হাঙ্গেরিতে বন্ধ হচ্ছে গরম জলের সুইমিংপুল
হাঙ্গেরির অন্যতম অর্থনৈতিক উৎস গরম জলের সুইমিংপুল সেন্টারগুলো (থার্মাল বাথ)। কারণ প্রতি বছর এগুলোতে ভিড় জমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশর শত শত পর্যটক। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে বিদ্যুতের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সংকটে পড়েছে সেন্টারগুলো। কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু আবার সুযোগ-সুবিধা ও সময় কমিয়ে কোনোরকম টিকে আছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশটির পুরো আর্থিক খাতে। খবর এএফপির। বুদাপেস্ট স্পা নামে পরিচিত রাজধানী বুদাপেস্টের সুইমিংপুল হাউজগুলোর পরিচালনাকারী (হাঙ্গেরিতে এগুলো স্পা নামেও পরিচিত) এডিট রেফি বলেন, বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় সুইমিংপুলগুলো চালাতে গত বছরের তুলনায় ১৭০ শতাংশ বেশি খরচ হয়েছে। গেলার্টি ও সেচেনির (পার্টির জন্য বিখ্যাত) মতো ঐতিহাসিক সুইমিংপুলের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের টিকিটের দাম বাড়াতে হয়েছে। কমাতে হয়েছে সেন্টার খোলা রাখার সময়। এ ছাড়াও আউটডোর পুলগুলোর খরচ কমিয়ে আনতে হয়েছে। পর্যটন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এগুলো আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। সস্তা এবং কম পরিচিত গ্রামাঞ্চলের সুইমিংপুলগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।
হাঙ্গেরির বাথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জোল্টান কান্তাস বলেছেন, দেশব্যাপী সব সুইমিংপুলের এক-চতুর্থাংশ তাদের খোলা রাখার সময়সীমা সীমিত করছে।
হাঙ্গেরির গরম জলের সুইমিংপুলের সংস্কৃতি ২০০০ বছর আগে রোমানদের দ্বারা প্রথম বিকশিত হয়েছিল। এছাড়া ১৬ শতকে এটি অটোমানদের অধীনেও ছিল। বর্তমানে দেশটির উত্তর-পূর্বে মিসকোলকটা পোলকাত শহরে গরম জলের সুইমিংপুল কমপ্লেক্সসহ এক হাজার ৩০০টিরও বেশি সেন্টার রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম হেভিজে হ্রদটিও (জৈবিকভাবে সক্রিয় ও প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি গরম জলের হ্রদ) হাঙ্গেরির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ভূ-তাপীয় ব্যবস্থায় উত্তপ্ত এ হ্রদের জল শীতকালে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৭১.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) উপরে এবং গ্রীষ্মে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হাঙ্গেরিতে বন্ধ হচ্ছে গরম জলের সুইমিংপুল
হাঙ্গেরির অন্যতম অর্থনৈতিক উৎস গরম জলের সুইমিংপুল সেন্টারগুলো (থার্মাল বাথ)। কারণ প্রতি বছর এগুলোতে ভিড় জমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশর শত শত পর্যটক। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে বিদ্যুতের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সংকটে পড়েছে সেন্টারগুলো। কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু আবার সুযোগ-সুবিধা ও সময় কমিয়ে কোনোরকম টিকে আছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশটির পুরো আর্থিক খাতে। খবর এএফপির। বুদাপেস্ট স্পা নামে পরিচিত রাজধানী বুদাপেস্টের সুইমিংপুল হাউজগুলোর পরিচালনাকারী (হাঙ্গেরিতে এগুলো স্পা নামেও পরিচিত) এডিট রেফি বলেন, বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় সুইমিংপুলগুলো চালাতে গত বছরের তুলনায় ১৭০ শতাংশ বেশি খরচ হয়েছে। গেলার্টি ও সেচেনির (পার্টির জন্য বিখ্যাত) মতো ঐতিহাসিক সুইমিংপুলের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের টিকিটের দাম বাড়াতে হয়েছে। কমাতে হয়েছে সেন্টার খোলা রাখার সময়। এ ছাড়াও আউটডোর পুলগুলোর খরচ কমিয়ে আনতে হয়েছে। পর্যটন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এগুলো আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। সস্তা এবং কম পরিচিত গ্রামাঞ্চলের সুইমিংপুলগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।
হাঙ্গেরির বাথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জোল্টান কান্তাস বলেছেন, দেশব্যাপী সব সুইমিংপুলের এক-চতুর্থাংশ তাদের খোলা রাখার সময়সীমা সীমিত করছে।
হাঙ্গেরির গরম জলের সুইমিংপুলের সংস্কৃতি ২০০০ বছর আগে রোমানদের দ্বারা প্রথম বিকশিত হয়েছিল। এছাড়া ১৬ শতকে এটি অটোমানদের অধীনেও ছিল। বর্তমানে দেশটির উত্তর-পূর্বে মিসকোলকটা পোলকাত শহরে গরম জলের সুইমিংপুল কমপ্লেক্সসহ এক হাজার ৩০০টিরও বেশি সেন্টার রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম হেভিজে হ্রদটিও (জৈবিকভাবে সক্রিয় ও প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি গরম জলের হ্রদ) হাঙ্গেরির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ভূ-তাপীয় ব্যবস্থায় উত্তপ্ত এ হ্রদের জল শীতকালে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৭১.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) উপরে এবং গ্রীষ্মে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।