দিন দিন সড়ক বিপজ্জনক হয়ে উঠছে
প্রতিদিন টেলিভিশন ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানো পিতামাতার আহাজারি। প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে স্বপ্নের এক একজন সারথি। গত কয়েক মাসে সড়ক দুর্ঘটনা দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। একে একে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এভাবে অকালে আর কত শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটবে? আর কত স্বপ্ন রাস্তায় বিসর্জন দিতে হবে? সম্প্রতি দুটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। গত ২৪ নভেম্বর গুলিস্তান মোড়ে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম একটি ময়লাবাহী গাড়ির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারায়। এ ঘটনার ৪ দিন পর রাজধানীর রামপুরা বাজারে বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় মাহিন নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এসব দুর্ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আজকে আমরা যতই উন্নয়নের আর নিরাপত্তার গান গাই; বাস্তবে কি আজও সড়ক নিরাপদ হয়েছে? বর্তমানে দেশে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে; কিন্তু দুর্ঘটনা কমছে না। দিন দিন সড়ক বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে ২৫ গুণ বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনা মানুষের জীবনের সঙ্গে পরিবারের আশা, ভরসা, স্বপ্ন সব ছিনিয়ে নিচ্ছে। প্রতিদিন কারও না কারও রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে রাজপথ। এভাবে আর কতদিন রাস্তায় স্বজনহারা মানুষের আহাজারি দেখতে হবে? বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় যে ক্ষতি হয়, তার আর্থিক মূল্য প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে জাতীয় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ পাশ হওয়ার পরও সড়কে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি; বরং বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি ঠিক আগের মতোই বিদ্যমান। শুধু আইনটা আইনের জায়গায় পড়ে আছে। নিরাপদ সড়ক এখন সময়ের দাবি।
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দিন দিন সড়ক বিপজ্জনক হয়ে উঠছে
প্রতিদিন টেলিভিশন ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানো পিতামাতার আহাজারি। প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে স্বপ্নের এক একজন সারথি। গত কয়েক মাসে সড়ক দুর্ঘটনা দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। একে একে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এভাবে অকালে আর কত শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটবে? আর কত স্বপ্ন রাস্তায় বিসর্জন দিতে হবে? সম্প্রতি দুটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। গত ২৪ নভেম্বর গুলিস্তান মোড়ে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম একটি ময়লাবাহী গাড়ির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারায়। এ ঘটনার ৪ দিন পর রাজধানীর রামপুরা বাজারে বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় মাহিন নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এসব দুর্ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আজকে আমরা যতই উন্নয়নের আর নিরাপত্তার গান গাই; বাস্তবে কি আজও সড়ক নিরাপদ হয়েছে? বর্তমানে দেশে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে; কিন্তু দুর্ঘটনা কমছে না। দিন দিন সড়ক বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে ২৫ গুণ বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনা মানুষের জীবনের সঙ্গে পরিবারের আশা, ভরসা, স্বপ্ন সব ছিনিয়ে নিচ্ছে। প্রতিদিন কারও না কারও রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে রাজপথ। এভাবে আর কতদিন রাস্তায় স্বজনহারা মানুষের আহাজারি দেখতে হবে? বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় যে ক্ষতি হয়, তার আর্থিক মূল্য প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে জাতীয় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ পাশ হওয়ার পরও সড়কে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি; বরং বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি ঠিক আগের মতোই বিদ্যমান। শুধু আইনটা আইনের জায়গায় পড়ে আছে। নিরাপদ সড়ক এখন সময়ের দাবি।
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