অবৈধ বালু উত্তোলন পরিবেশগত সংঘাত সৃষ্টি করছে
সউদ আহমেদ খান
০৭ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নগরায়ণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই বালুর ব্যবহার প্রচলিত। পানির পর বালুই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নির্মাণসামগ্রী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মরুভূমিতে অনেক বালু থাকলেও তা নির্মাণসামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করা যায় না।
তাই নদীর তলদেশের বালু উচ্চমানের নির্মাণসামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৫০ বিলিয়ন টন বালুর চাহিদা থাকে, যার বাজারমূল্য অন্তত ২ ট্রিলিয়ন ডলার। শুধু ভারতেই ১৫০ বিলিয়ন রুপি বালুর বাজার রয়েছে। বালুর অপর্যাপ্ততা এবং লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় পৃথিবীতে এটি বিপজ্জনক এক ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে, যা সংঘবদ্ধ অপরাধে রূপ নিচ্ছে।
সাংবাদিক ভিন্স বেইসার এটিকে ‘স্যান্ড মাফিয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন। বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শুধু ভারতেই ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৯৩ জন খুন হয়েছেন (হিন্দুস্তান টাইমস)।
বালু সন্ত্রাস এবং অবৈধ বালুমহাল বাংলাদেশের জন্যও এক নতুন সমস্যা হিসাবে দেখা দিচ্ছে। ৭০০ নদী বিধৌত বাংলাদেশের প্রায় ২৪,১৪০ কিমি. নদী রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, তুরাগ, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, করতোয়া, তিস্তা, ফেনী নদসহ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি নদীতেই সংঘবদ্ধ চক্র বালুমহাল নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক হর্তাকর্তা, এমন কী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যোগসাজেশে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালুমহাল ইজারার ক্ষেত্রেও মানা হচ্ছে না কোনো নীতিমালা। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও কুষ্টিয়া বালু উত্তোলনের প্রধান স্পট হিসাবে চিহ্নিত।
বাংলাদেশে অবৈধ বালুমহাল টেন্ডার সন্ত্রাসকে হার মানিয়েছে। ২০২১ সালেই অবৈধ বালু উত্তোলনের জন্য অন্তত ২৫ জনকে জরিমানা ও ৫০ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে অনেক ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। বালু উত্তোলন প্রায়শই দাঙ্গা-হাঙ্গামায় রূপ নিচ্ছে; যার কারণে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মেঘনা চর দখল ও বালুমহালকে কেন্দ্র করে ৯ জন নিহত ও প্রায় ৪০০ জনের মতো আহত হয়েছেন। সম্প্রতি ফেনী নদে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে প্রায় ১০০ পরিবার বাস্তুহারা হয়েছেন।
এ ছাড়া বেপরোয়া বালুবাহী ট্রাকের চাপায় রাজশাহীতে কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। নদীতে অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে নদী হারাচ্ছে তার গতিপথ এবং নদীভাঙনের দরুন হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।
অবৈধ বালু উত্তোলন একই সঙ্গে পরিবেশ, সামাজিক ও বাস্তুসংস্থানজনিত সমস্যার সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশে অবাধে বালু উত্তোলন নদীর তলদেশ ও নদীপাড়ের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ কমিয়ে দিচ্ছে। যখন নদীতে অতিরিক্ত বালু উত্তোলন করা হয়, তখন নদীর প্রবাহ কমতে থাকে। এর ফলে প্লাবনভূমি আরও নিচে নামতে শুরু করে, যার কারণে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খননের কারণে এশিয়ার নদীগুলোতে প্রায় ৯০ শতাংশ পলিমাটি কমেছে। নদীর প্যাটার্ন পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদকুল এবং জীবকুল বিপন্নপ্রায়। নদীভাঙনের দরুন অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে বালু উত্তোলনজনিত নৈরাজ্য পরিবেশগত সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই অবৈধ বালু উত্তোলন একটি পরিবেশগত সংঘাত।
