হাস্যরস: মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প
একসময় চিকিৎসক হিসাবে নাসিরুদ্দিনের বেশ সুনাম ছিল। একদিন গ্রামের জমিদার এলেন তার কাছে। বললেন, ‘বড় মুটিয়ে যাচ্ছি, মেদ কমাতে চাই। একটু ওষুধ দাও।’ নাসিরুদ্দিন অনেকক্ষণ ধরে তার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘ওষুধ দেওয়া লাগবে না। আপনার দিন ফুরিয়ে এসেছে। দিন পনেরোর মধ্যেই আপনি মারা যাবেন।’ ভয়ে-ভাবনায় জমিদার টলতে টলতে বাড়ি ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। খাবারে তার রুচি নেই। ঘুম আসে না। মোসাহেব-বন্ধুপরিবেষ্টিত আড্ডা তার ভালো লাগে না। এভাবে মৃত্যুচিন্তায় তার দেহ শুকিয়ে যেন কাঠ। পনেরোদিন কাটিয়ে তিনি নাসিরুদ্দিনকে ভর্ৎসনা করে বললেন, ‘কী হে, গণকঠাকুর! পনেরো দিন তো পার হলো। আমি তো দিব্যি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে।’ নাসিরুদ্দিন বললেন, ‘রাগ করবেন না হুজুর। রোগা হতে চেয়েছিলেন, রোগা করে দিয়েছি। এখন চিকিৎসাবাবদ টাকাটা দিন।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হাস্যরস: মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প
একসময় চিকিৎসক হিসাবে নাসিরুদ্দিনের বেশ সুনাম ছিল। একদিন গ্রামের জমিদার এলেন তার কাছে। বললেন, ‘বড় মুটিয়ে যাচ্ছি, মেদ কমাতে চাই। একটু ওষুধ দাও।’ নাসিরুদ্দিন অনেকক্ষণ ধরে তার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘ওষুধ দেওয়া লাগবে না। আপনার দিন ফুরিয়ে এসেছে। দিন পনেরোর মধ্যেই আপনি মারা যাবেন।’ ভয়ে-ভাবনায় জমিদার টলতে টলতে বাড়ি ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। খাবারে তার রুচি নেই। ঘুম আসে না। মোসাহেব-বন্ধুপরিবেষ্টিত আড্ডা তার ভালো লাগে না। এভাবে মৃত্যুচিন্তায় তার দেহ শুকিয়ে যেন কাঠ। পনেরোদিন কাটিয়ে তিনি নাসিরুদ্দিনকে ভর্ৎসনা করে বললেন, ‘কী হে, গণকঠাকুর! পনেরো দিন তো পার হলো। আমি তো দিব্যি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে।’ নাসিরুদ্দিন বললেন, ‘রাগ করবেন না হুজুর। রোগা হতে চেয়েছিলেন, রোগা করে দিয়েছি। এখন চিকিৎসাবাবদ টাকাটা দিন।’