আরএসএসের সতর্কবার্তা
মোদি ক্যারিশমায় আর কাজ হবে না
হিমাচল প্রদেশেও পর্যুদস্ত। কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ভরাডুবি। পরপর এই দুই পরাজয়ের কারণগুলো পাখির চোখে বিশ্লেষণ করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির নিয়ন্ত্রক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) মুখপত্র অর্গানাইজার। আর তাতেই বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে এবার শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখ ব্যবহার করে যে আর কাজ হবে না, তা বোঝার সময় হয়েছে বিজেপির।’ সাপ্তাহিক ইংরেজি ম্যাগাজিন অর্গানাইজারের ২৩ মে’র সম্পাদকীয়তে বিজেপির উদ্দেশ্যে এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছেন সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকার। একই সঙ্গে তিনি মোদির নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে লিখেছেন, ‘আদর্শ এবং নেতৃত্ব তখনই সত্যিকারের সম্পদ যখন রাজ্য সরকারগুলো সঠিকভাবে কাজ করবে।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার পত্রিকা।
পুরো ভারতে এখন পর্যন্ত বিজেপির একটাই মুখ। নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে তার মুখকে সামনে রেখেই লোকসভা নির্বাচনে লড়েছে। এখন পর্যন্ত বিজেপির যা পরিকল্পনা তাতে আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনেও মোদির মুখকে সামনে রেখেই লড়াইয়ে নামবে দল। এমনই সময়ে আরএসএসের ইংরেজি মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’ সতর্ক করল বিজেপিকে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মোদির ক্যারিশমা এবং হিন্দুত্ব রাজনীতি নির্বাচনে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। প্রয়োজন আঞ্চলিক স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করা।
গত ৯ বছরে রাজ্যগুলোর বিধানসভা নির্বাচনেও মোদিকেই মুখ করেই লড়েছে বিজেপি। অনেক রাজ্যে সাফল্য মিললেও সদ্যই ধাক্কা খেয়েছে কর্নাটকে। হিমাচল প্রদেশেও বিজেপি পর্যুদস্ত হলেও কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের উত্থান চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। সেই চিন্তাই স্পষ্ট হয়েছে দিল্লি থেকে প্রকাশিত অর্গানাইজার-এর সম্পাদকীয়তে। সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকার তার সম্পাদকীয় কলামে লিখেছেন, ‘বিজেপির বোধোদয়ের জন্য এটাই সঠিক সময়। আঞ্চলিক স্তরে শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং তাদের কার্যকরী ভূমিকা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি এবং হিন্দুত্বের আদর্শবাদ যথেষ্ট নয়।’ প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে কর্নাটক নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে দেখা যায়, ৬০ শতাংশের বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। দখল হারিয়েছে বিজেপি। অথচ কর্নাটক দখলে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গ দখল করার চেষ্টার মতোই ছিল কর্নাটক ধরে রাখার লড়াই। প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। কিন্তু মোদির ফুলে ঢাকা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার থেকে ডেলিভারি বয়ের স্কুটারে চেপে রাহুল গান্ধীর যাত্রায়ই আস্থা রাখেন কর্নাটকের মানুষ। ২২৪ আসনের কর্নাটকে কংগ্রেস পায় ১৩৫ আসন, তাদের জোটসঙ্গী পায় একটি। অন্যদিকে বিজেপি আগের ১০৪ থেকে নেমে যায় ৬৬ আসনে। ভোটপ্রাপ্তি ৩৬ শতাংশ। এমন ফলের পরে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস অনেকটাই অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে অর্গানাইজার-এর সম্পাদকীয়তে।
মোদি ক্যারিশমায় আর কাজ হবে না
আরএসএসের সতর্কবার্তা
যুগান্তর ডেস্ক
০৮ জুন ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
হিমাচল প্রদেশেও পর্যুদস্ত। কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ভরাডুবি। পরপর এই দুই পরাজয়ের কারণগুলো পাখির চোখে বিশ্লেষণ করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির নিয়ন্ত্রক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) মুখপত্র অর্গানাইজার। আর তাতেই বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে এবার শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখ ব্যবহার করে যে আর কাজ হবে না, তা বোঝার সময় হয়েছে বিজেপির।’ সাপ্তাহিক ইংরেজি ম্যাগাজিন অর্গানাইজারের ২৩ মে’র সম্পাদকীয়তে বিজেপির উদ্দেশ্যে এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছেন সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকার। একই সঙ্গে তিনি মোদির নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে লিখেছেন, ‘আদর্শ এবং নেতৃত্ব তখনই সত্যিকারের সম্পদ যখন রাজ্য সরকারগুলো সঠিকভাবে কাজ করবে।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার পত্রিকা।
পুরো ভারতে এখন পর্যন্ত বিজেপির একটাই মুখ। নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে তার মুখকে সামনে রেখেই লোকসভা নির্বাচনে লড়েছে। এখন পর্যন্ত বিজেপির যা পরিকল্পনা তাতে আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনেও মোদির মুখকে সামনে রেখেই লড়াইয়ে নামবে দল। এমনই সময়ে আরএসএসের ইংরেজি মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’ সতর্ক করল বিজেপিকে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মোদির ক্যারিশমা এবং হিন্দুত্ব রাজনীতি নির্বাচনে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। প্রয়োজন আঞ্চলিক স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করা।
গত ৯ বছরে রাজ্যগুলোর বিধানসভা নির্বাচনেও মোদিকেই মুখ করেই লড়েছে বিজেপি। অনেক রাজ্যে সাফল্য মিললেও সদ্যই ধাক্কা খেয়েছে কর্নাটকে। হিমাচল প্রদেশেও বিজেপি পর্যুদস্ত হলেও কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের উত্থান চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। সেই চিন্তাই স্পষ্ট হয়েছে দিল্লি থেকে প্রকাশিত অর্গানাইজার-এর সম্পাদকীয়তে। সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকার তার সম্পাদকীয় কলামে লিখেছেন, ‘বিজেপির বোধোদয়ের জন্য এটাই সঠিক সময়। আঞ্চলিক স্তরে শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং তাদের কার্যকরী ভূমিকা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি এবং হিন্দুত্বের আদর্শবাদ যথেষ্ট নয়।’ প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে কর্নাটক নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে দেখা যায়, ৬০ শতাংশের বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। দখল হারিয়েছে বিজেপি। অথচ কর্নাটক দখলে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গ দখল করার চেষ্টার মতোই ছিল কর্নাটক ধরে রাখার লড়াই। প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। কিন্তু মোদির ফুলে ঢাকা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার থেকে ডেলিভারি বয়ের স্কুটারে চেপে রাহুল গান্ধীর যাত্রায়ই আস্থা রাখেন কর্নাটকের মানুষ। ২২৪ আসনের কর্নাটকে কংগ্রেস পায় ১৩৫ আসন, তাদের জোটসঙ্গী পায় একটি। অন্যদিকে বিজেপি আগের ১০৪ থেকে নেমে যায় ৬৬ আসনে। ভোটপ্রাপ্তি ৩৬ শতাংশ। এমন ফলের পরে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস অনেকটাই অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে অর্গানাইজার-এর সম্পাদকীয়তে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023