জাতিসংঘের মতে অবৈধ বালু উত্তোলন পরিবেশ এবং জনজীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। অতিরিক্ত মাত্রায় বালু উত্তোলন নদীর জলপ্রবাহ কমিয়ে নদীর ক্ষয় বাড়িয়ে তুলছে। যার কারণে নদীর পাড় ভাঙা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন নদীর আশপাশের অবকাঠামো, বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, ফসলি জমি ইত্যাদিকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলছে।
এর কারণে নদীপাড়ের লোকজনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং তারা ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের দিকে ঝুঁকছে। এমন কী উপকূলীয় অঞ্চলের পানির লবণাক্ততা বাড়িয়ে তুলছে। বালু উত্তোলনের কারণে নদীর চ্যানেলের পলিমাটির স্তর কমে তলদেশের গাছপালার সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে, যা নদীর তলদেশের বাস্তুতন্ত্রে সমস্যার সৃষ্টি করছে। বালু উত্তোলনের কারণে নদীভাঙন ও বন্যার ফলে অনেক লোকজন বসতভিটা হারিয়ে অভ্যন্তরীণ শরণার্থী হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার ৭০ ভাগ বস্তিবাসী জলবায়ু শরণার্থী। প্রতিদিন ঢাকাতেই প্রায় ২ হাজার জলবায়ু শরণার্থী আশ্রয় নিচ্ছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই নানা রকম অপরাধী চক্র সংগঠিত হচ্ছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে।
পরিবেশগত সংঘাত শুধু বিবাদে রূপ নিচ্ছে না, এটি বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব ফেলছে এবং পরিবেশের ক্ষতি করছে। অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে জনগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, গণমাধ্যম সবার দায়িত্বশীল এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত।
আমাদের বর্তমান কাজের দ্বারাই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সবাইকেই সচেতন হতে হবে। সর্বোপরি, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ সঠিকভাবে কার্যকর করাই হবে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধের উত্তম প্রতিকার।
শিক্ষার্থী, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অবৈধ বালু উত্তোলন পরিবেশগত সংঘাত সৃষ্টি করছে
নগরায়ণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই বালুর ব্যবহার প্রচলিত। পানির পর বালুই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নির্মাণসামগ্রী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মরুভূমিতে অনেক বালু থাকলেও তা নির্মাণসামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করা যায় না।
তাই নদীর তলদেশের বালু উচ্চমানের নির্মাণসামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৫০ বিলিয়ন টন বালুর চাহিদা থাকে, যার বাজারমূল্য অন্তত ২ ট্রিলিয়ন ডলার। শুধু ভারতেই ১৫০ বিলিয়ন রুপি বালুর বাজার রয়েছে। বালুর অপর্যাপ্ততা এবং লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় পৃথিবীতে এটি বিপজ্জনক এক ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে, যা সংঘবদ্ধ অপরাধে রূপ নিচ্ছে।
সাংবাদিক ভিন্স বেইসার এটিকে ‘স্যান্ড মাফিয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন। বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শুধু ভারতেই ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৯৩ জন খুন হয়েছেন (হিন্দুস্তান টাইমস)।
বালু সন্ত্রাস এবং অবৈধ বালুমহাল বাংলাদেশের জন্যও এক নতুন সমস্যা হিসাবে দেখা দিচ্ছে। ৭০০ নদী বিধৌত বাংলাদেশের প্রায় ২৪,১৪০ কিমি. নদী রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, তুরাগ, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, করতোয়া, তিস্তা, ফেনী নদসহ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি নদীতেই সংঘবদ্ধ চক্র বালুমহাল নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক হর্তাকর্তা, এমন কী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যোগসাজেশে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালুমহাল ইজারার ক্ষেত্রেও মানা হচ্ছে না কোনো নীতিমালা। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও কুষ্টিয়া বালু উত্তোলনের প্রধান স্পট হিসাবে চিহ্নিত।
