পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা রচনা
সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
ভূমিকা
‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।’
সৃষ্টিকর্তা যেন আপন হাতে পৃথিবীর সব সৌন্দর্যকে একত্রিত করে সৃজন করেছেন আমাদের এ বাংলাদেশকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাক্ষেত্র এ বাংলা যেন এক সুন্দরের জাদুঘর। যার প্রতি পরতে পরতে ষড়ঋতুরূপী অমোঘ জাদুকর এসে সৌন্দর্যের স্বর্গীয় সুধা ঢেলে দিয়ে যায়। এ দেশের অপরূপ বনবনানি, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, প্রাণদায়িনী নদনদী, সীমান্তরক্ষী পাহাড়-টিলা, পদ-ধৌতকারী সমুদ্রশোভা, স্নিগ্ধ চন্দ্র-সূর্য সবকিছু মিলিয়ে এ যেন এক স্বর্গপুরী।
ঋতুবৈচিত্র্যে বাংলাদেশের প্রকৃতি
বছরের ঋতুচক্রে ভর করে এদেশে ছয়টি ঋতু আবর্তিত হয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত প্রতিটি ঋতুই স্ব স্ব মহিমায় সৌন্দর্যের নতুনত্ব নিয়ে এই বাংলায় হাজির হয়। কবি বলেছেন, ‘ঋতুর দল নাচিয়া চলে/ ভরিয়া ডালি ফুলে ফলে।’ এই ঋতু বৈচিত্র্যের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি প্রত্যক্ষ করা যায়। প্রতিটি ঋতু তার অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে আগমন করে এবং নিজের অনাবিল সৌন্দর্য উপহার দিয়ে বিদায় নেয়। প্রতিটি ঋতুতে প্রকৃতি নব নব সাজে সজ্জিত হয়। গ্রীষ্মে ধূলি-ধূসর রুক্ষ প্রকৃতি বর্ষা এলেই সজীব হয়ে ওঠে। বর্ষা চলে গেলে এক আকাশ স্নিগ্ধ চাঁদের জ্যোৎস্না নিয়ে হাজির হয় শরৎ। শরতের শেষে নতুন ধানের সুগন্ধ ছড়িয়ে চুপি চুপি আসে হেমন্ত। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে খেজুরের রস আর পিঠাপুলির আমেজ নিয়ে তারপর শীত যেন জাঁকিয়ে বসে। শীতের শেষে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি ফুলের সৌরভে বিমুগ্ধ হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্র্য ‘রূপসী বাংলার বাংলাদেশ,
রূপের যে তার নেইকো শেষ।’
প্রকৃতির অবারিত সৌন্দর্যের রূপ ছড়িয়ে রয়েছে সারা দেশ জুড়ে। কোথাও শাল-মহুয়ার বনবীথি, কোথাও দিগন্ত বিস্তৃত বিল, কোথাও অনন্ত মাঠ প্রকৃতিকে করেছে ঐশ্বর্যময়। পূর্বাঞ্চলে নীলাভ পাহাড়ের ঢালে বিছানো চায়ের বাগানগুলো যেন সবুজ সিঁড়ির ধাপ দিয়ে সাজানো। দক্ষিণে সাগরের সঙ্গে মিতালি গড়েছে সুন্দরবনের বনবীথি। পশ্চিমের সমতল ভূমিকে সৃষ্টিকর্তা যেন নিজ হাতে ফুল-ফসলের সম্ভার দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন। উত্তর থেকে কুলকুল শব্দ করে নাচের ভঙিমার মতো এঁকেবেঁকে ছুটে চলছে এদেশের প্রাণদায়িনী নদনদী। তার দুকূলে সংগ্রামী মানুষগুলোর ছবির মতো ঘরবাড়ি। এ যেন এক স্বর্গীয় ভূমি! তাই তো কবি বলেছেন-
“স্বর্গ থেকেও সুন্দর তুমি আমার জন্মভূমি
সারা পৃথিবীর রূপ খুঁজিয়া তোমার পদচুমি।”
বাংলার নদনদী
নদীমাতৃক এ দেশে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য নদনদী। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তিস্তা, ধলেশ্বরী, গোমতী, কর্ণফুলী, বুড়িগঙ্গা এদেশের বুক চিরে বয়ে চলছে হাজার বছর ধরে। এসব নদীর বুকে ছুটে চলা রংবেরঙের অসংখ্য পাল তোলা সারি সারি নৌকার অপূর্ব দৃষ্টিনন্দন রূপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে। নদীর ঘাটে কলসি কাঁখে গৃহবধূদের জলকেলী সে সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। নদীর বুকে গাঙচিল, তীরে শ্বেতশুভ্র কাশবন, পাখপাখালিদের আনাগোনা সব মিলিয়ে এ যেন এক নিপুণ হাতের আঁকা ছবি!
পল্লী-প্রকৃতি
আমাদের পল্লীকবি বলেছেন-
“তুমি যাবে ভাই
যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গাঁয়?’
