‘বন্ধু’ তাইওয়ানকে ছেড়ে চীনের হাত ধরল হন্ডুরাস
jugantor
‘বন্ধু’ তাইওয়ানকে ছেড়ে চীনের হাত ধরল হন্ডুরাস

   

২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

তাইওয়ানের সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্ক চুকিয়ে চীনের হাত ধরল কম্বোডিয়া। রোববার থেকে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক যাত্রা শুরু করেছে হন্ডুরাস তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, বেইজিংয়ের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে সে দলে ভেড়ার আগে হন্ডুরাস তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেছিল। ১৯৪০-এর দশক থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে হন্ডুরাসের মিত্রতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে হন্ডুরাস যে চীনের হাত ধরতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত বেশ কিছু দিন ধরেই পওয়া যাচ্ছিল। গত সপ্তাহে হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে যান। তার আগে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট সিওমারা কাস্ত্রো বলেছিলেন, তার সরকার বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করতে যাচ্ছে। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুইন গাং এবং হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এদুয়ার্দো এনরিক রেইনা বেইজিংয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি চুক্তিতে সই করেছেন।

শনিবার একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে হন্ডুরাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, তারা পিপলস রিপাবলিক অব চায়নাকে একমাত্র বৈধ সরকার হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। যারা সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাইওয়ানকে ‘চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’ মানে। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করলেও চীন দ্বীপটিকে তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড মনে করে, যারা একদিন পুনরায় মিলিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বল প্রয়োগের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্রনীতি অনেকটাই তাইওয়ানের সঙ্গে বাকি বিশ্বের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে। যা ‘ওয়ান-চায়না পলিসি’ বা এক চীননীতি নামে পরিচিত। তাইওয়ান চীনের এই দাবি জোরালভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, একমাত্র তাইওয়ানের জনগণ দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, অন্য কেউ নয়।

‘বন্ধু’ তাইওয়ানকে ছেড়ে চীনের হাত ধরল হন্ডুরাস

  
২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

তাইওয়ানের সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্ক চুকিয়ে চীনের হাত ধরল কম্বোডিয়া। রোববার থেকে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক যাত্রা শুরু করেছে হন্ডুরাস তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, বেইজিংয়ের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে সে দলে ভেড়ার আগে হন্ডুরাস তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেছিল। ১৯৪০-এর দশক থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে হন্ডুরাসের মিত্রতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে হন্ডুরাস যে চীনের হাত ধরতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত বেশ কিছু দিন ধরেই পওয়া যাচ্ছিল। গত সপ্তাহে হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে যান। তার আগে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট সিওমারা কাস্ত্রো বলেছিলেন, তার সরকার বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করতে যাচ্ছে। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুইন গাং এবং হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এদুয়ার্দো এনরিক রেইনা বেইজিংয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি চুক্তিতে সই করেছেন।

শনিবার একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে হন্ডুরাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, তারা পিপলস রিপাবলিক অব চায়নাকে একমাত্র বৈধ সরকার হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। যারা সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাইওয়ানকে ‘চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’ মানে। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করলেও চীন দ্বীপটিকে তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড মনে করে, যারা একদিন পুনরায় মিলিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বল প্রয়োগের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্রনীতি অনেকটাই তাইওয়ানের সঙ্গে বাকি বিশ্বের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে। যা ‘ওয়ান-চায়না পলিসি’ বা এক চীননীতি নামে পরিচিত। তাইওয়ান চীনের এই দাবি জোরালভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, একমাত্র তাইওয়ানের জনগণ দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, অন্য কেউ নয়।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন