মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি এ অবহেলা কেন?
তাসনিম খন্দকার ফাল্গুনী
৩০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আজ আমি এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব-যেটি নিয়ে কেউ ভাবে, আবার কেউ ভাবে না; কেউ খুব চিন্তিত, আবার কেউ চিন্তিত নয়। বিষয়টি হলো ক্যাডেট কলেজ। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ এ বিষয়ে ভাবতে ও কথা বলতে খুব একটা আগ্রহী নয়। তবে আমি এবং আমার মতো লাখ লাখ স্বপ্ন দেখা মেয়েদের স্বপ্ন সম্পর্কে কথা বলতে চাই। আমরা জানি, দেশে ক্যাডেট কলেজ মোট ১২টি। এর মধ্যে ছেলেদের ৯টি এবং মেয়েদের জন্য ৩টি। দেশে মেধাবী ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছেলেদের ৯টি ক্যাডেট কলেজ, আসন প্রায় ৫০০; কিন্তু মেধাবী মেয়েদের আসন মাত্র ১৫০। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ছেলেদের জন্য একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থাকলেও মেয়েদের জন্য কোনো সরকারি উচ্চবিদ্যালয় নেই।
কন্যাশিশুদের প্রতি এ অবহেলা আমাকে দারুণভাবে পীড়া দেয়। শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাডেট কলেজ নিঃসন্দেহে সোনালি স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ। তুলনামূলকভাবে ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় একজন মেয়ে শিক্ষার্থী ছেলেদের তুলনায় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বৈষম্য কেন? বঞ্চিত অনেক মেধাবী মেয়ে শিক্ষার্থী এক্ষেত্রে নিজেকে অযোগ্য মনে করে মানসিক চাপে পড়ে অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকে। নিজের ও তার মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়ে অনেক সময় কেউ কেউ আত্মহননের দিকেও ধাবিত হয়। তাই একজন মেয়ে হিসাবে নিজের ও লাখ লাখ মেয়ের জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গার্লস ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এ লেখাটি পড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই এর যথার্থতা অনুধাবন করবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কন্যাশিশুদের প্রতিভা বিকাশ ও সুশৃঙ্খল জীবন গড়ার লক্ষ্যে গার্লস ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধিকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তিপ্রত্যাশী
এইচটি ইমাম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি এ অবহেলা কেন?
আজ আমি এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব-যেটি নিয়ে কেউ ভাবে, আবার কেউ ভাবে না; কেউ খুব চিন্তিত, আবার কেউ চিন্তিত নয়। বিষয়টি হলো ক্যাডেট কলেজ। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ এ বিষয়ে ভাবতে ও কথা বলতে খুব একটা আগ্রহী নয়। তবে আমি এবং আমার মতো লাখ লাখ স্বপ্ন দেখা মেয়েদের স্বপ্ন সম্পর্কে কথা বলতে চাই। আমরা জানি, দেশে ক্যাডেট কলেজ মোট ১২টি। এর মধ্যে ছেলেদের ৯টি এবং মেয়েদের জন্য ৩টি। দেশে মেধাবী ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছেলেদের ৯টি ক্যাডেট কলেজ, আসন প্রায় ৫০০; কিন্তু মেধাবী মেয়েদের আসন মাত্র ১৫০। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ছেলেদের জন্য একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থাকলেও মেয়েদের জন্য কোনো সরকারি উচ্চবিদ্যালয় নেই।
কন্যাশিশুদের প্রতি এ অবহেলা আমাকে দারুণভাবে পীড়া দেয়। শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাডেট কলেজ নিঃসন্দেহে সোনালি স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ। তুলনামূলকভাবে ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় একজন মেয়ে শিক্ষার্থী ছেলেদের তুলনায় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বৈষম্য কেন? বঞ্চিত অনেক মেধাবী মেয়ে শিক্ষার্থী এক্ষেত্রে নিজেকে অযোগ্য মনে করে মানসিক চাপে পড়ে অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকে। নিজের ও তার মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়ে অনেক সময় কেউ কেউ আত্মহননের দিকেও ধাবিত হয়। তাই একজন মেয়ে হিসাবে নিজের ও লাখ লাখ মেয়ের জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গার্লস ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এ লেখাটি পড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই এর যথার্থতা অনুধাবন করবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কন্যাশিশুদের প্রতিভা বিকাশ ও সুশৃঙ্খল জীবন গড়ার লক্ষ্যে গার্লস ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধিকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তিপ্রত্যাশী
এইচটি ইমাম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