পিয়ানোতেই শতাব্দী পার
ফরাসি মদ, পনির এবং চকলেট-এই তিন শত্রুকে একেবারেই কাছে ঘেঁষতে দেন না
যুগান্তর ডেস্ক
০২ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পিয়ানো বাজাচ্ছেন ফ্রান্সের এক নারী শিল্পী কোলেট মেজ। হাজার হাজার ভক্তের মন কাড়ছেন সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জন্ম ১৯১৪ সালের জুনে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে। বয়সের সীমারেখায় জীবনের শেষপ্রান্তে হলেও শরীরজুড়ে এখনো তারুণ্যের উদ্যম। পিয়ানো সাধনার এ গোধূলি বেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার সপ্তম অ্যালবাম ‘১০৮ ইয়ারস অফ পিয়ানো’। তার জন্মই হয়েছিল পিয়ানোর জন্য! বাবা মায়ের প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও পিয়ানোর সুরেলা সাদা-কালো রিডগুলোতে তার কচি হাতের কোমল ছোঁয়া পড়ে সেই পাঁচ বছরেই। তখন থেকেই হাতেখড়ি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাননি মেজ। পরিবারের শাসন-বারণের সব বাধাই বালির মতো ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ে তার পিয়ানোর সুরে। ফরাসি এই পিয়ানো পাগল এখনো, এই বয়সেও দিনে চার ঘণ্টা করে অনুশীলন করেন প্রতিদিন। বাস করেন প্যারিসের সেইন্ট নদীর কাছাকাছি। তিনি মনে করেন, পিয়ানোই তার জীবন। আর বয়স প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি? আমি যুবতী।’ মেজ তার জীবনের বেশির ভাগ সময়েই ছিলেন পিয়ানো শিক্ষক। বয়সের কোঠা ১০০ ছুঁতেই নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তৈরি করতে শুরু করেন ফ্যানবেজ। শতবর্ষেও কিভাবে এতটা প্রাণচঞ্চলা তিনি? কোন জাদুতে ধরে রেখেছেন নিজের সুস্বাস্থ্য? জবাবে মেজ জানান, ঐতিহ্যবাহী ফরাসি মদ, পনির এবং চকলেট-এই তিন শত্রুকে একেবারেই কাছে ঘেঁষতে দেন না। আর তার এ শতবর্ষী যৌবনের আরেক রহস্য হচ্ছে নাচ অনুশীলন। মেজের ছেলে সাংবাদিক ফেব্রিস মেজ গবেংর জানান, ফ্রান্সসহ বিশ্বের অনেকেরই অনুপ্রেরণার উৎস তার মা। আর এ কারণেই তিনি সফল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত বিশাল কামান ‘বিগ বার্থা’ শব্দটিকে এখনো তার মায়ের স্মরণে রয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও মেজের বেশির ভাগ স্মৃতিই পিয়ানোকে ঘিরে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পিয়ানোতেই শতাব্দী পার
ফরাসি মদ, পনির এবং চকলেট-এই তিন শত্রুকে একেবারেই কাছে ঘেঁষতে দেন না
এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পিয়ানো বাজাচ্ছেন ফ্রান্সের এক নারী শিল্পী কোলেট মেজ। হাজার হাজার ভক্তের মন কাড়ছেন সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জন্ম ১৯১৪ সালের জুনে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে। বয়সের সীমারেখায় জীবনের শেষপ্রান্তে হলেও শরীরজুড়ে এখনো তারুণ্যের উদ্যম। পিয়ানো সাধনার এ গোধূলি বেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার সপ্তম অ্যালবাম ‘১০৮ ইয়ারস অফ পিয়ানো’। তার জন্মই হয়েছিল পিয়ানোর জন্য! বাবা মায়ের প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও পিয়ানোর সুরেলা সাদা-কালো রিডগুলোতে তার কচি হাতের কোমল ছোঁয়া পড়ে সেই পাঁচ বছরেই। তখন থেকেই হাতেখড়ি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাননি মেজ। পরিবারের শাসন-বারণের সব বাধাই বালির মতো ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ে তার পিয়ানোর সুরে। ফরাসি এই পিয়ানো পাগল এখনো, এই বয়সেও দিনে চার ঘণ্টা করে অনুশীলন করেন প্রতিদিন। বাস করেন প্যারিসের সেইন্ট নদীর কাছাকাছি। তিনি মনে করেন, পিয়ানোই তার জীবন। আর বয়স প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি? আমি যুবতী।’ মেজ তার জীবনের বেশির ভাগ সময়েই ছিলেন পিয়ানো শিক্ষক। বয়সের কোঠা ১০০ ছুঁতেই নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তৈরি করতে শুরু করেন ফ্যানবেজ। শতবর্ষেও কিভাবে এতটা প্রাণচঞ্চলা তিনি? কোন জাদুতে ধরে রেখেছেন নিজের সুস্বাস্থ্য? জবাবে মেজ জানান, ঐতিহ্যবাহী ফরাসি মদ, পনির এবং চকলেট-এই তিন শত্রুকে একেবারেই কাছে ঘেঁষতে দেন না। আর তার এ শতবর্ষী যৌবনের আরেক রহস্য হচ্ছে নাচ অনুশীলন। মেজের ছেলে সাংবাদিক ফেব্রিস মেজ গবেংর জানান, ফ্রান্সসহ বিশ্বের অনেকেরই অনুপ্রেরণার উৎস তার মা। আর এ কারণেই তিনি সফল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত বিশাল কামান ‘বিগ বার্থা’ শব্দটিকে এখনো তার মায়ের স্মরণে রয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও মেজের বেশির ভাগ স্মৃতিই পিয়ানোকে ঘিরে।