হরিতে-হিরণে, সবুজে-শ্যামলে, ফুলে-ফলে, জলে-ফসলে ভরপুর গ্রামবাংলার পল্লী-প্রকৃতিতে যেতে কার না মন ব্যাকুল হয়। ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলি’ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কেন্দ্রভূমি। আম-জাম-নারিকেল ঘেরা বৃক্ষমিতালি, পাখির কলকাকলি, চাঁদের আলোর হুটোপুটি, আকাশে মেঘবালিকার ছুটোছুটি, রোদবৃষ্টির লুকোচুরি, মাটির নিচে ফসলের ফুলঝুরি -এসবই পল্লীর রূপ। কবির ভাষায়-
“আমাদের গ্রামগুলি ছবির মতন
মাটির তলায় এর ছড়ানো রতন।”
বাংলার বনভূমি
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বনভূমি। দক্ষিণের সুন্দরবন-সাগরের জলে সে প্রতিনিয়ত পা ধুয়ে নিচ্ছে। পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলের পাহাড়ি বনভূমি-যেন আকাশের সঙ্গে মিতালি গড়েছে। নয়ন মুগ্ধ করা সে সবুজের সমারোহ দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। দেশের উত্তর ও মধ্য অঞ্চলে লাল মাটির শাল-মহুয়ার বন, তার সৌন্দর্যও কোনো অংশে কম নয়।
বাংলার পাহাড়
পাহাড়ি অঞ্চল বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধতর করছে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি অঞ্চলে ছোট-বড় অনেক পাহাড় ও টিলা দেখা যায়। এসব পাহাড়ের বন্ধুর ভূমিতে বৃক্ষরাজির শোভা অতি মনোরম। সিলেটের পাহাড়ি চা বাগানের সৌন্দর্য তো যে কারোই মনোরঞ্জন করে।
উপসংহার
সৌন্দর্যের রানি এই বাংলাদেশের অপরূপ রূপে বিশ্ববাসী আজ বিমোহিত। সারা বিশ্ব আজ অবাক হয়ে দেখছে এই পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যা ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, সবুজ শ্যামল প্রকৃতিময় সুখ শান্তি সমৃদ্ধির এক অফুরান ভাণ্ডার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহ ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে সোনার বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিন দিন শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। তাই আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে চোখ জুড়ানো মন ভুলানো এ বাংলার সৌন্দর্যই আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার। কবির মতো আমাদেরও বলতে হবে-
“ধন্য আমরা জন্মেছি এই দেশে,
ধন্য আমরা এই বাংলাকে ভালোবেসে।”
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা রচনা
সবুজ চৌধুরী
০৮ জুন ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
ভূমিকা
‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।’
সৃষ্টিকর্তা যেন আপন হাতে পৃথিবীর সব সৌন্দর্যকে একত্রিত করে সৃজন করেছেন আমাদের এ বাংলাদেশকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাক্ষেত্র এ বাংলা যেন এক সুন্দরের জাদুঘর। যার প্রতি পরতে পরতে ষড়ঋতুরূপী অমোঘ জাদুকর এসে সৌন্দর্যের স্বর্গীয় সুধা ঢেলে দিয়ে যায়। এ দেশের অপরূপ বনবনানি, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, প্রাণদায়িনী নদনদী, সীমান্তরক্ষী পাহাড়-টিলা, পদ-ধৌতকারী সমুদ্রশোভা, স্নিগ্ধ চন্দ্র-সূর্য সবকিছু মিলিয়ে এ যেন এক স্বর্গপুরী।
ঋতুবৈচিত্র্যে বাংলাদেশের প্রকৃতি
বছরের ঋতুচক্রে ভর করে এদেশে ছয়টি ঋতু আবর্তিত হয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত প্রতিটি ঋতুই স্ব স্ব মহিমায় সৌন্দর্যের নতুনত্ব নিয়ে এই বাংলায় হাজির হয়। কবি বলেছেন, ‘ঋতুর দল নাচিয়া চলে/ ভরিয়া ডালি ফুলে ফলে।’ এই ঋতু বৈচিত্র্যের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি প্রত্যক্ষ করা যায়। প্রতিটি ঋতু তার অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে আগমন করে এবং নিজের অনাবিল সৌন্দর্য উপহার দিয়ে বিদায় নেয়। প্রতিটি ঋতুতে প্রকৃতি নব নব সাজে সজ্জিত হয়। গ্রীষ্মে ধূলি-ধূসর রুক্ষ প্রকৃতি বর্ষা এলেই সজীব হয়ে ওঠে। বর্ষা চলে গেলে এক আকাশ স্নিগ্ধ চাঁদের জ্যোৎস্না নিয়ে হাজির হয় শরৎ। শরতের শেষে নতুন ধানের সুগন্ধ ছড়িয়ে চুপি চুপি আসে হেমন্ত। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে খেজুরের রস আর পিঠাপুলির আমেজ নিয়ে তারপর শীত যেন জাঁকিয়ে বসে। শীতের শেষে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি ফুলের সৌরভে বিমুগ্ধ হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্র্য ‘রূপসী বাংলার বাংলাদেশ,
