রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন
আর কিছুদিন পরেই আসছে আত্মসংযম ও ত্যাগের মাস রমজান। আমরা জানি, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সিয়াম বা রোজা একটি। রোজা আমাদের আত্মসংযম ও ত্যাগের শিক্ষা দেয়; রোজা আমাদের সব ধরনের অন্যায়, পাপাচার ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখার শিক্ষা দেয়; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একশ্রেণির মুনাফাখোর ব্যবসায়ী রমজান মাস এলেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ১১ মাস চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রমজান মাসে এসবের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠে।
কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি চলছে। চালের কেজি ৭০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা। রমজান মাস আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই; তখন মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ, লবণ, চিনির দাম আরও বাড়িয়ে দেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রতি বছর সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলে, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলে; কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন খেটে খাওয়া ও নিুআয়ের শ্রমজীবী মানুষ, যাদের আয় সীমিত। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও ভোগান্তির শিকার হন। এবারের রমজান মাসে যাতে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শ্রমজীবীসহ সব স্তরের মানুষ যাতে উপকৃত হয়, সেজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
২নং হাবেলী গোপালপুর, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন
আর কিছুদিন পরেই আসছে আত্মসংযম ও ত্যাগের মাস রমজান। আমরা জানি, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সিয়াম বা রোজা একটি। রোজা আমাদের আত্মসংযম ও ত্যাগের শিক্ষা দেয়; রোজা আমাদের সব ধরনের অন্যায়, পাপাচার ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখার শিক্ষা দেয়; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একশ্রেণির মুনাফাখোর ব্যবসায়ী রমজান মাস এলেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ১১ মাস চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রমজান মাসে এসবের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠে।
কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি চলছে। চালের কেজি ৭০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা। রমজান মাস আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই; তখন মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ, লবণ, চিনির দাম আরও বাড়িয়ে দেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রতি বছর সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলে, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলে; কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন খেটে খাওয়া ও নিুআয়ের শ্রমজীবী মানুষ, যাদের আয় সীমিত। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও ভোগান্তির শিকার হন। এবারের রমজান মাসে যাতে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শ্রমজীবীসহ সব স্তরের মানুষ যাতে উপকৃত হয়, সেজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
২নং হাবেলী গোপালপুর, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর