জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা স্থগিত, দায় নেবে কে?
মো. আব্দুল করিম গাজী
২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। নামটি শুনতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি তার কার্যক্রমে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের কতটুকু আশ্বস্ত রাখছে, সেটাই মুখ্য বিষয়। কোভিড-১৯ এর আগে যতটুকু গতি ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের, এখন ঠিক তার উলটো হচ্ছে।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে অধিভুক্ত সরকারি এবং বেসরকারি কলেজে অনার্স কোর্স আছে প্রায় ২,২৭৪টি কলেজে। এখানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ, যা অন্য কোনো দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি।
মূলত যারা দেশের অপরাপর পাবলিক কিংবা প্রাইবেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না, তারাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এসে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু বর্তমানে স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন দেওয়া হলেও অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলমান থাকার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত আগের রুটিন অনুযায়ী ফাজিল, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নেওয়া হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হতাশার পাহাড়ে হোঁচট খাচ্ছে। কারণ বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে; পরিবারের চাপ তো আছেই। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যথাযথ ভূমিকা রাখে, এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ
karimgazi1010@gmail.com
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা স্থগিত, দায় নেবে কে?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। নামটি শুনতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি তার কার্যক্রমে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের কতটুকু আশ্বস্ত রাখছে, সেটাই মুখ্য বিষয়। কোভিড-১৯ এর আগে যতটুকু গতি ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের, এখন ঠিক তার উলটো হচ্ছে।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে অধিভুক্ত সরকারি এবং বেসরকারি কলেজে অনার্স কোর্স আছে প্রায় ২,২৭৪টি কলেজে। এখানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ, যা অন্য কোনো দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি।
মূলত যারা দেশের অপরাপর পাবলিক কিংবা প্রাইবেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না, তারাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এসে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু বর্তমানে স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন দেওয়া হলেও অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলমান থাকার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত আগের রুটিন অনুযায়ী ফাজিল, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নেওয়া হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হতাশার পাহাড়ে হোঁচট খাচ্ছে। কারণ বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে; পরিবারের চাপ তো আছেই। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যথাযথ ভূমিকা রাখে, এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ
karimgazi1010@gmail.com