রূপের যে তার নেইকো শেষ।’
প্রকৃতির অবারিত সৌন্দর্যের রূপ ছড়িয়ে রয়েছে সারা দেশ জুড়ে। কোথাও শাল-মহুয়ার বনবীথি, কোথাও দিগন্ত বিস্তৃত বিল, কোথাও অনন্ত মাঠ প্রকৃতিকে করেছে ঐশ্বর্যময়। পূর্বাঞ্চলে নীলাভ পাহাড়ের ঢালে বিছানো চায়ের বাগানগুলো যেন সবুজ সিঁড়ির ধাপ দিয়ে সাজানো। দক্ষিণে সাগরের সঙ্গে মিতালি গড়েছে সুন্দরবনের বনবীথি। পশ্চিমের সমতল ভূমিকে সৃষ্টিকর্তা যেন নিজ হাতে ফুল-ফসলের সম্ভার দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন। উত্তর থেকে কুলকুল শব্দ করে নাচের ভঙিমার মতো এঁকেবেঁকে ছুটে চলছে এদেশের প্রাণদায়িনী নদনদী। তার দুকূলে সংগ্রামী মানুষগুলোর ছবির মতো ঘরবাড়ি। এ যেন এক স্বর্গীয় ভূমি! তাই তো কবি বলেছেন-
“স্বর্গ থেকেও সুন্দর তুমি আমার জন্মভূমি
সারা পৃথিবীর রূপ খুঁজিয়া তোমার পদচুমি।”
বাংলার নদনদী
নদীমাতৃক এ দেশে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য নদনদী। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তিস্তা, ধলেশ্বরী, গোমতী, কর্ণফুলী, বুড়িগঙ্গা এদেশের বুক চিরে বয়ে চলছে হাজার বছর ধরে। এসব নদীর বুকে ছুটে চলা রংবেরঙের অসংখ্য পাল তোলা সারি সারি নৌকার অপূর্ব দৃষ্টিনন্দন রূপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে। নদীর ঘাটে কলসি কাঁখে গৃহবধূদের জলকেলী সে সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। নদীর বুকে গাঙচিল, তীরে শ্বেতশুভ্র কাশবন, পাখপাখালিদের আনাগোনা সব মিলিয়ে এ যেন এক নিপুণ হাতের আঁকা ছবি!
পল্লী-প্রকৃতি
আমাদের পল্লীকবি বলেছেন-
“তুমি যাবে ভাই
যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গাঁয়?’
হরিতে-হিরণে, সবুজে-শ্যামলে, ফুলে-ফলে, জলে-ফসলে ভরপুর গ্রামবাংলার পল্লী-প্রকৃতিতে যেতে কার না মন ব্যাকুল হয়। ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলি’ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কেন্দ্রভূমি। আম-জাম-নারিকেল ঘেরা বৃক্ষমিতালি, পাখির কলকাকলি, চাঁদের আলোর হুটোপুটি, আকাশে মেঘবালিকার ছুটোছুটি, রোদবৃষ্টির লুকোচুরি, মাটির নিচে ফসলের ফুলঝুরি -এসবই পল্লীর রূপ। কবির ভাষায়-
“আমাদের গ্রামগুলি ছবির মতন
মাটির তলায় এর ছড়ানো রতন।”
বাংলার বনভূমি
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বনভূমি। দক্ষিণের সুন্দরবন-সাগরের জলে সে প্রতিনিয়ত পা ধুয়ে নিচ্ছে। পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলের পাহাড়ি বনভূমি-যেন আকাশের সঙ্গে মিতালি গড়েছে। নয়ন মুগ্ধ করা সে সবুজের সমারোহ দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। দেশের উত্তর ও মধ্য অঞ্চলে লাল মাটির শাল-মহুয়ার বন, তার সৌন্দর্যও কোনো অংশে কম নয়।
বাংলার পাহাড়
পাহাড়ি অঞ্চল বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধতর করছে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি অঞ্চলে ছোট-বড় অনেক পাহাড় ও টিলা দেখা যায়। এসব পাহাড়ের বন্ধুর ভূমিতে বৃক্ষরাজির শোভা অতি মনোরম। সিলেটের পাহাড়ি চা বাগানের সৌন্দর্য তো যে কারোই মনোরঞ্জন করে।
উপসংহার
সৌন্দর্যের রানি এই বাংলাদেশের অপরূপ রূপে বিশ্ববাসী আজ বিমোহিত। সারা বিশ্ব আজ অবাক হয়ে দেখছে এই পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যা ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, সবুজ শ্যামল প্রকৃতিময় সুখ শান্তি সমৃদ্ধির এক অফুরান ভাণ্ডার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহ ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে সোনার বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিন দিন শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। তাই আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে চোখ জুড়ানো মন ভুলানো এ বাংলার সৌন্দর্যই আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার। কবির মতো আমাদেরও বলতে হবে-
“ধন্য আমরা জন্মেছি এই দেশে,
ধন্য আমরা এই বাংলাকে ভালোবেসে।”
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023