দুর্ঘটনাজনিত মামলা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া উচিত
২০২০ সালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে তদন্তাধীন মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৭৮৯ ও চার্জশিট দাখিলের পর বিচার শুরু হয়েছে এমন মামলার সংখ্যা মাত্র ২৬। বস্তুত এ পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতরা কতটা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন।
বলা হয়ে থাকে, জাস্টিস ডিলেইড; জাস্টিস ডিনায়েড। আমরা আশা করব, অতীত তো বটেই; এখন থেকে ঘটে যাওয়া প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত ও মামলা নিষ্পন্নের ক্ষেত্রে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরিচয় দেবে, যাতে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের ন্যায়বিচার লাভ সহজ হয়। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মামলার তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পেছনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকনেতাদের সখ্য থাকার অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য এ কথাও ঠিক যে, সড়ক দুর্ঘটনার পর অনেক সময় মামলার সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে সড়ক দুর্ঘটনার তদন্তে পুলিশের অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে, এ সত্য অস্বীকার করা যাবে না।
কোনো দুর্ঘটনার পর পুলিশ মূলত এর প্রকৃত কারণ না খুঁজে গৎবাঁধাভাবে চালককে দায়ী করে চার্জশিট দাখিল করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মামলা দুর্বল হয়ে যায় এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক ও অন্যরা গ্রেফতার ও বিচার এড়ানোর সুযোগ পায়।
বর্তমানে যানবাহনের তুলনায় সাত লাখেরও বেশি চালকের অভাব রয়েছে। এছাড়া সরকার আইন শিথিল করায় হালকা (প্রাইভেট কার) যান চালানোর লাইসেন্স দিয়ে মধ্যম মানের এবং মধ্যম মানের যানবাহনের লাইসেন্স দিয়ে ভারী যান চলানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। মূলত সারা দেশে ৮৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ চালকের বেপরোয়া গতি। এছাড়া ভুল ওভারটেকিংয়ের কারণেও ঘটে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ দুর্ঘটনা। সব মিলিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার ৯০ দশমিক ৬৯ ভাগের জন্যই চালক দায়ী থাকেন।
সড়কে দুর্ঘটনা হ্রাসে ১১১টি সুপারিশ করা হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় সড়ক ইন্সপেকশন ও গাড়ি চলাচল ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় আনা হলে সুফল পাওয়া যাবে। এছাড়া সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সচেতন হতে হবে পথচারীদেরও। একইসঙ্গে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ চালক ও সড়কে চলাচল উপযোগী ভালো মানের যানবাহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এসবের পাশাপাশি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পুলিশ কর্তৃক চার্জশিট দাখিল ও দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করা হলে তা সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে ইতিবাচক ফল দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
শিক্ষার্থী, আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
দুর্ঘটনাজনিত মামলা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া উচিত
তাজওয়ার
০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
২০২০ সালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে তদন্তাধীন মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৭৮৯ ও চার্জশিট দাখিলের পর বিচার শুরু হয়েছে এমন মামলার সংখ্যা মাত্র ২৬। বস্তুত এ পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতরা কতটা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন।
বলা হয়ে থাকে, জাস্টিস ডিলেইড; জাস্টিস ডিনায়েড। আমরা আশা করব, অতীত তো বটেই; এখন থেকে ঘটে যাওয়া প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত ও মামলা নিষ্পন্নের ক্ষেত্রে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরিচয় দেবে, যাতে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের ন্যায়বিচার লাভ সহজ হয়। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মামলার তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পেছনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকনেতাদের সখ্য থাকার অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য এ কথাও ঠিক যে, সড়ক দুর্ঘটনার পর অনেক সময় মামলার সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে সড়ক দুর্ঘটনার তদন্তে পুলিশের অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে, এ সত্য অস্বীকার করা যাবে না।
কোনো দুর্ঘটনার পর পুলিশ মূলত এর প্রকৃত কারণ না খুঁজে গৎবাঁধাভাবে চালককে দায়ী করে চার্জশিট দাখিল করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মামলা দুর্বল হয়ে যায় এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক ও অন্যরা গ্রেফতার ও বিচার এড়ানোর সুযোগ পায়।
বর্তমানে যানবাহনের তুলনায় সাত লাখেরও বেশি চালকের অভাব রয়েছে। এছাড়া সরকার আইন শিথিল করায় হালকা (প্রাইভেট কার) যান চালানোর লাইসেন্স দিয়ে মধ্যম মানের এবং মধ্যম মানের যানবাহনের লাইসেন্স দিয়ে ভারী যান চলানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। মূলত সারা দেশে ৮৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ চালকের বেপরোয়া গতি। এছাড়া ভুল ওভারটেকিংয়ের কারণেও ঘটে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ দুর্ঘটনা। সব মিলিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার ৯০ দশমিক ৬৯ ভাগের জন্যই চালক দায়ী থাকেন।
সড়কে দুর্ঘটনা হ্রাসে ১১১টি সুপারিশ করা হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় সড়ক ইন্সপেকশন ও গাড়ি চলাচল ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় আনা হলে সুফল পাওয়া যাবে। এছাড়া সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সচেতন হতে হবে পথচারীদেরও। একইসঙ্গে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ চালক ও সড়কে চলাচল উপযোগী ভালো মানের যানবাহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এসবের পাশাপাশি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পুলিশ কর্তৃক চার্জশিট দাখিল ও দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করা হলে তা সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে ইতিবাচক ফল দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
শিক্ষার্থী, আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023