চাঁদপুরের বিভিন্ন রেলস্টেশনে ভবন থাকলেও নেই কোনো কার্যক্রম
মো. মাসুদ হোসেন
৩০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
‘আনন্দভ্রমণ আর নিরাপদ জীবন’ হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্লোগান। কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেট না থাকায় যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তেমনই লোকবলের অভাবে ভেঙে পড়ছে চাঁদপুর-লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম। এ রেলপথের প্রায় সব স্টেশন নানা সমস্যায় জর্জরিত। এতে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা পোহাচ্ছে চরম দুর্ভোগ। জনবল সংকটে এখানকার যাত্রীসেবার মান দিনদিন ভেঙে পড়ছে। এদিকে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বর্তমানে লোকাল ট্রেন না থাকায় জনদুর্ভোগ যেমন বাড়ছে, তেমনই গুরুত্ব হারাতে বসেছে জনপ্রিয় এ রেলপথটি। আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়া আর কোনো ট্রেন নেই এ রেলপথে।
গত কয়েক বছরে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও বিভিন্ন স্টেশনে জনবল শূন্যতার সুযোগে রেলের বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরিসহ ঘটছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এ রুটে চারটি স্টেশনে নতুন ভবনও নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে এসব স্টেশন ভবন তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব স্টেশনে নেই বুকিং সহকারী (স্টেশন মাস্টার), টিকিট চেকার কিংবা লাইনম্যানসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে সরকার যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। এমনিতেই চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে লোকাল ট্রেন নেই। আপ-ডাউনে ডেমু ট্রেন লোকাল ট্রেন হিসাবে চললেও সেটির চলাচলও দুবছর আগে থেকে বন্ধ রয়েছে।
২০১২ সালে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ সংস্কার ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কয়েকটি স্টেশনে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। তবে ভবনের কাজ শেষ হওয়ার পর দীর্ঘ কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সেই স্টেশনগুলোয় কোনো কার্যক্রম চালু করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। জনবল সংকটে একবারে বন্ধ রয়েছে মৈশাদী, শাহতলী, বলাখাল, শাহরাস্তি ও উয়ারুক স্টেশন। স্টেশনগুলো দেখভাল করার জন্য কেউ না থাকায় প্ল্যাটফরমগুলোয় গরু-ছাগলের বিচরণ ছাড়াও বখাটে ও ভবঘুরে এবং রাতে মাদকসেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন একেবারে বন্ধ থাকা স্টেশনগুলোয় রাতের অন্ধকারে মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণ লক্ষ করা গেছে। সন্ধ্যার পর এসব স্টেশনে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। বন্ধ থাকা কয়েকটি রেলওয়ে স্টেশনে গেলে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, স্টেশনে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালু নেই। তাই যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া ও অতিরিক্ত সময় অপচয় করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। এসব সমস্যা নিরসনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সমাজকর্মী ও লেখক চাঁদপুর সদর
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চাঁদপুরের বিভিন্ন রেলস্টেশনে ভবন থাকলেও নেই কোনো কার্যক্রম
‘আনন্দভ্রমণ আর নিরাপদ জীবন’ হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্লোগান। কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেট না থাকায় যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তেমনই লোকবলের অভাবে ভেঙে পড়ছে চাঁদপুর-লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম। এ রেলপথের প্রায় সব স্টেশন নানা সমস্যায় জর্জরিত। এতে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা পোহাচ্ছে চরম দুর্ভোগ। জনবল সংকটে এখানকার যাত্রীসেবার মান দিনদিন ভেঙে পড়ছে। এদিকে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বর্তমানে লোকাল ট্রেন না থাকায় জনদুর্ভোগ যেমন বাড়ছে, তেমনই গুরুত্ব হারাতে বসেছে জনপ্রিয় এ রেলপথটি। আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়া আর কোনো ট্রেন নেই এ রেলপথে।
গত কয়েক বছরে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও বিভিন্ন স্টেশনে জনবল শূন্যতার সুযোগে রেলের বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরিসহ ঘটছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এ রুটে চারটি স্টেশনে নতুন ভবনও নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে এসব স্টেশন ভবন তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব স্টেশনে নেই বুকিং সহকারী (স্টেশন মাস্টার), টিকিট চেকার কিংবা লাইনম্যানসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে সরকার যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। এমনিতেই চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে লোকাল ট্রেন নেই। আপ-ডাউনে ডেমু ট্রেন লোকাল ট্রেন হিসাবে চললেও সেটির চলাচলও দুবছর আগে থেকে বন্ধ রয়েছে।
২০১২ সালে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ সংস্কার ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কয়েকটি স্টেশনে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। তবে ভবনের কাজ শেষ হওয়ার পর দীর্ঘ কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সেই স্টেশনগুলোয় কোনো কার্যক্রম চালু করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। জনবল সংকটে একবারে বন্ধ রয়েছে মৈশাদী, শাহতলী, বলাখাল, শাহরাস্তি ও উয়ারুক স্টেশন। স্টেশনগুলো দেখভাল করার জন্য কেউ না থাকায় প্ল্যাটফরমগুলোয় গরু-ছাগলের বিচরণ ছাড়াও বখাটে ও ভবঘুরে এবং রাতে মাদকসেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন একেবারে বন্ধ থাকা স্টেশনগুলোয় রাতের অন্ধকারে মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণ লক্ষ করা গেছে। সন্ধ্যার পর এসব স্টেশনে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। বন্ধ থাকা কয়েকটি রেলওয়ে স্টেশনে গেলে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, স্টেশনে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালু নেই। তাই যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া ও অতিরিক্ত সময় অপচয় করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। এসব সমস্যা নিরসনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সমাজকর্মী ও লেখক চাঁদপুর সদর