ইন্টারনেট সেবার মান বাড়ান
করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেড়েছে জনসাধারণের ইন্টারনেট ব্যবহার। অফিস-আদালতে কর্মের সময়সীমা সংকুচিত হওয়ায় বেশিরভাগ কাজই করতে হচ্ছে অনলাইনে।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখন পুরোদমে চলছে অনলাইন ক্লাস। তাছাড়া শপিং ও বিনোদনের মাধ্যমও হয়ে উঠেছে অনলাইনভিত্তিক। সর্বোপরি, করোনার কারণে শিক্ষার্থী-গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ইন্টারনেট সেবায় নির্ভরতা বেড়েছে।
করোনায় জনসাধারণের কর্ম সংকুচিত কিংবা চাকরি চলে যাওয়ায় তারা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও দেখা যাচ্ছে-ইন্টারনেটের ডেটা প্যাকেজের মূল্যও মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেছে। এ সংকটময় পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে ডেটা প্যাকেজ কিনলেও ইন্টারনেট সেবার ব্যাপক ধীরগতি এবং ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ স্বল্পতার কারণে কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠেছে।
ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধিতে কাজ করে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ। কিন্তু প্রয়োজনের অর্ধেক স্পেকট্রামও নেই দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানির অপারেটরদের। দু’বছর ধরে মোবাইল টাওয়ারের সংখ্যাও বাড়ছে না।
বিটিআরসি দু’বছর আগে চারটি কোম্পানিকে টাওয়ার ব্যবস্থাপনার লাইন্সেস দিলেও তিনটি কোম্পানি এখনও কাজই শুরু করেনি। এমন অবস্থার মধ্যেও প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহক বেড়েছে। অথচ বাড়ছে না ইন্টারনেটের গতি, উপরন্তু সংক্ষিপ্ত হচ্ছে ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ। বর্তমানে যেহেতু অনলাইনেই সব কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে, তাই আর্থিক সংকটে ভুগছে সর্বস্তরের মানুষ।
সুতরাং সবদিক বিবেচনা করে ডেটা প্যাকেজের মূল্য হ্রাস, মেয়াদ বাড়ানো ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
alommdshahin688@gmail.com
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইন্টারনেট সেবার মান বাড়ান
করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেড়েছে জনসাধারণের ইন্টারনেট ব্যবহার। অফিস-আদালতে কর্মের সময়সীমা সংকুচিত হওয়ায় বেশিরভাগ কাজই করতে হচ্ছে অনলাইনে।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখন পুরোদমে চলছে অনলাইন ক্লাস। তাছাড়া শপিং ও বিনোদনের মাধ্যমও হয়ে উঠেছে অনলাইনভিত্তিক। সর্বোপরি, করোনার কারণে শিক্ষার্থী-গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ইন্টারনেট সেবায় নির্ভরতা বেড়েছে।
করোনায় জনসাধারণের কর্ম সংকুচিত কিংবা চাকরি চলে যাওয়ায় তারা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও দেখা যাচ্ছে-ইন্টারনেটের ডেটা প্যাকেজের মূল্যও মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেছে। এ সংকটময় পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে ডেটা প্যাকেজ কিনলেও ইন্টারনেট সেবার ব্যাপক ধীরগতি এবং ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ স্বল্পতার কারণে কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠেছে।
ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধিতে কাজ করে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ। কিন্তু প্রয়োজনের অর্ধেক স্পেকট্রামও নেই দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানির অপারেটরদের। দু’বছর ধরে মোবাইল টাওয়ারের সংখ্যাও বাড়ছে না।
বিটিআরসি দু’বছর আগে চারটি কোম্পানিকে টাওয়ার ব্যবস্থাপনার লাইন্সেস দিলেও তিনটি কোম্পানি এখনও কাজই শুরু করেনি। এমন অবস্থার মধ্যেও প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহক বেড়েছে। অথচ বাড়ছে না ইন্টারনেটের গতি, উপরন্তু সংক্ষিপ্ত হচ্ছে ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ। বর্তমানে যেহেতু অনলাইনেই সব কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে, তাই আর্থিক সংকটে ভুগছে সর্বস্তরের মানুষ।
সুতরাং সবদিক বিবেচনা করে ডেটা প্যাকেজের মূল্য হ্রাস, মেয়াদ বাড়ানো ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
alommdshahin688@gmail.com