বাংলাদেশে অবৈধ বালুমহাল টেন্ডার সন্ত্রাসকে হার মানিয়েছে। ২০২১ সালেই অবৈধ বালু উত্তোলনের জন্য অন্তত ২৫ জনকে জরিমানা ও ৫০ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে অনেক ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। বালু উত্তোলন প্রায়শই দাঙ্গা-হাঙ্গামায় রূপ নিচ্ছে; যার কারণে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মেঘনা চর দখল ও বালুমহালকে কেন্দ্র করে ৯ জন নিহত ও প্রায় ৪০০ জনের মতো আহত হয়েছেন। সম্প্রতি ফেনী নদে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে প্রায় ১০০ পরিবার বাস্তুহারা হয়েছেন।
এ ছাড়া বেপরোয়া বালুবাহী ট্রাকের চাপায় রাজশাহীতে কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। নদীতে অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে নদী হারাচ্ছে তার গতিপথ এবং নদীভাঙনের দরুন হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।
অবৈধ বালু উত্তোলন একই সঙ্গে পরিবেশ, সামাজিক ও বাস্তুসংস্থানজনিত সমস্যার সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশে অবাধে বালু উত্তোলন নদীর তলদেশ ও নদীপাড়ের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ কমিয়ে দিচ্ছে। যখন নদীতে অতিরিক্ত বালু উত্তোলন করা হয়, তখন নদীর প্রবাহ কমতে থাকে। এর ফলে প্লাবনভূমি আরও নিচে নামতে শুরু করে, যার কারণে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খননের কারণে এশিয়ার নদীগুলোতে প্রায় ৯০ শতাংশ পলিমাটি কমেছে। নদীর প্যাটার্ন পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদকুল এবং জীবকুল বিপন্নপ্রায়। নদীভাঙনের দরুন অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে বালু উত্তোলনজনিত নৈরাজ্য পরিবেশগত সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই অবৈধ বালু উত্তোলন একটি পরিবেশগত সংঘাত।
জাতিসংঘের মতে অবৈধ বালু উত্তোলন পরিবেশ এবং জনজীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। অতিরিক্ত মাত্রায় বালু উত্তোলন নদীর জলপ্রবাহ কমিয়ে নদীর ক্ষয় বাড়িয়ে তুলছে। যার কারণে নদীর পাড় ভাঙা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন নদীর আশপাশের অবকাঠামো, বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, ফসলি জমি ইত্যাদিকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলছে।
এর কারণে নদীপাড়ের লোকজনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং তারা ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের দিকে ঝুঁকছে। এমন কী উপকূলীয় অঞ্চলের পানির লবণাক্ততা বাড়িয়ে তুলছে। বালু উত্তোলনের কারণে নদীর চ্যানেলের পলিমাটির স্তর কমে তলদেশের গাছপালার সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে, যা নদীর তলদেশের বাস্তুতন্ত্রে সমস্যার সৃষ্টি করছে। বালু উত্তোলনের কারণে নদীভাঙন ও বন্যার ফলে অনেক লোকজন বসতভিটা হারিয়ে অভ্যন্তরীণ শরণার্থী হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার ৭০ ভাগ বস্তিবাসী জলবায়ু শরণার্থী। প্রতিদিন ঢাকাতেই প্রায় ২ হাজার জলবায়ু শরণার্থী আশ্রয় নিচ্ছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই নানা রকম অপরাধী চক্র সংগঠিত হচ্ছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে।
পরিবেশগত সংঘাত শুধু বিবাদে রূপ নিচ্ছে না, এটি বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব ফেলছে এবং পরিবেশের ক্ষতি করছে। অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে জনগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, গণমাধ্যম সবার দায়িত্বশীল এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত।
আমাদের বর্তমান কাজের দ্বারাই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সবাইকেই সচেতন হতে হবে। সর্বোপরি, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ সঠিকভাবে কার্যকর করাই হবে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধের উত্তম প্রতিকার।
শিক্ষার্থী, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়