃতসর সীমান্তে বিএফএফের এক মহিলা প্রহরী যে ড্রোনটিকে গুলি করে নামান, সেটির ওজন ১৮ কিলোগ্রাম। যেটি প্রায় তিন কিলোগ্রাম মাদক নিয়ে পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে এসেছিল।